১৯ এপ্রিল, ১৮৬৫ তারিখে লিচেস্টারের হাম্বারস্টোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৬ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। বেশ উচ্চ ভঙ্গীমায় মিডিয়াম-পেস বোলিং করতেন। উইকেট বরাবর বল ফেলার পাশাপাশি পেসে বৈচিত্র্যতা আনতেন। দূর্দান্ত অল-রাউন্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। উদ্বোধনী মৌসুমে সারের বিপক্ষে ৬/১০ লাভ করেন। লিচেস্টারে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ৫৪ রান খরচায় ১৩ উইকেট দখল করেছিলেন। এরপর, এজবাস্টনে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৭/৮ পান।
১৮৮৭ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত লর্ডসে এমসিসি’র মাঠকর্মী ছিলেন। ১৮৮৭ সালে লর্ডসে এমসিসি’র সদস্যরূপে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে হ্যাট্রিক লাভের গৌরব অর্জন করেন। এরপর, লিচেস্টারে এসেক্সের বিপক্ষে ৮/৮১ পান। ঐ মৌসুমের শীতকালে আর্থার শ্রিউসবারি’র নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের জন্যে মনোনীত হন।
১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। দুইবার বিদেশ সফরে যাবার সুযোগ পান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে আর্থার শ্রিউসবারি’র নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৬/১৪ লাভ করেন।
এরপর, ১৮৯১-৯২ মৌসুমে ডব্লিউডব্লিউ রিডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। কেপটাউনে কাউন্টি ক্লাবস দ্বাবিংশতিতম দলের বিপক্ষে ৯ বল থেকে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। এ সফরে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। উইলিয়াম চ্যাটারটন, অ্যালেক হার্ন, জর্জ হার্ন, জ্যাক হার্ন ও ভিক্টর বার্টনের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। কেবলমাত্র প্রথম ইনিংসে বোলিং করার সুযোগ পান। জেজে ফেরিসের (৬/৫৪) সাথে বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে স্বাগতিকদেরকে ৯৭ রানে গুটিয়ে দেন। তিনি ৩/২৬ লাভ করেন। এছাড়াও, খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮৯ রানে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
দেশে ফিরে এমসিসি’র সদস্যরূপে ১২জনের দল নিয়ে গড়া স্ট্রিদামের বিপক্ষে খেলেন। ৩৭ রান খরচায় ১১ উইকেটের সবকটি করায়ত্ত্ব করেন।
জুন, ১৮৯৬ সালে লর্ডসে এমসিসি’র সদস্যরূপে সফররত অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে দারুণ খেলেন। ক্লেম হিল ও হিউ ট্রাম্বলের উইকেটসহ পাঁচ-উইকেট লাভ করেছিলেন। এক পর্যায়ে ৫ বল নিয়ে গড়া ১১ ওভারে মাত্র চার রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন। এক পর্যায়ে ৫ উইকেট লাভে তিন ওভারে কোন রান খরচ করেননি। জর্জ গিফেন ব্যাটিংয়ে না নামায় ১৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী দল। শেষ ছয় উইকেট একই রানে পতন ঘটে।
সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে ১৮.৫৯ গড়ে ৫৩৫টি উইকেট লাভ করেন। ব্যাট হাতে নিয়েও অমূল্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পাঁচটি শতরান ইনিংস খেলেছিলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। আম্পায়ার হিসেবে চারটি প্রথম-শ্রেণীর খেলা পরিচালনা করেছিলেন। ২০ মে, ১৯২৬ তারিখে লিচেস্টারের আয়লেস্টোন পার্ক এলাকায় ৬১ বছর ৩১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
