৩০ অক্টোবর, ১৯৬২ তারিখে জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাশাপাশি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৭ মিটার) দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী। এরিক ওয়ালস ও জন ওলাস্টন দম্পতির সন্তান ছিলেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় ১৯৭৯ সালে এক ইনিংসের সবকটি উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ১৯৮১-৮২ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮১-৮২ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত জ্যামাইকা এবং ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮২ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। প্রায় ২০ বছর জ্যামাইকা ও গ্লুচেস্টারশায়ারের বোলিং আক্রমণে প্রধান চালিকাশক্তিতে নিজেকে পরিণত করেছিলেন। সব মিলিয়ে ১০৪বার পাঁচ-উইকেট লাভসহ ১৮০৭ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯৮৪ থেকে ২০০১ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বমোট ১৩২ টেস্ট ও ২০৫টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। টেস্ট ও ওডিআই – উভয় ধরনের ক্রিকেটেই স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ৯ নভেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তবে, মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল ও জোয়েল গার্নারসমৃদ্ধ শক্তিধর ফাস্ট-বোলিং নির্ভর দলে অবস্থান করায় তাঁকে প্রথম ইনিংসে বোলিং করার সুযোগই দেয়া হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২/৪৩ লাভ করেছিলেন। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাইকেল হোল্ডিংয়ের অনবদ্য বোলিংশৈলীতে সফরকারীরা ইনিংস ও ১১২ রানে জয়লাভ করে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। ঐ মৌসুমে ৫০৭ রান খরচায় ১৬ উইকেট দখল করেছিলেন।
একই মৌসুমে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৪ মে, ১৯৮৫ তারিখে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ১/৩০ ও ২/৪৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ১২* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ম্যালকম মার্শালের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলায় স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে ভিভ রিচার্ডসের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৪৬ ও ১/৫৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। জন রাইটের অনবদ্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
অভিষেক টেস্টের চার বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি উল্লেখযোগ্য সফলতা লাভ করেন। নিজস্ব ১৮তম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে হ্যাট্রিক লাভের গৌরব অর্জন করেন। নতুন বল নিয়ে ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা জুটির সাথে জড়িয়ে পড়েন। কার্টলি অ্যামব্রোসকে সাথে নিয়ে ৪৯ টেস্টে বোলিং আক্রমণ করে তাঁরা একত্রে ৪২১ উইকেট দখল করেন।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ক্যারিবীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে এসি প্যারোরেকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৬/৬২। এরপর, নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে বিএ ইয়ংয়ের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ২৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ৭/৩৭ ও ৬/১৮ লাভ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিং কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩২২ রানে পরাভূত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৫ সালে রিচি রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ আগস্ট, ১৯৯৫ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিং করতে হয়নি। তবে, বল হাতে নিয়ে ১/৮৪ ও ১/৮০ লাভ করেছিলেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে মাইক ওয়াটকিনসনকে বিদেয় করে ৩০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ব্রায়ান লারা’র অসাধারণ শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে ব্রায়ান লারা’র নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। স্মর্তব্য যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ – দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার এটিই প্রথম টেস্ট ছিল। ২৬ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হন। কয়েকবার ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। জ্যাক ক্যালিসকে বিদেয় করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকে পরিণত হন। এ পর্যায়ে অ্যাডাম বাখেরের প্রথম উইকেট লাভ করে নিজস্ব ৩৭৬তম উইকেট পান। এরফলে এমডি মার্শালের রেকর্ডের সমকক্ষ হয়েছিলেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৪/৬৬ ও ৩/৪৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একটি রান-আউটের সাথে নিজেকে জড়ান। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে নিয়ে ৫* ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, শন পোলকের বলে দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নিলে টেস্টে ৩০তম শূন্য লাভ করে অমর্যাদাকর রেকর্ডকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যান। শন পোলকের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৪ উইকেটে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
২০০০ সালে কপিল দেবের সংগৃহীত সর্বাধিক ৪৩৪ টেস্ট উইকেট লাভের ছয় বছরের পুরনো রেকর্ড ভঙ্গ করেন। নিজ শহরের সাবিনা পার্কে হেনরি ওলোঙ্গাকে বিদেয় করে ৪৩৫তম উইকেট দখল করেন। নিজস্ব ১১৪তম টেস্টে এ সাফল্য পান ও কপিল দেবের তুলনায় ১৭ খেলা কম ছিল।
২০০০ সালে ক্যারিবীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। লর্ডসে নিজের সর্বশেষ খেলায় ১১৭ রান খরচায় ১০ উইকেট দখল করেন। তাঁর প্রাণান্তঃকর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সফরকারীরা স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে চার উইকেট লাভের পর মাত্র ১৮৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হওয়া স্বাগতিকদের বিপক্ষে বল হাতে মেলে ধরতে তৎপর হন। তিনি নিজের সেরা সময়ে ছিলেন, ফাস্ট বোলিং করতেন ও পুরো ইংরেজ ব্যাটিং মেরুদণ্ড গুড়িয়ে দেন। মাইকেল অ্যাথার্টন, মার্ক রামপ্রকাশ, মাইকেল ভন, গ্রায়েম হিক, অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও ক্রেগ হোয়াইটকে বিদেয় করে ছয় উইকেট পান। সব মিলিয়ে ১০ উইকেট লাভ করে লর্ডস অনার্স বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর এ প্রাণান্তঃকর চেষ্টা বৃথা যায়। স্বাগতিক দল নাটকীয়ভাবে দুই উইকেটে জয়লাভে সক্ষম হয়।
২০০১ সালে প্রথম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। একই বছরের ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে কিংস্টনে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে শন পোলকের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। খেলায় তিনি ৩/৩১ ও ৩/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৪ ও ৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ে। রিডলি জ্যাকবসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৩০ রানে জয় পেলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
অবসর গ্রহণকালীন ২৪-এর অল্প বেশী গড়ে ৫১৯ উইকেট লাভ করেন। ২০০৪ সালে মুত্তিয়া মুরালিধরন তাঁর রেকর্ড ভঙ্গ করে নিজের করে নেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্য যে-কোন বোলারের চেয়ে সর্বাধিকসংখ্যক বোলিং করে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ২২ টেস্টে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। তিনি রিচি রিচার্ডসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
১০ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে হোবার্টের তাসমানিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে বিশ্ব সিরিজ কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ঐ খেলায় ১০ ওভার বোলিং করে ১/৪৭ পেয়েছিলেন। এরপর থেকে একদিনের আন্তর্জাতিকে ২২৭ উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৫/১ পেয়েছিলেন। ১১ জানুয়ারি, ২০০০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।
সব মিলিয়ে ৪২৯টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন। ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধের ছিলেন না। দূর্ভাগ্যজনকভাবে শূন্য রানে বিদেয় নেয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় ইংল্যান্ডের রেগ পার্কস ও চার্লি পার্কারের পর ১০৩বার বিদেয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ডীয় পেসার ক্রিস মার্টিনকে (৩৬) পাশ কাটিয়ে ১৫৮টি টেস্ট ইনিংসের ৪৩টিতে শূন্য রানে বিদেয় নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন।
১৯৮৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন। এছাড়াও, জ্যামাইকার পঞ্চম সর্বোচ্চ সম্মাননা অর্ডার অব জ্যামাইকা লাভ করেন। এ সম্মাননাটি ব্রিটিশ সম্মাননা নাইটহুডের সমতূল্য। ২০১০ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।
ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর বাংলাদেশে বোলিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন। এক পর্যায়ে প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট কমিটির বিশেষ পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডব্লিউআইসিবি’র কোড অব এথিক্স এন্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও, ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
