১৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে ওয়েলিংটনের লোয়ার হাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। ডানহাতি মিডিয়াম-পেস বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৬০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে স্থানীয় ক্লাব দল হাট ভ্যালির পক্ষে খেলতেন। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান রাখেন। ২০ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। স্বপ্নীল অভিষেক ঘটে তাঁর। ওতাগোর বিপক্ষে ৪/৭০ ও ৭/৪২ লাভ করেন। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমের অভিষেক মৌসুমে ১৬.৬৮ গড়ে ২২ উইকেট দখল করেছিলেন। তবে, এ মৌসুম পরই তাঁর খেলায় ছন্দপতন লক্ষ্য করা যায়।
কেবলমাত্র ১৯৬০-এর দশকে নিজের সেরা খেলা প্রদর্শনে সচেষ্ট হন। তিন মৌসুমে ৫৪ উইকেট পান। ওতাগোর বিপক্ষে ৫/৪১ পান। এরফলে, জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। ১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার জন্যে বিবেচিত হন। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে নিজ দেশে টেড ডেক্সটারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১ মার্চ, ১৯৬৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। মাইক শ্রিম্পটনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। টেড ডেক্সটার ও পিটার পারফিটের উইকেট পেলেও ১২৯ রান খরচ করে ফেলেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১০ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৪৭ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, ব্ল্যাক ক্যাপসের পক্ষে এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও ঘরোয়া আসরে সরব থাকেন। পরের তিন মৌসুম ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলেন। এক পর্যায়ে খেলার মান ক্রমশঃ দূর্বলতর হতে থাকলে হাট ভ্যালিতে ফিরে যান। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সেখানে খেলতে থাকেন। এরপর, অবসর গ্রহণ করেন। সব মিলিয়ে ২৪.১৬ গড়ে ১৬৭ উইকেট লাভ করেছিলেন।
