|

ব্রুস মিচেল

৮ জানুয়ারি, ১৯০৯ তারিখে ট্রান্সভালের ফেরেইরা ডিপ গোল্ড মাইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

লম্বাটে গড়নের অধিকারী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। প্রায়শঃই অনড়, অটল, অবিচল অবস্থায় ক্রিজে অবস্থান করে ঝুঁকিবিহীন অবস্থায় রান সংগ্রহ করতেন। রান সংগ্রহেও বেশ তৎপর ছিলেন ও তাঁকে ক্রিজ থেকে বিদেয় করা বেশ দুরূহ বিষয় ছিল। ১৯২৫-২৬ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯২৯ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বমোট ৪২ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। এ সময়ে দলের সবগুলো টেস্টের সাথে নিজেকে জড়ান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইনিংস উদ্বোধনে নেমেছিলেন। ১৯২৯ সালে হুবার্ট নামি ডিনের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৫ জুন, ১৯২৯ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। টাপি ওয়েন-স্মিথ, জিম ক্রিস্টি ও নেভিল কুইনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৮৮ ও ৬১* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৩০-৩১ মৌসুমে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে পার্সি চ্যাপম্যানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩০ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৬ ও ৭২ রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। স্বাগতিকরা ২৮ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্ট খেলেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬৮ ও ৭৪ রান সংগ্রহসহ পাঁচটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৩১-৩২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে জক ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। স্মর্তব্য যে, নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার এটিই প্রথম টেস্ট ছিল। দলের একমাত্র ইনিংসে তিনি ১১৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৩১ ও ০/৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলায় সফরকারীরা ইনিংস ও ১২ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৩৫ সালে হার্ভি ওয়েডের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৭ আগস্ট, ১৯৩৫ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১২৮ ও ৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। উভয় ক্ষেত্রেই হপার রিডের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।

১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে নিজ দেশে ভিক রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকবার ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে সিভি গ্রিমেটকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৪/২৬। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৫/৮৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১০ ও ৭২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৬ রানে পরাজিত হলে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়ালি হ্যামন্ডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। এ সফরে ডেনিস ডায়ারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬০ মিনিট কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি। খেলায় তিনি ৭৩ ও ৪৮* রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৭৫ ও ০/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরে ডারবানের অসীম সময়ের টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। চার ঘণ্টা সময় নিয়ে ৮৯ রান তুলেন।

২০ বছর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অনেকের ন্যায় তাঁরও মূল্যবান ছয়টি বছর হারিয়ে যায়। এ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের ভিত্তি অনেকাংশেই তাঁর উপর নির্ভর করতো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে ট্রান্সভাল স্কটিশ রেজিম্যান্টে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে টেস্ট ক্রিকেট শুরু হলে তিনি সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবেই নিজেকে চিত্রিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। ১৯৪৭ সালে অ্যালান মেলভিলের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৬ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৬৪ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ১২০ ও ১৮৯* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়।

১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে নিজ দেশে জর্জ মানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২৭ ও ১৯ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ২ উইকেটে পরাজিত হলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ৫ মার্চ, ১৯৪৯ তারিখে জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৯৯ ও ৫৬ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে অ্যালেক বেডসারের শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে পরাভূত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

অর্ধ-শতাব্দীকাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বাধিক রান সংগ্রহের তৎকালীন রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। ডাডলি নোর্সের নয় শতকের পর তিনি আট শতক সহযোগে ৪৮.৮৮ গড়ে ৩৪৭১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ডাডলি নোর্সের সাথে সর্বাধিকসংখ্যক শতরানের জুটি দাঁড় করান। দীর্ঘ দুই দশক ক্রিকেট মাঠে অবস্থান করলেও কোন সময়ই দর্শকদের বিরক্তির পাত্রে পরিণত হননি। ৩০ থেকে ৩১ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করতেন। ক্রিকেটের ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে ক্রিজ থেকে বিদেয় করা বেশ দুঃসাধ্য ছিল। পরিসংখ্যানবিদ চার্লস ডেভিস হিসেব কষে দেখিয়েছেন যে, প্রতি ১৫২ বলের ব্যবধানে তিনি বিদেয় নিতেন। ১৯৩৬ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন।

১ জুলাই, ১৯৯৫ তারিখে ট্রান্সভালের অ্যাবটসফোর্ড এলাকায় ৮৬ বছর ১৭৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    ব্রুস টেলর

    ১২ জুলাই, ১৯৪৩ তারিখে ক্যান্টারবারির তিমারু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। পাশাপাশি, বামহাতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৯৭০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড দলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। বল হাতে নিয়ে উভয় দিক দিয়ে বোলিং আক্রমণে…

  • |

    মাইক ম্যাকাউলি

    ১৯ এপ্রিল, ১৯৩৯ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ভ্রমণপ্রিয় ক্রিকেটার হিসেবে সম্যক পরিচিতি পান। পাঁচটি রাজ্য দলের পক্ষে খেলেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে…

  • |

    পিটার কার্স্টেন

    ১৪ মে, ১৯৫৫ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মাঝে-মধ্যে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং…

  • | |

    এহসানুল হক

    ১ ডিসেম্বর, ১৯৭৯ তারিখে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘সিজান’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০০৭-০৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • |

    ফ্রেড মর্লে

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৫০ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবেই দলে সমধিক ভূমিকা পালন করতেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। জন্ম নিবন্ধন সনদে তিনি ‘ফ্রেডরিক মর্লে’ নামে পরিচিতি পান। ছোটখাটো ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা ও পৌনে এগারো স্টোন (৬৬ কেজি)…

  • |

    চার্লস কভেন্ট্রি

    ৮ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে মিডল্যান্ডসের কেউইকেউই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। তবে, একদিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক ও উইকেট-রক্ষণে পারদর্শী। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ড, মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স, ওয়েস্টার্নস…