৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৬৫ তারিখে ইংল্যান্ডের চেস্টার-লি-স্ট্রিট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে স্লো-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
জেমস মিডলটন নাম হলেও ‘বোনর’ ডাকনামেই সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর খেলার মান তেমন ভালো না হলেও অস্ট্রেলীয় মারকুটে ব্যাটসম্যান জর্জ বোনরের দেহের সাথে মিল ছিল। সেনাবাহিনী থেকে কেপটাউন সিসিতে খেলার সুযোগ পান। দূর্দান্ত খেলে তাদের মন জয় করেন। ১৮৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এ দলটিতেও বেশ ভালো খেলেন।
১৮৯৬ থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ছয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টেই তাঁর দল পরাজয়ের কবলে পড়ে। তবে, তিনি ১৮.৪২ গড়ে ২৪ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে টিম ও’ব্রায়ানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। যোসেফ উইলোবি, জিমি সিনক্লেয়ার, চার্লস হাইম, ফ্রেডরিক কুক, রবার্ট গ্লিসন ও রবার্ট পুরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি ১৩০ রান খরচায় ৯ উইকেট দখল করলেও স্বাগতিক দল ২৮৮ রানে পরাজিত হয়। ৫/৬৪ ও ৪/৬৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৪* ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলায় সফরকারীরা ২৮৮ রানে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে নিজ দেশে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে বেশ সফল ছিলেন। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৫/৬৪। খেলায় তিনি ২/৪৮ ও ৫/৫১ লাভ করেন। এছাড়াও, ২২ ও ১৪ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে আলবার্ট ট্রটের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ৩২ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ে।
১৯০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে জো ডার্লিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৮ নভেম্বর, ১৯০২ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ০/২৮ ও ০/১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১* ও ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ইংল্যান্ড সফরে লেগ-স্পিন বোলারদেরকে অগ্রাধিকার দিলে তিনি বাদ পড়েন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। আরই মিডলটন ও টি মিডলটন নামীয় সন্তানদ্বয়ের জনক। ২৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে কেপ প্রভিন্সের নিউল্যান্ডস এলাকায় মাত্র ৪৮ বছর ৮৪ দিন বয়সে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।