১২ ডিসেম্বর, ১৯১৪ তারিখে ট্রান্সভালের মিডেলবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক কিংবা লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
দ্রুতলয়ে রান সংগ্রহে বেশ তৎপরতা দেখাতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৩৩-৩৪ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ট্রান্সভাল দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হন। সন্দেহাতীতভাবেই বিশ্বযুদ্ধের কারণে নিজের স্বর্ণালী সময় নষ্ট হয়ে যায়। ঘরোয়া আসরে দূর্দান্ত খেলার সুবাদে ৩৩ বছর বয়সে ১৯৪৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে দলের সাথে যান। গ্রীষ্মে দারুণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ৩০.৬০ গড়ে ৬১২ রান তুলেন। তবে, কোন টেস্ট খেলার সুযোগ লাভ করতে পারেননি।
অবশেষে, ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে নিজ দেশে পুণরায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত জর্জ মানের নেতৃত্বাধীন সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ওয়েন উইন ও কুয়ান ম্যাকার্থি’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩৭ ও ৪৮ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে অ্যালেক বেডসারের শিকারে পরিণত হন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ২ উইকেটে পরাজিত হলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
কিন্তু, এ পর্যায়ে নিজের স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করে ফেলেছেন। ঐ বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ও পরবর্তী গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাদ-বাকী দুই টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু কোন টেস্টেই তেমন গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৮ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে নিজ দেশে লিন্ডসে হ্যাসেটের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৩ মার্চ, ১৯৫০ তারিখে জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৫৯ রানে পরাজিত হলে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১০ মার্চ, ২০০৯ তারিখে জোহানেসবার্গের এল্টন হিল এলাকায় ৯৪ বছর ৮৮ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
