২০ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৭২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে পাঞ্জাব, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিজ দেশে বব সিম্পসনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৪ অক্টোবর, ১৯৬৪ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। আব্দুল কাদির, আসিফ ইকবাল, মজিদ খান, পারভেজ সাজ্জাদ ও শাফকাত রানা’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। শতক হাঁকিয়ে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অভিষেকে শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন। ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ৩৩০ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে ২০ বাউন্ডারি সহযোগে ১৬৬ রান তুলেন। এ পর্যায়ে উদ্বোধনী জুটিতে অপর অভিষেকধারী আব্দুল কাদিরের (৯৫) সাথে ২৪৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে হানিফ মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঐ খেলায় তিনি ২৮ ও ৯ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, ০/১৭ ও ০/১২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় শেষ হয়।
১৯৬৭ সালে হানিফ মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১০ আগস্ট, ১৯৬৭ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ২ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮ সালে লর্ডসে জিলেট কাপের চূড়ান্ত খেলায় ওয়ারউইকশায়ারের সদস্যরূপে সাসেক্সের বিপক্ষে শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সময়কালে তাসমানিয়ার পক্ষে খেলেছিলেন তিনি। এরপর তিনি আম্পায়ারিত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছিলেন। ১২ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ৮৮ বছর ২০৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
