১৬ ডিসেম্বর, ১৮৫০ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবেই দলে সমধিক ভূমিকা পালন করতেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদে তিনি ‘ফ্রেডরিক মর্লে’ নামে পরিচিতি পান। ছোটখাটো ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা ও পৌনে এগারো স্টোন (৬৬ কেজি) ওজনের অধিকারী ছিলেন। তাসত্ত্বেও, বেশ দ্রুত গতিসম্পন্ন রাউন্ড-আর্ম বোলিং করতেন ও বেশ ক্ষীপ্রতার সাথে বলে পেস আনয়ণ করতে পারতেন। এ কারণেই তিনি ‘স্পিডি ফ্রেড’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৮৬৯ সালে কোল্টস দ্বাবিংশতিততম বনাম নটিংহ্যামশায়ার একাদশের মধ্যকার খেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন। ১৮৭০ সালে দ্বিতীয় খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে তিনি বোল্টনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এ মৌসুমে অল ইংল্যান্ড ইলাভেন বনাম শেফিল্ড শ্রিউসবারি সিসি’র মধ্যে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দলের ১৩৪ নম্বর খেলোয়াড় ছিলেন। ১৮৭১ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। নিজের স্বর্ণালী সময়ে তাঁকে ইংল্যান্ডের দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল। ১৮৭১ সালে বোল্টনেই থেকে যান। জুলাইয়ে এইই বনাম ইংল্যান্ড ইলাভেনের মধ্যকার খেলায় অংশ নেন। চার উইকেট লাভ করেন এবং অপরাজিত ১৪ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি পরবর্তীতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদা পান। উইলিয়াম অসক্রফ্টের সুনজরে পড়েন। ১৮৭২ সালে এইই’র স্থায়ী সদস্যের মর্যাদা পান। এরফলে, ট্রেন্ট ব্রিজে নটিংহ্যাশায়ারের প্রথম খেলায় ইয়র্কশায়ারের মুখোমুখি হন।
সব মিলিয়ে ১৮৮০ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮০ সালে নিজ দেশে বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হন। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে লন্ডনের ওভালে পনেরোজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৫/৫৬ ও ৩/৯০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এরফলে, ইংল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো নিজ দেশে টেস্ট জয়ের সন্ধান পায়। সিরিজের একমাত্র টেস্টে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয়লাভ করে।
১৮৮২-৮৩ মৌসুমে ইভো ব্লাইয়ের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৪৫ ও ০/৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ২ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে জোই পালমারের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ৪ উইকেটে পরাজয়বরণ করলেও সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। হান্নাহ নাম্নী এক সেলাইকর্মীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির সারাহ, হ্যারল্ড ও অ্যালেন নামীয় তিন সন্তান ছিল। ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড এলাকায় মাত্র ৩৩ বছর ২৮৭ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মৃত্যু পূর্ববর্তী ১৮৮৩ সালে দুই খেলায় অংশ নিয়ে ৯৬ রান খরচায় ৪ উইকেট দখল করেছিলেন।
