২ মার্চ, ১৯২৩ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
পরিচ্ছন্ন, আকর্ষণীয় ও স্ট্রোকের মারে পটু ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে বার্ট সাটক্লিফের (১৪১ ও ১৩৫) সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ২২০ ও ২৮৬ রান তুলেন। এটিই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উভয় ইনিংসে দুই খেলোয়াড়ের দুইশত রান সংগ্রহের একমাত্র ঘটনা হিসেবে চিত্রিত হয়ে আছে ও নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। তিনি ৯৯ ও ১৪৩ রান তুলেছিলেন।
১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়ালি হ্যামন্ডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২১ মার্চ, ১৯৪৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ব্রুন স্মিথ, রয় স্কট, বার্ট সাটক্লিফ, কলিন স্নেডেন ও টম বার্টের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় দলের একমাত্র ইনিংসে একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রানে বেডসারের বলে এলবিডব্লিউতে বিদেয় করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।
দূর্ভাগ্যবশতঃ ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিজ দেশে ডেনিস অ্যাটকিনসনের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ৩ মার্চ, ১৯৫৬ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১২ রান অতিক্রম করেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও এ সফলতা অব্যাহত রাখেন। ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৪৩ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৪৩ ও ৭৭ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে দীর্ঘ পিচের কারণে রান-আউটের শিকার হন। এ টেস্টে অংশ নেয়ার নয় বছর পূর্বে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। মাঝখানে কোন টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
মাঝের বছরগুলোয় ওয়ারউইকশায়ারের সদস্য ছিলেন। ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে কিছু কার্যকর ইনিংস খেলেছিলেন। তিন মৌসুম দলটিতে খেললেও তেমন সফলতার সন্ধান পাননি। তন্মধ্যে, ১৯৫১ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে মিনিটপ্রতি ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন। তবে, দলে কখনো নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পাননি। ১৯৫৩ সালে নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসেন। কোচ টাইগার স্মিথ মাঠে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনেন।
একই সফরের ৯ মার্চ, ১৯৫৬ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। এ টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তবে, চার-টেস্ট নিয়ে গড়া খেলোয়াড়ী জীবনের এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। ১১ ও ১৬ রান তুলে দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করে ২৬ বছর ও ৪৫ টেস্টে অংশ নেয়ার পর নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অনবদ্য অবদান রাখেন। খেলায় তাঁর দল ১৯০ রানে জয় পেলেও ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে অকল্যান্ডের এপসম এলাকায় ৫৭ বছর ২৭৮ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
