২ মে, ১৯১৪ তারিখে নাটালের বেরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৪০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
দীর্ঘাকায় গড়ন ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। অসম্ভব ধৈর্য্যশক্তির অধিকারী হিসেবে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। তবে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টা আক্রমণ কার্য পরিচালনা করতেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৩৯-৪০ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। নাটালের সদস্যরূপে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ১৮৫ রান তুলে ইনিংস বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে পরবর্তী পাঁচ বছর কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। যুদ্ধ শেষে দুইটি চমৎকার মৌসুম অতিবাহিত করেন। তন্মধ্যে, ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে ৪৮.৭৫ গড়ে ৫৮৫ রান তুলেছিলেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তাঁকে ঠাঁই দেয়া হয়।
১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। সবকটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯৪৭ সালে অ্যালান মেলভিলের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৫ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। জ্যাক প্লিমসলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্রুস মিচেলের সাথে ইনিংস উদ্বোধনে নেমেছিলেন। তিন ঘণ্টা ক্রিজ আঁকড়ে ৬২ রান তুলেন। তবে, সিরিজের বাদ-বাকী পাঁচ ইনিংস থেকে মাত্র ৩৪ রান যুক্ত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রান তুলতে পেরেছিলেন। সফরকারীরা ৭ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরের ১৬ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৮ ও ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত হন। পরবর্তী দুই মৌসুমে কেবলমাত্র তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৬ জুন, ১৯৯০ তারিখে নাটালের ডারবানে ৭৬ বছর ৪৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
