২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১.৯৪ মিটার উচ্চতার অধিকারী। বেশ নিখুঁত মানসম্পন্ন ও দক্ষতার সাথে ধীরগতির বোলিং করতেন। বেশ ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হন। নর্থ ওয়েস্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পাস্কো ভেল সেন্ট্রাল ক্রিকেট ক্লাবে অংশ নেন। নিজের পরিচিত ঘটাতে তৎপর হন। কিশোর পর্যায়ে এনডব্লিউসিএ’র সাথে খেলার পর অনূর্ধ্ব-২১ বয়সীদের দলে খেলেন। সুন্দর খেলে অস্ট্রেলিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দল এসেনডন ক্রিকেট ক্লাবে খেলার সুযোগ পান।
২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার ও ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, মেলবোর্ন স্টার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও সিডনি থান্ডারের পক্ষে খেলেছেন। ২৪ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত কুইন্সল্যান্ড বনাম ভিক্টোরিয়ার মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে প্রবেশ করেন। তিন মৌসুম বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে লিচেস্টারশায়ারে খেলেন। অতঃপর, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে মাইকেল কারবেরিকে দুই বছরের চু্ক্তিতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট, ৫৯টি ওডিআই ও দুইটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। আঘাতে জর্জড়িত দলের সদস্যরূপে ২০০৯ সালে ভারত সফরে যান। ৫ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে হায়দ্রাবাদের ডেকানে অনষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। শচীন তেন্ডুলকরের উইকেটসহ খেলায় ৩/৫৮ লাভ করেন।
২০০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে ক্রিস গেইলের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে দিনেশ রামদিনের উইকেট পেয়েছিলেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ০/৪৫ ও ১/৫৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ১০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক ক্রিস গেইলের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলী সত্ত্বেও সফরকারীরা ৩৫ রানে পরাভূত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
৩০ মার্চ, ২০১৬ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। বিগ ব্যাগ ক্রিকেটে ব্যতিক্রমধর্মী অভিজ্ঞতায় পরিপুষ্ট হয়েছেন। প্রতিযোগিতা শুরুর পর থেকে প্রত্যেক মৌসুমেই খেলেছেন। সাত বছরব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্যে তিনবারই থান্ডারের পক্ষাবলম্বন করেছেন। বিবিএলের পঞ্চম আসরে ও থান্ডারের প্রথম মৌসুমে শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহকের মর্যাদা পান। দশ খেলা থেকে ১৮ উইকেট লাভের ফলে ঐ মৌসুমে থান্ডার দল সফলতার সন্ধান পায়।
