৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ২০০০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ওয়েনবার্গ বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন শেষে স্টেলেনবশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন। সেন্ট জেমস প্লেস ওয়েলথ ম্যানেজম্যান্ট একাডেমি থেকে স্নাতক লাভ করেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বোল্যান্ড, কেপ কোবরাস ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, লিচেস্টারশায়ার ও সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বার্কশায়ারের পক্ষে খেলেছেন।
বৈচিত্র্যবিহীন দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলিং আক্রমণে তাঁকে যুক্তকরণ অনেকাংশেই পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছিল। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী তিনি। বলকে উভয়দিক দিয়েই সুইং করাতে পারতেন। তবে, তাঁর সন্ধান পেতে দল নির্বাচকমণ্ডলীর ছয় বছর লেগে যায়।
২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দলের সাথে শারজাহ গমন করেন। সম্ভাব্য পাঁচটি খেলার মাত্র একটিতে নিষ্প্রাণ হয়ে পড়া খেলায় অংশ নেন। ২৮ মার্চ, ২০০০ সালে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েন। ২/৩৯ লাভ করেন।
এরপর, ২০০০-০১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। সেখানে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে ২৪.৩০ গড়ে ১০ উইকেট দখল করেন। পরবর্তীতে, ২০০৩ সালের শুরুতে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে বাংলাদেশ সফরে যান। ২৪ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অ্যালান ডসন ও জ্যাক রুডল্ফের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ০/৩২ ও ১/৪৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অপর অভিষেকধারী জ্যাক রুডল্ফের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৬০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। তবে, খুব শীঘ্রই টেস্ট দলের বাইরে চলে যান।
একই বছরে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ জুলাই, ২০০৩ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ০/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। দলীয় অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
২০০৫ সালে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর, ২০০৬ সালে কোলপ্যাক চুক্তির আওতায় সমারসেটের পক্ষে খেলেন। ৬৬ উইকেট দখল করে দলকে ২০০৭ সালে খেলার উত্তরণে ভূমিকা রাখেন। ২০১১ সালে ঘোষণা করা হয় যে, দুই বছরের চুক্তিতে তিনি এসেক্সে যোগ দিবেন। এ পর্যায়ে সমারসেটের পক্ষে ৩৪৭টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর, ১৫ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে এসেক্সের সাথে দুই বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর এফটিএসই ১০০ ব্যাংকিং গ্রুপে কাজ করেন। ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে টানটনে আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কুপার অ্যাসোসিয়েটসে কর্মজীবন শুরু করেন।
