৭ নভেম্বর, ১৮৮৯ তারিখে কেপ প্রভিন্সের বার্কলি ওয়েস্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯১০-১১ মৌসুম থেকে ১৯২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। মার্চ, ১৯১১ সালে নাটালের বিপক্ষে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে দৃশ্যতঃ প্রতিশ্রুতিশীলতা আনয়ণে সচেষ্ট ছিলেন।
পরবর্তী ডিসেম্বরে বাদ-বাকী দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যরূপে ট্রান্সভালের বিপক্ষে সত্তুর মিনিটে ১১১ ও ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, ১৯১২ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ঠাঁই দেয়া হয়নি।
১৯১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে জে. ডব্লিউ. এইচ. টি. ডগলাসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে ডারবানে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। জো কক্স, হ্যারল্ড বমগার্টনার, আলফ্রেড কুপার, জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ, ফিলিপ হ্যান্ডস ও প্লাম লুইসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি মাত্র তিনি ৪ ও ১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ইনিংস ও ১৫৭ রানে জয়লাভ করে সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে তাঁকে আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলে রাখা হয়নি। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও ১৯২৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের পক্ষে ব্যাট ও বলে পর্যাপ্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। হাঁটুর আঘাতের কারণে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেন।
১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কিম্বার্লীতে ৫১ বছর ৩৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর ভ্রাতা ডুডুলস ট্যাপস্কট দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলেছেন।
