| | |

বব উইলিস

৩০ মে, ১৯৪৯ তারিখে কো ডারহামের সান্ডারল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জন্মসনদে তাঁকে রবার্ট জর্জ উইলিস নামে পরিচিতি ঘটানো হয়েছেন। ‘গুস’, ‘ডাইল্যান’, ‘হ্যারল্ড’ কিংবা ‘সোর্ডফিশ’ ডাকনামে ভূষিত বব উইলিস ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। গিল্ডফোর্ডভিত্তিক রয়্যাল গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও ওয়ারউইকশায়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্ন ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।

১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ৯০ টেস্ট ও ৬৪টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে রে ইলিংওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ৯ জানুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ০/২৬ ও ১/১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ২৯৯ রানে জয় পেলে সফরকারীরা সাত-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

একই মৌসুমে রে ইলিংওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৫ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ২/৫৪ ও ০/১৫ লাভ করেন। ৫/১০৮ ও ০/০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ৭ ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা সিরিজে বিজয়ী হয়।

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে জিওফ বয়কটের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/৬৫ ও ৫/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৬* ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ঐ টেস্টে নিউজিল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে পরাভূত করেছিল। ৭২ রানে জয়লাভ করে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায়।

১৯৭৮ সালে নিজ দেশে ফিরতি সফরে মার্ক বার্জেসের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৪ আগস্ট, ১৯৭৮ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১/৭৯ ও ৪/১৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ব্যক্তিগত মাইলফলকের সাথে নিজেকে জড়ান। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে স্টিফেন বুককে বিদেয় করে নিজস্ব তৃতীয় উইকেটের সন্ধান পান ও ১৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, জিওফ হাওয়ার্থের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তা ও প্রাণান্তঃকর প্রয়াস চালানো সত্ত্বেও সফরকারীরা ৭ উইকেটে পরাভূত হলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২১ জুলাই, ১৯৮১ তারিখে হেডিংলি টেস্টে ইয়ান বোথামের সাথে স্মরণীয় অবদান রাখেন। অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন। প্রতিপক্ষের ঘোষিত ৪১০/৯ রানের জবাবে স্বাগতিকরা মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায়। ফলো-অনের কবলে পড়ে দলকে এক পর্যায়ে ১০৫/৫ তুললে ইয়ান বোথাম ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। ইংল্যান্ডের জয়ের বিষয়ে রড মার্শ ও ডেনিস লিলি’র সাথে ইংরেজ উইকেট-রক্ষক বব টেলর পর্যন্ত ৫০০/১ বাজী ধরেন যা পরবর্তীতে জানা যায়। অষ্টম উইকেটে অর্ধ-শতক হাঁকানো গ্রাহাম ডিলি’র সাথে ১১৭ রানের জুটি গড়েন। মাত্র ১৪৮ বল মোকাবেলায় ১৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ঐ ইনিংসে ২৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিল। এরফলে, অস্ট্রেলিয়া দল ১৩০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হয়।

অজিদের সংগ্রহ ৫৬/১ হলে দৃশ্যতঃ জয় সফরকারীদের নাগালে চলে আসে। তবে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার পুরো ব্যাটিং চিত্র পাল্টে দেন। তাঁর শর্ট পিচ বলগুলো অজিদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিতে থাকে। ১৮ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেন। এ বোলিংই পরবর্তীতে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের প্রধান সাফল্যরূপে পরিগণিত হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে, অস্ট্রেলিয়া দল ৩৬.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় ও ইংল্যান্ড দল ১৮ রানের নাটকীয় জয় পায়। এরফলে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৮৯৪ সালের সিডনি টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের পুণরাবৃত্তি ঘটিয়ে ফলো-অন পরবর্তী জয় তুলে নেয়ার পর দ্বিতীয় ঘটনার সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে, বোথাম-উইলিসের কল্যাণে ইংল্যান্ড দল ৩-১ ব্যবধানে অ্যাশেজ জয় করে নেয়।

১৯৮৪ সালে নিজ দেশে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১২ জুলাই, ১৯৮৪ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/১২৩ ও ০/৪০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৪* ও ৫* রান সংগ্রহ করেছিলেন। ল্যারি গোমসের অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এ পর্যায়ে ৫৫বার ইনিংসে ‘অপরাজিত’ থেকে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এছাড়াও, অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলো থেকে ২৫.২০ গড়ে ৩২৫ উইকেট দখল করে ইংরেজ রেকর্ড গড়েন। এটিই যে-কোন ইংরেজ বোলারের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে, ইয়ান বোথাম তাঁর এ সংগ্রহকে ছাঁপিয়ে যান। ১৬বার পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পেলেও কোন টেস্টেই দশ উইকেট লাভ করতে পারেননি।

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্যকর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মাইক অ্যাথার্টন, ডেভিড গাওয়ার ও ইয়ান বোথামের সাথে আলোচনা ও বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টভঙ্গীর প্রকাশ ঘটাতেন। ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ৭০ বছর বয়সে স্বল্পকালীন অসুস্থতায় ভুগে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

১৩ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, কুমার সাঙ্গাকারা, মন্টি নোবেল, অব্রে ফকনার, লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন, স্ট্যান ম্যাককাবে, বিনু মানকড়, টেড ডেক্সটার ও ডেসমন্ড হেইন্সের সাথে একযোগে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। ইসিবি কর্তৃক প্রণীত সর্বকালের সেরা একাদশ দলে অ্যালাস্টেয়ার কুক, গ্রায়েম সোয়ান, লেন হাটন, জেমস অ্যান্ডারসন, জো রুট, ডেভিড গাওয়ারের সাথে ঠাঁই পেয়েছেন।

জন্ম নিবন্ধন বহিতে তিনি ‘রবার্ট জর্জ উইলিস’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ৭০ বছর ১৮৮ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    রঙ্গনা হেরাথ

    ১৯ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে কুরুনেগালায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণসহ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কুরুনেগালা ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাব, মুরস স্পোর্টস…

  • | | |

    সিকে নায়ড়ু

    ৩১ অক্টোবর, ১৮৯৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। ১৯৩০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯১৬-১৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন…

  • |

    ওয়াসিম জাফর

    ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। ২০০০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই, বিদর্ভ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আবাহনী লিমিটেড, রয়্যাল…

  • |

    ডেনিস মরকেল

    ২৫ জানুয়ারি, ১৯০৬ তারিখে কেপ প্রভিন্সের প্লামস্টিড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘ ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। চমৎকারভাবে বলকে অফের দিকে ঠেলে দিতেন। এছাড়াও, যে-কোন ধরনের বোলিংয়ের…

  • |

    পল অ্যাডামস

    ২০ জানুয়ারি, ১৯৭৭ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে রিস্ট-স্পিন বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। প্লামস্টিড হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৯৪ সালে কিশোর দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০০৭-০৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া…

  • | | | |

    আমির সোহেল

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। হার না মানার মানসিকতাসম্পন্ন বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। পিছনের পায়ের উপর ভর রেখে খেলতেন। সহজাত প্রকৃতির আক্রমণাত্মক ধাঁচে খেলতে পছন্দ করতেন…