১৮ নভেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে বালাপিটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হবার পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ তিনি। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা দলের নেতৃত্বে ছিলেন।
আম্বালাঙ্গোদাভিত্তিক ধর্মসকা কলেজে অধ্যয়নকালীন ক্রিকেট খেলা শিখতে শুরু করেন। বিদ্যালয় জীবনে ধারাবাহিকভাবে রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান। শ্রীলঙ্কার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় বেশকিছু রেকর্ড ভঙ্গ করেছিলেন। এরপর, কলম্বোভিত্তিক আনন্দ কলেজে চলে যান। সেখানে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এক মৌসুমে দলের ১৩টি জয়ের ফলে শ্রীলঙ্কার বিদ্যালয় ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েন। বিদ্যালয়ের প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। সর্বমোট ১৫৮০ রান সংগ্রহ করে ২০০৯ সালে বর্ষসেরা বিদ্যালয় ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। বিদ্যালয় জীবন ত্যাগ করার পর নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন।
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব, রুহুনা ও শ্রীলঙ্কা আর্মি স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কলম্বো কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে খেলেছেন।
শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলে খেলেন। কয়েকটি শতক হাঁকিয়ে নিজেকে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত করেন। ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এছাড়াও, গ্লাভস হাতে নিয়েও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান তরুণের ব্যাটিংয়ে কুমার সাঙ্গাকারা মুগ্ধ হন ও তাঁকে নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবে খেলার জন্যে সুপারিশ করেন। তিনি তাঁর প্রতিভা বিচ্ছুরণে তৎপর হন। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার উন্নয়নমূলক দলের সদস্যরূপে সফররত নিউজিল্যান্ডীয় একাদশের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন।
ইন্টার প্রভিন্সিয়াল টি২০ প্রতিযোগিতায় চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক দলে ঠাঁই পান।
২০১০ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ৩০ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে প্রভিডেন্সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে, জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ১ জুন, ২০১০ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। অভিষেকে ১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ঐ খেলায় দল নয় উইকেটে জয় পায়। এরপর, ভারতের বিপক্ষে ১১৮ বল মোকাবেলা করে ১১১ রানের নিখুঁতমানের ইনিংস খেলে পাদপ্রদীপে চলে আসেন ও দলে অন্তর্ভুক্তির যথার্থতা প্রমাণ করেছেন। এরফলে, ভারত দলকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদেয় নিতে হয়েছিল। ষষ্ঠ খেলায় আরও একটি শতরানের ইনিংস খেলেন।
জুলাই, ২০১১ সালে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের ৩য় ওডিআইয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মনোরম ইনিংস খেলে ১০ বল বাকী থাকতে দলকে ৬ উইকেটের জয় উপহার দেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। অ্যালাস্টেয়ার কুকের শতকের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ড দল ২৪৭/৫ রান সংগ্রহ করে। ২৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে শ্রীলঙ্কা দল ব্যাটিংয়ে নামে। তিলকরত্নে দিলশানকে টিম ব্রেসনান বোল্ড করলে দলের সংগ্রহ ২১/১ হয় ও তিনি মাঠে নামেন। ১২৬ বল মোকাবেলা করে ১১টি চার ও ২টি ছক্কা সহযোগে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এ পর্যায়ে মাহেলা জয়াবর্ধনের সাথে ১১২ রানের জুটি গড়েছিলেন। দলীয় সংগ্রহ ১৯৬ থাকাকালে বিদেয় নেন। শতরান হাঁকানোর ফলে লর্ডস অনার্স বোর্ডে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
দ্রুত সাড়া দিয়ে কৌশলগতভাবে সহজাত উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন। শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া টি২০ প্রতিযোগিতার সাথে যুক্ত রুহুনা একাদশের সাথে জড়িত ছিলেন। ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি২০ প্রতিযোগিতায় সুন্দর খেলা উপহার দেন। ফলশ্রুতিতে, ঐ বছর শেষদিকে ২০১১-১২ মৌসুমে তিলকরত্নে দিলশানের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টের উভয় ইনিংসে মনোরম অর্ধ-শতক হাঁকিয়েছিলেন ও শ্রীলঙ্কা দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে যথার্থ ভূমিকা পালন করেন। ৫৮ ও ৫৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে তিনটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, রঙ্গনা হেরাথের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীতে সফরকারীরা ২০৮ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
২০১২ সালে ইন্ডিয়ান টি২০ লীগের পঞ্চম আসরে $৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ তাঁকে কিনে নেয়। এরপর, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগকে ঘিরে চিটাগং ভাইকিংসের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। পরের বছর শ্রীলঙ্কার টি২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। পাশাপাশি, দীর্ঘ সংস্করণের খেলায় দলের সহঃঅধিনায়কের দায়িত্ব পালন করার জন্য মনোনীত করা হয়। তবে, শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনোসংযোগের লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান টি২০ লীগের ষষ্ঠ আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন।
২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ৮ মার্চ, ২০১৩ তারিখে গালেতে সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১১৬* রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
