৭ অক্টোবর, ১৮৯৬ তারিখে তাসমানের লোয়ার মুতেরে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। চমৎকার বামহাতি অল-রাউন্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
টেস্ট ক্রিকেটে খুব কমই সফলতা লাভে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ১৯২১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাপ্তি ছিল। ১৯২৭ সালে এজবাস্টনে ওয়ারউইকশায়ার দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ৩০১ রানের জুটি গড়েন। সি. এস. ডেম্পস্টারের ১৮০ রানের পাশাপাশি নিজে করেছিলেন ১৩১ রান। এরপর, চিসউইকে সিভিল সার্ভিস দলের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে নিরবচ্ছিন্নভাবে ১৯০ রান করেন। তাঁর অপরাজিত ১০২ রানের পাশাপাশি জে. ই. মিলস অপরাজিত ১০৪ রান তুলেন। ১৯২৫-২৬ মৌসুমে সিডনিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ২৪৪ রান তুলেন। ডব্লিউ. আর. প্যাট্রিক ১৪৩ ও তিনি ১১৬ রান তুলেন।
ধীরগতিসম্পন্ন মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে কিছু সুন্দর খেলা উপহার দিয়েছেন। ১৯২৭ সালে ওয়েস্ট-সাপার-মেয়ারে ৫ ওভার ৩ মেইডেন ৩ রান ৫ উইকেট পান। সমারসেটের ১৬২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হলে ৬৭ রানে অল-আউট হয় ও ৯৪ রানে পরাভূত হয়। হকস বে, অকল্যান্ড ও ওতাগোর পক্ষেও দারুণ খেলেছিলেন।
১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে মাত্র ছয়টি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯২৭ ও ১৯৩১ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। নিজ দেশে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯২৫-২৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেছিলেন তিনি। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যারল্ড জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। হার্ব ম্যাকগিরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১/৮৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। প্রথম দুই দিন বৃষ্টিবিঘ্নিত হলে চতুর্থ টেস্টের আয়োজন করা হয়।
১৯৩১ সালে টম লরি’র নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। এটিই নিউজিল্যান্ড দলের প্রথম বিদেশ সফর ছিল। ২৭ জুন, ১৯৩১ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৩ ও ২০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/৩৪ ও ১/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৩১-৩২ মৌসুমে নিজ দেশে জক ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৪ মার্চ, ১৯৩২ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ২৬ ও ১৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৮০ ও ০/২৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৯ নভেম্বর, ১৯৭৩ তারিখে ৭৭ বছর ৪৩ দিন বয়সে অকল্যান্ডে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
