ডিন এলগার
১১ জুন, ১৯৮৭ তারিখে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের ওয়েলকম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করে থাকেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটিয়ে থাকেন। ২০০৫ সালে ফ্রি স্টেটের পক্ষে একগুচ্ছ দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে বর্ষসেরা দক্ষিণ আফ্রিকান ডিস্ট্রিক্ট খেলোয়াড়ের ট্রফি লাভ করেন। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ প্রতিযোগিতায় দলের ফলাফল ভালো না হলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন।
২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ঈগলস, ফ্রি স্টেট ও টাইটান্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে প্রিটোরিয়ায় অনুষ্ঠিত নর্দার্নস বনাম ফ্রি স্টেটের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। শুরুরদিকের খেলাগুলোয় তেমন সফলতা না পেলেও পরবর্তীতে স্বীয় প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে থাকেন। তবে, অভিষেক মৌসুমে ২২৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাইটসের সদস্যরূপে চুক্তিবদ্ধ হন ও সানফয়েল সিরিজ এন্ড মোমেন্টাম ওয়ান ডে কাপে অংশ নেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের ছয় বছর পর নভেম্বর, ২০১২ সালে তাঁকে প্রোটীয় দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১১-১২ মৌসুমের সীমিত-ওভারের খেলাগুলোয় অনবদ্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ঠাঁই দেয়া হয়েছিল। তবে, জানুয়ারি, ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে রাখা হলেও হাঁটুর আঘাতের কারণে কোন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০১২ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ আগস্ট, ২০১২ তারিখে কার্ডিফে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তবে, টেস্টের ন্যায় ওডিআইয়ে তেমন সফলতা পাননি।
২০১২-১৩ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ৩০ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অভিষেকে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে মিচেল জনসনের বলে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। বল হাতে নিয়ে ০/৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। তবে, হাশিম আমলা’র অনবদ্য শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ৩০৯ রানে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।
একই মৌসুমে নিজ দেশে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ২১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ভার্নন ফিল্যান্ডারের বোলিং শৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৭ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ১১ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ২১ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম টেস্ট শতরানের সন্ধান পান। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১০৩* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ডেল স্টেইনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১৯৩ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর হাশিম আমলা’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ের গমন করেন। ৯ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬১ ও ২১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অভিষেক ঘটা ডেন পাইতের বোলিং সাফল্যে সফরকারীরা ৯ উইকেটে জয় পায়।
গ্যারি কার্স্টেনের (১০০*) পর ষষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েন। ২০১৫ সালে ডারবান টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ মার্চ, ২০১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত টেস্টে ১৪০ রান তুলে সর্বোচ্চ সংগ্রহকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান।
২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১২৭ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ১২৯ ও ৫৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, কাগিসো রাবাদা’র বোলিং দাপটে স্বাগতিকরা ২৮২ রানে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। জ্যঁ পল ডুমিনি’র অসাধারণ ব্যাটিং সাফল্যে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১১৮ রানে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। এ সিরিজে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
একই মৌসুমে ফাফ ডু প্লিসি’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ রানে পৌঁছানোকালে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে ৫ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রেই কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর স্প্রিংবকের নেতৃত্বে থেকে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৬ জুলাই, ২০১৭ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৫৪ ও ২ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে মঈন আলী’র বলে বিদেয় নিয়েছিলেন। মঈন আলী’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে সফরকারীরা ২১১ রানে পরাজিত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
২০১৭-১৮ মৌসুমে নিজ দেশে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজেই অসাধারণ খেলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন ও কয়েকবার ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৪০ রান অতিক্রম করেন। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১৯৯ ও ১৮ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিং কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ৩৩৩ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
এরপর, ৬ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে ব্লোমফন্তেইনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১১৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। কাগিসো রাবাদা’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ২৫৪ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। এ সিরিজে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৯-২০ মৌসুমে ফাফ ডু প্লিসি’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ভারত সফরে যান। ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে রাঁচিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে তিনি ১৬ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। অতঃপর, ২৮.৩ ওভার শেষে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে থিউনিস ডি ব্রুন মাঠে নামেন। খেলায় তিনি ০ ও ১৬* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। করেছিলেন। রোহিত শর্মা’র অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ২০২ রানে পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০২০-২১ মৌসুমে নিজ দেশে দিমুথ করুণারত্নে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত খেলেন। ৩ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ১২৭ ও ৩১* লাভ করেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিং সাফল্যে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও, ২৫৩ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।
২০২১ সালে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর স্প্রিংবকের নেতৃত্বে থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ১০ জুন, ২০২১ তারিখে গ্রোস আইলেটে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে কেমার রোচের বলে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। তবে, কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ অপরাজিত শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৬৩ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
২০২২-২৩ মৌসুমে স্প্রিংবককে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২৬ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ডেভিড ওয়ার্নারের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮২ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে রোহিত শর্মা’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখের বক্সিং ডেতে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১৮৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। পাশাপাশি, একটি রান-আউটের সাথে নিজেকে জড়ান। তাঁর অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩২ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
একই সফরের ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪ ও ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ সিরাজের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা তিনদিন বাকী থাকতেই ৭ উইকেটে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এ পিচটিকে খেলার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। এ সিরিজে ২০১ রান সংগ্রহ করে যশপ্রীত বুমরা’র সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।