|

বব নিউসন

২ ডিসেম্বর, ১৯১০ তারিখে কেপ প্রভিন্সের সী পয়েন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলিং উদ্বোধনে নামতেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে রোডেশিয়া ও ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে কারি কাপে ট্রান্সভালের পক্ষে প্রথম খেলেন।

১৯৩০ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৯ সালে ডারবানে অনুষ্ঠিত অসীম সময়ের টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেছিলেন। সবগুলো টেস্টেই বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন।

১৯৩০-৩১ মৌসুমে নিজ দেশে পার্সি চ্যাপম্যানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩০ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কেন বিলজোয়েন, সিড কার্নো ও জেন বালাস্কাসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে কোন উইকেটের সন্ধান না পেলেও প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ ৮১/৯ থাকা অবস্থায় মাঠে নামেন। কুইন্টিন ম্যাকমিলানের সাথে জুটি গড়ে আরও ৪৫ রান যুক্ত করেন। নিজ করেন ১০ রান। খেলায় স্বাগতিক দল ২৮ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তী চার টেস্ট ড্র হলে সিরিজ জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।

আট বছর পর ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে নিজ দেশে শেষ দুই টেস্ট ওয়ালি হ্যামন্ডের নেতৃত্বাধীন সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১০ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১৬ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫৩ ও ১/২২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলেও সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

এরপর, ৩ মার্চ, ১৯৩৯ তারিখে ডারবানের অসীম সময়ের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। প্রথম ইনিংসে ২/৫৮ পেয়েছিলেন। ওভার সংখ্যার দিক দিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বাপেক্ষা মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ০/৯১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১ ও ৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

টেস্টগুলো থেকে প্রাপ্ত চার উইকেট লাভে ৬৬.২৫ গড়ে রান খরচ করেছিলেন। পড়াশোনা ও কর্মজীবনে ব্যস্ততার কারণেই মূলতঃ চারটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে রোডেশিয়ায় চলে যান। দলটির পক্ষে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে কিম্বার্লীতে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ৬৫ মিনিটে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১১৪ রানের ব্যক্তিগত একমাত্র শতক হাঁকিয়েছিলেন। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত রোডেশিয়ার সদস্যরূপে সফররত এমসিসি’র বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৫/৫৪ লাভ করেন। পূর্ব রাত্রে ঝড়ের কারণে সুবিধা পান। দ্বিতীয় দিন সকালে নিজের প্রথম সাত ওভারে ১৩ রান খরচায় সবগুলো উইকেট তুলে নেন। সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলো থেকে ২৬.০৩ গড়ে ৬০ উইকেট দখল করেন ও ১৭.৮৩ গড়ে ৫৫৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

ওবিই পদবীধারী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল, ১৯৮৮ তারিখে নাটালের ডারবানে ৭৭ বছর ১৪৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | | |

    কৃষ শ্রীকান্ত

    ২১ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে তামিলনাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদ্যুৎ প্রকৌশলী হিসেবে শিক্ষালাভ করেন। চেন্নাইভিত্তিক গুইন্ডির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। সহজাত প্রকৃতির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও অতিদ্রুততার সাথে ভারসাম্য বজায়…

  • | | |

    আলফ্রেড রিচার্ডস

    ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৬৭ তারিখে কেপ কলোনির গ্রাহামসটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন। উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ১৮৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে…

  • | | | |

    সন্দীপ পাতিল

    ১৮ আগস্ট, ১৯৫৬ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ…

  • | |

    ঋষিকেশ কানিতকর

    ১৪ নভেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে মহারাষ্ট্রের পুনেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হেমন্ত কানিতকর ভারত ও মহারাষ্ট্রের পক্ষে খেলেছেন। ভ্রাতা আদিত্য গল্ফ এবং বৌমা ও শ্যালিকা রাধিকা তুলপুলে টেনিস খেলোয়াড়…

  • |

    জেমস অ্যান্ডারসন

    ৩০ জুলাই, ১৯৮২ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘জিমি’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী জেমস অ্যান্ডারসন সেন্ট থিওডর্স আরসি হাই স্কুলে…

  • | |

    কলিন ক্রফ্ট

    ১৫ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে ব্রিটিশ গায়ানার ল্যাঙ্কাস্টার ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘ক্রফ্টি’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির লিকলিকে গড়নের অধিকারী ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে গায়ানা এবং ইংরেজ…