১৬ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে সিলনের কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
খুবই ছোটবেলা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। কার্যকর ব্যাটসম্যান ও অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে ১৯৮৮-৮৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ডলফিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলের সহঃঅধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সাতটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে নিজ দেশে মুশতাক মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ১০ মার্চ, ১৯৭৯ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। পিটার স্লিপের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৪৩ ও ১৫ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রে সরফরাজ নওয়াজের বলে বিদেয় নেন। সফরকারীরা ৭১ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৯৭৯-৮০ মৌসুমে কিম হিউজের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। ৩ নভেম্বর, ১৯৭৯ তারিখে বোম্বের ওয়াংখেড়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৬ ও ০ রান সংগ্রহসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১০০ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এছাড়াও, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ১৮ জানুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন।
অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট চলাকালীন দূর্বলতর হয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়া দলে খেলার সুযোগ পান। তবে, সীমিত পরিসরে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করে কোচিংয়ে মনোনিবেশ ঘটান।
নিজ দেশে ফিরে যান। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ে শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বীর বনে যান। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল লীগের শিরোপা বিজয়ে ল্যাঙ্কাশায়ার দলকে প্রশিক্ষণ দেন। এ পর্যায়ে দলটি ১৯৯৮ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির শিরোপা পেয়েছিল। এরপর, আবারো শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্বে ছিলেন।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৫ সালে দলটি অস্ট্রেলিয়াকে এবং ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করেছিল। পরবর্তীতে, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কোচ ছিলেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে বিশ্বকাপকে ঘিরে জিম্বাবুয়ের কোচ হন। ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে ২০২২ সালে টি২০ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে নেপালের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন। ২৭ আগস্ট, ২০২১ তারিখে আইসিসি ক্রিকেট লীগ চলাকালে অব্যাহতি দানের কথা ঘোষণা করা হয়।
