| | |

চেতন চৌহান

২১ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে উত্তরপ্রদেশের বারিলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

শ্রী নবরতন সিং চৌহানের সন্তান ছিলেন। মহারাষ্ট্রের পুণেভিত্তিক এ. ওয়াদিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং বি.এ., বি.কম ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে ব্যাপকসংখ্যক রান তুলেন। মহারাষ্ট্র ও দিল্লির পক্ষে রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম নির্ভীক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পরিচিতি লাভ করেছেন। ১৯৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত সুনীল গাভাস্কারের সাথে জুটি গড়ে মূলতঃ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কৌশলগতভাবে সীমাবদ্ধতা ছিল ও স্ট্রোক প্লেও সহজাত প্রকৃতির ছিল না। তাসত্ত্বেও, তাঁর সাহসী ভঙ্গীমার বিষয়ে কোনরূপ প্রশ্ন তৈরী হয়নি। রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে বলের কাছে ব্যাটকে নিয়ে যেতেন। মনোসংযোগ ও ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দিতেন।

১৯৬৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরব্যাপী খেলোয়াড়ী জীবনে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ৪০ টেস্ট ও সাতটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২২ বছর বয়সে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে বোম্বের বিএসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। অজিত পাই ও অশোক মানকড়ের সাথে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১৮ ও ৩৪ রান সংগ্রহের পাশাপাশি একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ঐ টেস্টে স্বাগতিকরা ৬০ রানে জয়লাভ করে ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

দুই টেস্ট পরই অবশ্য দল থেকে বাদ পড়েন। একই মৌসুমের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে তিন বছর দলের বাইরে থাকেন।

রঞ্জী ট্রফিতে দারুণ খেলার সুবাদে ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলার জন্যে তাঁকে পুণরায় ভারত দলে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ভাঙ্গা চোয়াল নিয়ে হরিয়াণার বিপক্ষে ১৫৮ রান তুলেন। এরপর, ঐ মৌসুমের শেষদিকে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২০০ ও কর্ণাটকের বিপক্ষে ১৪৭ রান সংগ্রহ করেন। পরের মৌসুমের শুরুতে দিলীপ ট্রফিতে আরও একটি শতরানের ইনিংস খেলার কারণে পুণরায় ভারত দলের সদস্যরূপে ঠাঁই পান।

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের মাধ্যমে মূলতঃ নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। সফরের প্রথম খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১৫৭ রান তুলেন। দর্শনীয় এ ইনিংসে মাত্র দুইটি চারের মার মেরেছিলেন। পার্থে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলার সুযোগ পান। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান তুলেন। এরপর থেকে সুনীল গাভাস্কারের সাথে নিয়মিতভাবে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। কেবলমাত্র খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে একটি টেস্টে তাঁরা একত্রে খেলেননি।

খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী সময়ে প্রায়শঃই একত্রে খেলতেন। দিল্লির উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে ইনিংস উদ্বোধন করতে পাঠানো হয়। উভয়ে ৫৯ ইনিংস থেকে ৩০১০ রান তুলেন। বীরেন্দ্র শেহবাগ ও গৌতম গম্ভীর এগারোটি শতরানের জুটি সহযোগে ৪৪১২ রান তুলে তাঁদের দশটি শতরানের ইনিংসকে ম্লান করে দিলেও ৫৩.৭৫ গড়ে রান তুলে প্রথম উইকেটে ১০০০ বা ততোধিক রান সংগ্রহকারী যে-কোন ভারতীয় জুটির তুলনায় শীর্ষে অবস্থান করছে।

ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সুনীল গাভাস্কারের সাথে অন্যতম সেরা উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে নিজেদের সেরা ইনিংস খেলেন। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৪৩৮ রানের দূরূহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁরা প্রথম উইকেটে ২১৩ রান যুক্ত করেন। তবে, মাত্র নয় রানের জন্যে সফরকারীরা জয় পায়নি ও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে দশমবারের মতো জুটি গড়েন।

