৭ জুন, ১৯৯৬ তারিখে নর্দাম্পটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ক্রিকেটপ্রেমী পরিবারের সন্তান। পিতা কেভিন কারেন জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। অপর ভ্রাতৃদ্বয় – স্যাম কারেন ও টম কারেন ইংল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০১৮-১৯ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। পিতার ন্যায় তিনিও ২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধ্বে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলটির সদস্যরূপে টি২০ ব্ল্যাস্টে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে প্রথম খেলেন। দ্বিতীয় একাদশে ছয় খেলায় অংশ নিয়ে ৪৯০ রান সংগ্রহ করে সফলতম সময় অতিবাহিত করেন। এরপর, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ইয়ং ক্রিকেটার্সের সদস্যরূপে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে খেলে ক্লাব কর্তৃপক্ষের নজর কাড়েন। ঐ মৌসুম শেষে ৩১.৩৮ গড়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, ঐ মৌসুমের শেষ খেলায় সাসেক্সের বিপক্ষে ৮৩ রান তুলেছিলেন। ২৯ আগস্ট, ২০১৮ তারিখে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত ডারহাম বনাম নর্দান্টসের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।
২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে হাশমতউল্লাহ শাহীদি’র নেতৃত্বাধীন আফগান দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। নিউম্যান নিয়ামহারি ও ট্রেভর গুয়ান্ডো’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৬৮ ও ৪১ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। অবশ্য, টেস্ট অভিষেকের পূর্বেই ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত একই দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়েকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে ভূমিকা রাখেন।
২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর ক্রেগ আরভিনের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। খেলায় তিনি ৬ ও ৩৭ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। শোয়েব বশীরের অনবদ্য কৃতিত্বে সফরকারীরা চারদিনের টেস্টটি তিনদিনেই পরাজয়বরণ করে। ইনিংস ও ৪৫ রানে জয়লাভ করে ইংল্যান্ড দল। এরফলে, ইংল্যান্ড দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের চারটিতে বিজয়ী হয় ও একটিতে ড্র করে।
২০২৫-২৬ মৌসুমে নিজ দেশে হাশমতউল্লাহ শাহীদি’র নেতৃত্বাধীন আফগান দলের মুখোমুখি হন। ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সফররত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ১২১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ১২১ রানের কল্যাণে খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৭৩ রানে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
