২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
দীর্ঘকায় ও মজবুত গড়নের অধিকারী তিনি। পাশাপাশি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং ক্ষীপ্রগতিতে উইকেট-রক্ষণে এগিয়ে আসতেন। ভারতের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণকালীন দলের শীর্ষ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নরি কন্ট্রাক্টরের সাথে তিনিও ৬জন পার্সি ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে ভারতের পক্ষে খেলেছেন। সর্বশেষ পার্সি ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, একমাত্র পার্সি ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের পক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন।
বস্কো হাইস্কুলে ভর্তি হন। এরপর বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পোদার কলেজ অব কমার্স এন্ড ইকোনমিক্সে পড়াশুনো করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেন ও অধিনায়কত্ব করেন। পরবর্তীকালে রঞ্জী ট্রফিতে বোম্বে ও ওয়েস্ট জোনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৬ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বে ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেয়ার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান। চারটি ইংরেজ কাউন্টি দল ওরচেস্টারশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, সমারসেট ও ল্যাঙ্কাশায়ারে পেশাদারী পর্যায়ে খেলার জন্যে চুক্তির প্রস্তাবনা পান। সেখানে সফলতার সাথে বারোটি বছর খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৬ সালে কাউন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পূর্বে ল্যাঙ্কাশায়ার কর্তৃপক্ষ চারবার তিন বছর মেয়াদী চুক্তি করে।
উইকেটে যে-কোন অবস্থানে ব্যাটিং করতে পারতেন। স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে দ্যুতি ছড়াতেন এবং কিথ মিলার ও ডেনিস কম্পটনের পদাঙ্ক অনসুরণে ব্রাইলক্রিম বয় হিসেবে মাঠ মাতিয়ে রাখতেন। সম্ভবতঃ প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বাজারজাতকরণে স্বীয় চেহারাকে পুঁজি করে অগ্রসর হয়ে ছিলেন। দীর্ঘদেহী, যথোপযুক্ত তরুণ হিসেবে অধিকাংশ পার্সিসের ন্যায় অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির অধিকারী ছিলেন। ঘন কালো বাঁকানো চুল নিয়ে উইকেটের পিছনে ও সামনে অবস্থান করে তাঁর প্রজন্মের তরুণদের মাঝে বেশ আলোকচ্ছটা ছড়িয়েছিলেন।
১৯৬১ থেকে ১৯৭৫ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ৪৬ টেস্ট ও পাঁচটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, টেস্টগুলো থেকে দুইটি শতক সহযোগে ৩১.০৮ গড়ে ২৬১১ রান পেয়েছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম ১১ টেস্টে তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেননি। এছাড়াও, আরেক সেরা উইকেট-রক্ষক বুধি কুন্দরনের কাছ থেকে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
কিন্তু, দ্বাদশ টেস্টে অংশ নেয়ার মাধ্যমে সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলেন। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে মাদ্রাজের চিপকে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিনে মধ্যাহ্নভোজনের পূর্বে ৯৪ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ওয়েস হল, চার্লি গ্রিফিথ, গ্যারি সোবার্স, ল্যান্স গিবসের ন্যায় বিশ্বমানসম্পন্ন তারকা খেলোয়াড়দের রুখে দিয়ে সাফল্য পান।
ফিরতি সফরে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করেন। মাত্র ১২ ওভারেই ভারতের সংগ্রহকে বিনা উইকেটে ৭২ রানে নিয়ে যান। এ অবস্থানের জন্যে অপর দাবীদার বুধি কুন্দরনকে বেশ নিরাশ হতে হয়। প্রস্তুতিমূলক খেলায় শতরানের ইনিংস খেললেও তাঁকে কোন টেস্টে খেলানো হয়নি।
১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিজ দেশে টেড ডেক্সটারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২৩ বছর বয়সে ১ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে কানপুরে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দিলীপ সরদেশাইয়ের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ০-০ ব্যবধানে এগুতে থাকে। ৩৩ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিজ দেশে জন রিডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২ মার্চ, ১৯৬৫ তারিখে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছোঁয়া পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৬৫ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৯০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৬৭ সালে ভারতের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষ থেকে চুক্তির প্রস্তাবনা দেয়া হয়। তিনি যে শুধুমাত্র দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন তাই নয়; ওল্ড ট্রাফোর্ডে দর্শকদের মাতিয়ে রাখতেন। পরবর্তীতে ল্যাঙ্কাস্ট্রীয় রমণীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ও ম্যানচেস্টারে নিবাস গড়েন।
১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মনসুর আলী খান পতৌদি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সিরিজ বিজয়ে বিরাট ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন। বিদেশের মাটিতে এটিই ভারতের প্রথম সিরিজ বিজয় ছিল। স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থানে করে গ্লাভস নিয়ে অসাধারণ খেলেন। এছাড়াও, কার্যকর রান তুলে তৎপরতা দেখান। ঐ সিরিজে ৪০ গড়ে ৩২১ রান ও ১০টি কার্যকর ডিসমিসাল ঘটান।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬৩ ও ২৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
