|

গ্যারি ক্রোকার

১৬ মে, ১৯৬২ তারিখে বুলাওয়েতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। ১৯৯০-এর দশকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

হ্যামিল্টন হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। প্রকৃত মানসম্পন্ন অল-রাউন্ডার হিসেবে তাঁর মাঝে সম্ভাবনা ছিল। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটের উপযোগী হলেও মোটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযোগী ছিলেন না। বামহাতে পেস বোলিং করতে পারতেন। দীর্ঘদেহী, সরু পা ও ফুরফুরে মেজাজের অধিকারী। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, মাতাবেলেল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব করেন।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সময়কালে জিম্বাবুয়ে পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্ট ও ছয়টিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। সম্পূর্ণ ভাগ্য গুণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পেরেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নিজ দেশে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জন ট্রাইকোস ব্যতীত অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ খেলায় অপরাজিত ২৩ রান সংগ্রহসহ ১/৪১ লাভ করেছিলেন। খেলা শুরু হবার পূর্ব মুহূর্তে আলী শাহ আঘাতের কবলে পড়লে এ সুযোগ পান। দল নির্বাচকমণ্ডলী আলী শাহের উপযোগী বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে মনোনীত করলে অপ্রত্যাশিতভাবে খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ পান। ৩০ বছর বয়সে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে পূর্বরাত্রে জরুরী বার্তা আসে। এরফলে, ২৭৫ মাইল দূরবর্তী এলাকা থেকে সারা রাত গাড়ীতে চড়ে পরদিন সকালে নির্ধারিত সময়ে মাঠে পৌঁছেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।

সব মিলিয়ে নয়টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ছয়টিই ছিল একদিনের আন্তর্জাতিক। তবে, খেলাগুলোয় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। টেস্ট রেকর্ডও তেমন দর্শনীয় নয়। কিন্তু, একই সফরের ২৫ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে ওডিআই অভিষেকে হঠাৎ আলোর ঝলকানীর ন্যায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। শক্তিধর ভারতের বিপক্ষে ঐ খেলায় অর্ধ-শতকসহ বল হাতে নিয়ে ৪/২৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবসায়িক ব্যস্ততায় কাদোমায় তাঁকে চলে যেতে হয়। উপযুক্ত অনুশীলন ব্যবস্থার অভাব, খেলায় ছন্দ হারানোর কারণে আর তাঁকে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নিজ দেশে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলের মুখোমুখি হন। ৭ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পূর্বতন সর্বোচ্চ ২৩ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ১২ ও ৩৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২/৬৫ ও ০/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারী দল ১৭৭ রানে জয় তুলে নেয় ও ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয় পায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর জিম্বাবুয়ের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কবলে পড়লে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক হলিউড ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলতে থাকেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি বেসবল খেলায় পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।

Similar Posts

  • | |

    অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ

    ২ জুন, ১৯৮৭ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কলম্বোভিত্তিক সেন্ট যোসেফস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কোল্টস ক্রিকেট…

  • | | | | |

    ইন্তিখাব আলম

    ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৪১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৮২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ভূমিকা রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাঞ্জাব,…

  • |

    মনোজ প্রভাকর

    ১৫ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৪ থেকে…

  • | |

    ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স

    ১৩ অক্টোবর, ১৯৬৪ তারিখে ট্রান্সভালের ভারিনিগিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। আফ্রিকানারভাষী কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম হলেও রাগবি খেলোয়াড়দেরকে আদর্শনিষ্ঠ করে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। পল্লী অঞ্চলে বড় হন।…

  • |

    হেনরি প্রমিৎজ

    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কিং উইলিয়াম টাউনের কাছাকাছি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। তাঁর বোলিং অফ ও লেগ-স্পিনের মিশেলে গড়ে উঠেছিল। অনেকাংশেই তা দূর্বোধ্য ছিল। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান…

  • |

    ওয়াশিংটন সুন্দর

    ৫ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিং করেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়ে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের উত্তরণ ঘটতে থাকে। পিতা এম সুন্দর তামিলনাড়ুর রঞ্জী ট্রফি দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটার ছিলেন। তবে, চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাননি। এম…