১৯৭৯ সালে ওভালে তাঁরা নিজেদের সেরা খেলা উপহার দেন। ২১৩ রানের জুটি গড়লে নাটকীয়ভাবে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত দল। এরফলে, তাঁরা ১৯৩৬ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিজয় মার্চেন্টমুশতাক আলী’র মধ্যকার গড়া ২০৩ রানের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে নিজেদের করে নেন। তাঁর খেলার ধরন তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। এ সময়ে তিনি ৮০ রান তুলেন। তবে, কঠিন পরিস্থিতি সামলে নিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। স্ট্রোক খেলতেন সীমিত পর্যায়ের। বলকে সঠিকভাবে মোকাবেলায় অগ্রসর হতেন ও ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন বোলারদেরকে রুখে দিতেন। ডেনিস লিলি ও লেন পাস্কো’র বোলিংয়ের বিপক্ষে ৪১.৫০ গড়ে ২৪৯ রান তুললেও গাভাস্কার মাত্র ১৯.৬৬ গড়ে ১১৮ রান তুলতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, তাসমান সাগর অতিক্রম করে রিচার্ড হ্যাডলি’র বিপক্ষেও সুনীল গাভাস্কারের তুলনায় ভালো অবস্থানে ছিলেন।

কিন্তু, সুনীল গাভাস্কার যেখানে শতরানের ফুলঝুড়ি ছোঁটাতে থাকেন, সেখানে তিনি তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে একটি শতকেরও সন্ধান পাননি। অ্যাডিলেডে শতরানের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করেন। তবে, অনেকটা অবিবেচনাপ্রসূত অবস্থায় লেট-কাটে ৯৭ রানে বিদেয় নিতে বাধ্য হন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে লাহোরেও কাছাকাছি পর্যায়ে ছিলেন। ইমরান খানসরফরাজ নওয়াজের ন্যায় বোলারদের রুখে দিয়ে ৯৩ রান তুলেছিলেন। জেফ থমসনকে রুখে দিয়ে ৮৮ এবং ইয়ান বোথামবব উইলিসের বল মোকাবেলা করে ৮০ রান তুলেন।

১৯৮০-৮১ মৌসুমে সুনীল গাভাস্কারের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২৪৯ রান তুলেছিলেন তিনি। অ্যাডিলেড টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৭ রান তুলেন। মেলবোর্নে পরের টেস্টে প্রথম উইকেট জুটিতে সুনীল গাভাস্কারের সাথে ১৬৫ রান তোলার পর এলবিডব্লিউতে বিদেয় নেন। তবে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মনক্ষুন্ন অবস্থায় সুনীল গাভাস্কার তাঁকে নিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে চাইলে দলীয় ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার শহীদ দুরানি’র হস্তক্ষেপে অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে মুক্তি পায় ভারত দল।

অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে ১৯৮০-৮১ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে সুনীল গাভাস্কারের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে একটিমাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে ১৭ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, সন্দীপ পাতিলের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও সফরকারীরা ৬২ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ১৩ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩৬ ও ৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। রবি শাস্ত্রী’র অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের কারণে টেস্টটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এরপর, আর তাঁকে ভারত দলে খেলতে দেখা যায়নি।

