৮ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে মিডল্যান্ডসের কেউইকেউই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। তবে, একদিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক ও উইকেট-রক্ষণে পারদর্শী। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ড, মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স, ওয়েস্টার্নস ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৮ সালে মাতাবেলেল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। এরফলে, ১৫ বছর ৩০৩ দিন বয়স নিয়ে জিম্বাবুয়ের সর্বকনিষ্ঠ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। খেলা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে নিয়মিত খেলোয়াড়ের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলেই এ সুযোগ পেয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার চার্লস কভেন্ট্রি’র সন্তান। ‘চপ্পা’ ডাকনামে পরিচিত। বুলাওয়ের হোয়াইটস্টোন স্কুল ও ক্রিস্টিয়ান ব্রাদার্স কলেজে অধ্যয়নকালীন ক্রিকেট খেলা শিখতে থাকেন। এরপর, বুলাওয়ে অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষে খেলেন। ২০০২ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় জিম্বাবুয়ের সদস্য ছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি সিএফএক্স একাডেমির ছাত্র ছিলেন।
২০০৩ থেকে ২০১৫ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট, ৩৯টি ওডিআই ও ১৩টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ৬ জুলাই, ২০০৩ তারিখে ব্রিস্টলে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। একদিনের ক্রিকেটেই অধিকতর সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের উপযোগী বড় ধরনের ইনিংস খেলাও রপ্ত করতে সচেষ্ট হন। উঁচু ড্রাইভ মারতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাসত্ত্বেও, সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এ পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের আপত্তি ছিল। ঐ বছর নিজ দেশে সৌরভ গাঙ্গুলী’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। টেরি ডাফিনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ইনিংস ও ৯০ রানে সফরকারীরা জয়লাভ করে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ২ ও ২৪ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন।
এরপর, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ভারত দল ১০ উইকেটে জয় পায় ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ৩৭ ও ২৫ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন।
তবে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কোচ কেভিন কারেনের নেতিবাচক প্রতিবেদন দাখিলের ফলে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফর থেকে তাঁকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। ইংল্যান্ডে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। তিন বছর জাতীয় দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। আগস্ট, ২০০৯ সালে দলে প্রত্যাবর্তন করে সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন। বুলাওয়েতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওডিআইয়ে অপরাজিত ১৯৪ রান তুলেন। এরফলে, ওডিআইয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের সাথে স্বীয় নামকে যুক্ত করেন। তাসত্ত্বেও, তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের বদান্যতায় জিম্বাবুয়ে দল ৪ উইকেটে পরাজিত হয়।