এরপর, একই সফরের ১৬ মার্চ, ২০১৩ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ ও দুইটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, রঙ্গনা হেরাথের বোলিং দাপটে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।
১৭ জুলাই, ২০১৩ তারিখে ওডিআইয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। কলম্বোয় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুইটি খেলায় দলকে পরিচালনা করেন। পাশাপাশি, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার টি২০আইয়ের জন্যেও তাঁকে অধিনায়কের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। কয়েকটি সিরিজে বাজে ফলাফলসহ ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় দলের ব্যর্থতায় এ দায়িত্ব থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে নয়া হয়। সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে ওডিআই দল থেকেও বাইরে রাখা হয়।
এছাড়াও, শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্রীলঙ্কার প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দিবা-রাত্রির টেস্টে দলকে পরিচালনা করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে উচ্চমানসম্পন্ন উদীয়মান তরুণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অদূর ভবিষ্যতে বিখ্যাত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট তারকা কুমার সাঙ্গাকারা’র কাছ থেকে উইকেট-রক্ষণে গ্লাভস লাভের প্রধান দাবীদার ছিলেন। ডানহাতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেট-রক্ষক হিসেবে দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে বলকে কাট করতে অধিক পছন্দ করতেন।
২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৩ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৬৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬৭ ও ১৩ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। কেন উইলিয়ামসনের অনবদ্য ব্যাটিংশৈলীতে সফরকারীরা ১৯৩ রানে পরাজয়বরণ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
টি২০আইয়ে এক খেলায় ফিল্ডার হিসেবে ৪টি ক্যাচ নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে অবস্থান করছেন। ২০১৫ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২ বলে ৫০ রান তুলেন। পরবর্তীতে ২০ বলে অর্ধ-শতক হাঁকিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ রেকর্ডটি নিজের করে নেন।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাপক রান সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও এ ধারা অব্যাহত রাখেন। উপর্যুপরী পাঁচটি অর্ধ-শতরান করে সনথ জয়সুরিয়া, কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকরত্নে দিলশানের সাথে নিজ নামকে যুক্ত করেন।
ঐ বছর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৭ মে, ২০১৬ তারিখে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২য় ইনভেসটেক টেস্টে অংশ নেন। ৪ ও ১২৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, জেমস অ্যান্ডারসনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
২০১৭-১৮ মৌসুমে শ্রীলঙ্কান দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ভারত গমন করেন। ২ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১৬৪ ও ৩৬ রান সংগ্রহ করেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি’র অসাধারণ ব্যাটিং সাফল্য স্বত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
২০২২ সালে নিজ দেশে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ৮ জুলাই, ২০২২ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ২০৬* রান সংগ্রহ করে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে শ্রীলঙ্কা দলকে সমতায় আনতে সহায়তা করেন। তবে, অভিষেকধারী প্রভাত জয়সুরিয়া’র মারাত্মক বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ও ৩৯ রানে পরাজিত হয়। এ সিরিজে ২১৯ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে হাশমতউল্লাহ শহীদি’র নেতৃত্বাধীন আফগান দলের মুখোমুখি হন। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১০৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, প্রভাত জয়সুরিয়া’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পায়।
একই মৌসুমে ধনঞ্জয় ডি সিলভা’র অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ গমন করেন। দুই টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটির প্রথমটিতে মোটেই ভালো খেলেননি। ২২ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সিলেটে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাসত্ত্বেও সফরকারীরা ৩৫৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়। তবে, ৩০ মার্চ, ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে খানিকটা ভালো খেলেন। ৫৯ ও ৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ১৯২ রানের ব্যবধানে জয়লাভসহ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছিল।
২০২৪ সালে ধনঞ্জয় ডি সিলভা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৯ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ২৩ ও ৫৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, গাস অ্যাটকিনসনের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৯০ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
একই বছর নিজ দেশে টিম সাউদি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, কামিন্ডু মেন্ডিসের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৫৪ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। ২০২৫ সালে নিজ দেশে নাজমুল হোসেন শান্ত’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ২৫ জুন, ২০২৫ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৯৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, পথুম নিসাঙ্কা’র অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৭৮ রানে পরাভূত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
