ডেভিড ওয়ার্নার
২৭ অক্টোবর, ১৯৮৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ-ব্রেক কিংবা ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। অসাধারণ ফিল্ডিং করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিধ্বংসী ও ক্ষীপ্রতা সহকারে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হয়ে থাকেন। হাওয়ার্ড ওয়ার্নার ও লরেইন ওয়ার্নার দম্পতির সন্তান। স্টিভেন নামীয় তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রয়েছে। ‘লয়েড’ ডাকনামে ভূষিত ডেভিড ওয়ার্নার ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে গমন করেন ও শীর্ষ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এরপর, আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পান।
২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস; নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, সেন্ট লুসিয়া স্টার্স, সিডনি সিক্সার্স, সিডনি থান্ডার, সিডনি সাউথ ইস্ট, উইনিপেগ হকস, সিলেট সিক্সার্স, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে খেলেছেন। ৫ মার্চ, ২০০৯ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যকার খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।
২০০৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করছেন। ১১ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। এরফলে, ১৩২ বছরের মধ্যে প্রথম অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার হিসেবে কোনরূপ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়া ব্যতিরেকে জাতীয় দলে খেলেন। একই সফরের ১৮ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে হোবার্টে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন।
২০১১-১২ মৌসুমে নিজ দেশে রস টেলরের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। মিচেল স্টার্ক ও জেমস প্যাটিনসনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩ ও ১২* রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, জেমস প্যাটিনসনের সুন্দর বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ৯ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানে পৌঁছানোকালে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। এ ইনিংসে ১৫ রান তুলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রান সংগ্রহ করে আবারও পূর্বতন সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে ১২৩* সংগ্রহ করেন। টেস্টে এটিই তাঁর প্রথম শতক ছিল। তাঁর অসাধারণ শতক সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ৭ রানে পরাজিত হলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১২ ও ১১৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। মিচেল জনসনের অনবদ্য বোলিং কৃতিত্বে সফরকারীরা ২৮১ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
২০১৫-১৬ মৌসুমে নিজ দেশে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের এটিই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল। খেলায় তিনি ১ ও ৩৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। জশ হজলউডের চমৎকার বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৩ উইকেটে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। এ সিরিজে ৫৯২ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
একই মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ফিরতি সফরে স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। অ্যাডাম ভোজেসের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫২ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ৩ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ১১৩ ও ৫৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২২০ রানে জয় পেয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
ওডিআই ও টি২০আইয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৬ সালে টেস্টের তুলনায় ওডিআইয়ে অধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আইসিসি প্রণীত বিশ্ব ওডিআই একাদশে ঠাঁই পান। ঐ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে প্রথমবারের মতো দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমের ট্রান্স-তাসমান ত্রি-দেশীয় সিরিজে দলের নেতৃত্বে ছিলেন।
বিশ্বের সর্বাপেক্ষা আগ্রাসী শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। প্রতিপক্ষীয় বোলিং আক্রমণ নস্যাৎ করে দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে টেস্ট ও ওডিআইয়ে দলের সহঃঅধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। কিছুটা বিতর্কের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন। ২০১৮ সালের বল আঁচড়ানোর ঘটনা এর অন্যতম। ২০১৮ সালে দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। তবে, কেপটাউন টেস্টে স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ে ১২ মাসের জন্যে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসে পুণরায় রান সংগ্রহে তৎপর হন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহকে পরিণত হন।
২০১৯-২০ মৌসুমে নিজ দেশে আজহার আলী’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত খেলা প্রদর্শন করেন। একমাত্র ইনিংসে ৩৩৫* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ত্রি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৪৮ রানে জয় পেয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও, ৪৮৯ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।
একই মৌসুমে নিজ দেশে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে অংশ নেন। সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৪৩ ও ১৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মিচেল স্টার্কের অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২৯৬ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ৩ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৪৫ ও ১১১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, মারনাস লাবুসেনের অসাধারণ ব্যাটিং সাফল্যে স্বাগতিকরা ২৭৯ রানে জয় পেয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
২০২২-২৩ মৌসুমে নিজ দেশে ডিন এলগারের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত খেলেন ও ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের ঐ ইনিংসে ব্যক্তিগত ২০০ ও দলীয় সংগ্রহ ৩২৮/৩ থাকাকালে আঘাতের কবলে পড়েন। এরপর, দলের সংগ্রহ ৩৯৫/৪ থাকাকালীন মাঠে ফিরে আসেন। ৭৭ ওভার পর আবারও মাঠ ত্যাগ করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২০০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৮২ রানে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
একই সফরের ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। উসমান খাজা’র অসাধারণ শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। এ সিরিজে ২১৩ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩৪ ও ৫৭ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। আমির জামালের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয় পেল ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে একাধিকবার ও উপর্যুপরী অ্যালান বর্ডার পদক লাভ করেন। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওডিআই খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। ক্যান্ডাইস ফলজোন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির তিন কন্যা রয়েছে।