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণকালীন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনরূপ শতরান ব্যতিরেকেই সর্বাধিক ২০৮৪ রান তুলে রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীতে, শেন ওয়ার্ন ৩১৫৪ রান তুলে তাঁকে টপকে যান। ব্রুস লেয়ার্ড, জক ক্যামেরন ও কেন ম্যাকের ন্যায় খেলোয়াড়দের সাথে তিনিও ৩০ ঊর্ধ্ব গড়ে সহস্র রান পেলেও শতক হাঁকাতে পারেননি। ১৬টি অর্ধ-শতক হাঁকালেও যে-কোন ব্যাটসম্যানের তুলনায় শতকবিহীন অবস্থায় শীর্ষে রয়েছেন। ১৯৮৫ সালে রঞ্জী ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় বোম্বের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ভাঙ্গা আঙ্গুল নিয়ে ৯৮ ও ৫৪ রান তুলেছিলেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিভিন্নভাবে ক্রিকেটের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরূপে দায়িত্ব পালন করেন। উত্তরাঞ্চলের দল নির্বাচক হন। ২০০১ সালে নিজ দেশে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারত দলের ব্যবস্থাপক হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট সংস্থার সহঃসভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন ২০০৬ সালে দিল্লি দলের কোচ হন। ২০০৭ সালে আফ্রো-এশিয়া কাপে দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। উত্তরপ্রদেশের আমরোহা নির্বাচনী এলাকা থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংসদ সদস্যরূপে দুইবার জয়লাভ করেছেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৮ সালের লোকসভার সদস্য হন। ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে অর্থ কমিটি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য হন। মূলতঃ ক্রিকেট ও ব্যাংকিং খাতে তাঁর আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। খেলাধূলা, পড়াশুনো ও সঙ্গীতের মাধ্যমে অবসর সময় ও বিনোদন খুঁজে পেতেন। ১৯৮১ সালে ক্রিকেট খেলায় অসামান্য ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ৫ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে শ্রীমতি সঙ্গীতা ত্রিহান চৌহানের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছেন। ১৬ আগস্ট, ২০২০ তারিখে গুরুগ্রামে কোভিড-১৯ অতিমারীজনিত রোগে আক্রান্ত হলে ৭৩ বছর ২৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    হার্বি ওয়েড

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০৫ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ১৯৩০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেন। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে নেতৃত্ব দেন। ছোটখাটো গড়নের অধিকারী ছিলেন। সহপাঠী এইচ. বি. জক ক্যামেরনকে সাথে নিয়ে হিল্টন কলেজ একাদশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।…

  • |

    আশীষ কাপুর

    ২৫ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে তামিলনাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দারুণ অফ-স্পিন বোলিং করতেন। বলকে শূন্যে ভাসিয়ে মারতেন ও বৈচিত্র্যতা আনয়ণে সক্ষম ছিলেন। সর্বদাই মিতব্যয়ীভাব বজায় রাখতেন ও হাল ছেড়ে দিতেন না। সচরাচর সাত নম্বর অবস্থানে…

  • | |

    ভার্নন ফিল্যান্ডার

    ২৪ জুন, ১৯৮৫ তারিখে বেলভিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংয়ে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘প্রো’ কিংবা ‘দ্য সার্জন’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। দ্রুততম বোলার না হলেও উপযোগী পরিবেশে সর্বাপেক্ষা বিপজ্জ্বনক বোলারে পরিণত হতেন। বলে নিখুঁতভাব…

  • |

    মার্ক বুচার

    ২৩ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে সারের ক্রয়ডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘বুচ’ কিংবা ‘ব্যাজ’ ডাকনামে পরিচিত মার্ক বুচার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ক্রয়ডনভিত্তিক ট্রিনিটি স্কুল ও আর্চবিশপ টেনিসন্সে অধ্যয়ন করেছেন। মাতা এলেন জ্যামাইকীয় ও…

  • |

    সায়মন হারমার

    ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯ তারিখে ট্রান্সভালের প্রিটোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিং শৈলী প্রদর্শন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়ারিয়র্স, বর্ডার ও ইস্টার্ন প্রভিন্স এবং…

  • | | | |

    রমিজ রাজা

    ১৪ আগস্ট, ১৯৬২ তারিখে পাঞ্জাবের লায়লপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তাঁর জন্ম। দর্শনীয় ডানহাতি ধ্রুপদী ব্যাটিংশৈলীর অধিকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। দূর্দান্ত স্ট্রোকপ্লের কারণে সমর্থকদের কাছে বিপুল সমাদৃত ছিলেন।…