৭ মার্চ, ১৮৫১ তারিখে লন্ডনের দ্য সিডার্স এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটিং কর্মে পারদর্শী ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নিজের সময়কালে কেন্টের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন। দলের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। লেগ-সাইডে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ১৮৭৫ থেকে ১৮৮১ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রমাগত রানের ফল্গুধারা বহমানের কারণে ইংল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ পান।
১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। তবে, কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তাঁর। তবে, কেন্টের পক্ষে অনেকগুলো স্মরণীয় ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। মেইডস্টোনে সারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬০ রান তুলেন। ওভালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১৪৮ রানের আরও একটি সেরা ইনিংস খেলেছিলেন। তবে, ১৮৭৯ সালে লর্ডসে এমসিসি’র সদস্যরূপে কেমব্রিজের বিপক্ষে ১৩৪ রানের ইনিংসটি শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। এজি স্টিলের বলগুলো উইকেটে চতুর্পার্শ্বে খেলেছিলেন।
১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর নিজ দেশে আসা বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটিই প্রথম টেস্ট ছিল। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে লন্ডনের ওভালে পনেরোজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সব মিলিয়ে ঐ টেস্টে ৫০ রান তুললেও পরবর্তীতে এটিই তাঁর একমাত্র টেস্টে পরিণত হয়। খেলায় তিনি প্রথম ইনিংসে ২৩ রান তুলেন। ৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে চূড়ান্ত ইনিংসে ৫ উইকেট ৩১ রানে হারায়। অতঃপর, ডব্লিউজি গ্রেসের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে রান সংগ্রহে তৎপর হন। ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। একমাত্র তিনিই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করেছিলেন। এছাড়াও, জয়সূচক রান সংগ্রহ করেছিলেন। এরফলে, ইংল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো নিজ দেশে টেস্ট জয়ের সন্ধান পায়। সিরিজের একমাত্র টেস্টে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয়লাভ করে। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান।
দূর্ভাগ্যবশতঃ ৩০ বছর বয়সে এসেই তাঁকে ক্রিকেট খেলা থেকে সড়ে আসতে হয়। এ পর্যায়ে তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯০৫ সালে কেন্ট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লর্ড হ্যারিসকে সাথে নিয়ে কেন্টের অগ্রযাত্রায় প্রধান ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ফ্রাঙ্ক জুনিয়র নামীয় সন্তানের জনক। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯১৬ তারিখে কেন্টের ক্যান্টারবারির কাছাকাছি বিফ্রন্স এলাকায় নিজ গৃহে ৬৫ বছর ২৯৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। ডিক ও উইলিয়াম ভ্রাতৃদ্বয়ের সাথে তাঁর সন্তানও কেন্টের পক্ষে খেলেছিল।
