১৯ অক্টোবর, ১৯৭০ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৯০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে অ্যান্টোনিয়ান্স স্পোর্টস ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব ও সারাসেন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৯৫ সালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলে সফলভাবে অন্তর্ভুক্ত ঘটান। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সাথে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১১ মার্চ, ১৯৯৫ তারিখে নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। সাতটি ডিসমিসাল ঘটান। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসে মূল্যবান ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। এ পর্যায়ে চামিণ্ডা ভাসের সাথে সপ্তম উইকেটে ৮৯ রান সংগ্রহ করে দ্বি-পক্ষীয় নতুন রেকর্ড দাঁড় করান। পরবর্তীতে, ১৯৯৭ সালে চামিণ্ডা ভাস ও রমেশ কালুবিতরানা’র সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে তাঁদের রেকর্ডকে ম্লান করে দেন।
এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এরফলে, বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার খুব স্বল্পসংখ্যক বিজয়ে অংশ নেন ও প্রথম জয় হিসেবে চিত্রিত হয়। চামিণ্ডা ভাসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ২৪১ রানে জয় তুলে নেয় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
বিশ্বস্ত হাতের ছোঁয়ায় দৃশ্যতঃ শ্রীলঙ্কা দলের উইকেট-রক্ষণের অবস্থানে সঠিকমানের খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, পাকিস্তানে পরবর্তী সফরে পাকিস্তানী ফাস্ট বোলারদের তাণ্ডবে পড়ে তাঁর ব্যাটিং বেশ তলানীতে ঠেকে। তাসত্ত্বেও, উইকেট-রক্ষক হিসেবে স্ট্যাম্পের পিছনে ঠিকই নিজের সেরাটি প্রদর্শনে সচেষ্ট ছিলেন।
তাঁকে পাশ কাটিয়ে রমেশ কালুবিতরানাকে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয়ার জন্যে অস্ট্রেলিয়া সফরে মনোনয়ন দেয়া হয়। তুলনামূলকভাবে বেশ ভালোমানের উইকেট-রক্ষক হলেও দল নির্বাচকমণ্ডলীকে আরও কয়েকজন উন্নততর ব্যাটিং নৈপুণ্যের অধিকারী খেলোয়াড়কে খুঁজে নিতে কার্পণ্য করেন। ফলশ্রুতিতে দুই বছরের মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও তাঁকে বিদেয় নিতে হয়।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে শিয়ালকোটে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১ ও ৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, দলীয় অধিনায়কের দায়িত্বশীল ভূমিকায় সফরকারীরা ১৪৪ রানে জয় পেলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