১৯৭১ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমনার্থে দলের সদস্য ছিলেন না। এ পর্যায়ে ভারতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী পচিয়া কৃষ্ণমূর্তিকে প্রাধান্য দেয়। তবে, পচিয়া কৃষ্ণমূর্তি হিমশিম খেলে ইংল্যান্ড গমনার্থে ভারতে দলে তাঁকে পুণরায় ফিরিয়ে আনা হয়। তবে, তখন তিনি ইংল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন।
লর্ডসে তিনি তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের অন্যতম সেরা ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। বিষেন বেদী’র বলে জন এডরিচের ব্যাটের হাতল স্পর্শ করাকালীন তিনি পিছলে পড়েন। বলকে ধাক্কা দিয়ে শূন্যে ভাসান ও পরবর্তীতে ভারসাম্য বজায় রেখে লাফিয়ে মুঠোয় পুড়েন। ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের সংগৃহীত ৩৫৫ রানের জবাবে ভারত দল এক পর্যায়ে ১২৫/৫ তুলে। মাঠে নেমে ৫৯ রান তুলে দলের সংগ্রহকে ২৮৪ রানে নিয়ে যান। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকালীন ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে নিজ দেশে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৩ জানুয়ারি, ১৯৭৫ তারিখে বোম্বেতে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বার্নার্ড জুলিয়েনের বলে উভয় ইনিংসে জোড়া শূন্য রানে বিদেয় নেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। সফরকারীরা ২০১ রানে জয়লাভ করে ও ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন এবং দ্রুততার সাথে ও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে স্পিনার চতুষ্টয় – বিষেন বেদী, ইএএস প্রসন্ন, ভাগবত চন্দ্রশেখর ও বেঙ্কটরাঘবনের বল মোকাবেলায় অপূর্ব দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। বিশাল দেহের অধিকারী হলেও তিনি খুব কমই উপুড় হতেন। উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হবার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে বুধি কুন্দরনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত এ লড়াইয়ে তিনি বিজয়ী হন। তবে, বুধি কুন্দরন আরও দুই টেস্টে কেবলমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। নিজ নামের পার্শ্বে ৮২টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছেন। এছাড়াও, ওডিআইয়ে ভারতের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩০ গড়ে ১৩৩৪৬ রান সংগ্রহ করেছেন। ৩৩৫টি খেলা থেকে ৮২৪টি ডিসমিসাল ঘটান।
সৈয়দ কিরমানি’র আবির্ভাবে এক পর্যায়ে তাঁকে দলের বাইরে চলে যেতে হয়। ইংল্যান্ডে আবাস গড়ে তুলেন। পরম নিষ্ঠার সাথে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ল্যাঙ্কাশায়ারে থাকাকালীন আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলায় £২৬,০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং সংগৃহীত হয়েছিল। এছাড়াও, বিলাশবহুল জীবনধারা চলমান রাখতে তাঁকে চাকুরী করতে হয়। ভারতে মার্সেডিজ-বেঞ্জের বিক্রয় বিভাগে কাজ করতেন। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডভিত্তিক হকার সিডেলের পক্ষে কাজ করেন। পরবর্তীতে, জাগুয়ার এন্ড লিকামোবাইলের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হন। এছাড়াও, ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সহঃসভাপতি হন। চেশায়ারভিত্তিক মেরে সিসির সভাপতি, ল্যাঙ্কাশায়ারভিত্তিক হোয়ালি সিসির সভাপতি ও চেশায়ারভিত্তিক মোবার্লি সিসি’র সহঃসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দ্য লর্ডস টাভের্নার্স ও ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ার আজীবন সম্মানিত সদস্য তিনি। ‘ফারুক ইঞ্জিনিয়ার – ফ্রম দ্য ফার প্যাভিলিয়ন’ শীর্ষক আত্মজীবনীর লেখক তিনি। যুক্তরাজ্যে বইটি মুহুর্তে শেষ হয়ে যায় ও মুখবন্ধ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর লিখেছিলেন।
ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের ন্যায় প্রাণবন্ত, সজীব ও বিনোদনধর্মী ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। স্কাই স্পোর্টস, ইএসপিএন, সনি ম্যাক্স, স্টার স্পোর্টস এবং বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে বেতার ও টেলিভিশনে যুক্ত হন। নৈশভোজন পরবর্তী আলাপচারীতায়ও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৭৩ সালে ভারত ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন। সনি টেলিভিশন থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ও রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সর্বোচ্চ সম্মাননা পল হারিস পুরস্কার লাভ করেন।
উইকেট-রক্ষণে অসাধারণ ভূমিকা গ্রহণের পাশাপাশি চমৎকারভাবে আগ্রাসী ও অপ্রচলিত পন্থায় ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। বিশ্ব একাদশের সদস্যরূপে তিনবার মনোনীত হয়ে ছিলেন। প্রত্যেকবারই বিশ্ব একাদশে তাঁকে শীর্ষ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে রাখা হতো। ১৯৭০-এর দশকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত খেলায় বিশ্ব একাদশের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক ছিলেন। নিজের স্বর্ণালী সময়ের ন্যায় মাঠ ও মাঠের বাইরে সর্বদাই সরব থাকতেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের দলীয় সঙ্গী ব্রায়ান স্ট্যাদাম একবার মন্তব্য করেছিলেন যে, যদি তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলতেন, তাহলে আরও উইকেটের সন্ধান পেতেন। হাঁটুর আঘাতের কারণে দীর্ঘ সময় বিশ্রামে ছিলেন। এক পর্যায়ে বন্ধুর সাথে ম্যানচেস্টার ব্রিজ ক্লাবের সদস্য হন। টি২০ ক্রিকেট ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।