১ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে রাম্বুক্কানায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, কার্যকর মিডিয়াম-পেস বোলার ছিলেন। শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

১৯৭০-৭১ মৌসুম থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে চারটিমাত্র টেস্ট ও ১২টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন। ৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে ম্যানচেস্টারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।

১৯৮১-৮২ মৌসুমে নিজ দেশে কিথ ফ্লেচারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে সংগ্রহ করেছিলেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। কলম্বোর পিএসএসে অন্য সকলের সাথে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে কিথ ফ্লেচারকে সাথে নিয়ে সিরিজের একমাত্র টেস্টে টস করতে যান। এরপর, বব উইলিসের প্রথম বল মোকাবেলা করেছিলেন। ২ ও ৩৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, জন এম্বুরি’র অসাধারণ বোলিংয়ের কল্যাণে সফরকারীরা ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়।

তবে, একদিনের আন্তর্জাতিকে তাঁর বোলিং বেশ কার্যকর ছিল। দলের বোলিং আক্রমণে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। মাঝে-মধ্যে উইকেট লাভ করতেন। অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলোয় ব্যাট হাতে তেমন সফল ছিলেন না। আইসিসি’র পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত হবার টেস্টে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের মর্যাদা লাভের কৃতিত্বের অধিকারী হন।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ভারত সফরে যান। ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ তারিখে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ০/২৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, দিলীপ মেন্ডিসের জোড়া শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

খাঁটিমানের ব্যাটিং কৌশলের অধিকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের শুরুরদিকে দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। শীর্ষসারিতে তাঁর সরব উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় ছিল। দলের সংগঠিতকালীন কঠিন সময়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে তৎকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। এরফলে, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর আইসিসি’র ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দুইটি টেস্ট ও তিনটি ওডিআই পরিচালনা করেছেন। ৮ জুন, ২০০৮ তারিখে এসিসিতে যোগ দেন। ২৫ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এমএস বর্ণাপুরা নামীয় পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।

Similar Posts

  • |

    নবি ক্লার্ক

    ৯ আগস্ট, ১৯০২ তারিখে হান্টিংডনশায়ারের এলটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। তারকা বোলারের যাবতীয় গুণাবলী থাকলেও ফুরফুরে মেজাজের অধিকারী ছিলেন না। বামহাতে আলতো বোলিং করতেন। ব্যাটসমস্যান বরাবর ডান কাঁধ সোজা রেখে ধ্রুপদী ভঙ্গীমায় বল…

  • | |

    রহমত শাহ

    ৬ জুলাই, পাকতিয়া প্রদেশের জুরমত এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে কার্যকর লেগ-ব্রেক ও গুগলি বোলিং করে থাকেন। আফগানিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশগ্রহণ করেছেন। আফগানিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। পাকিস্তানী ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের…

  • | |

    অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ

    ২ জুন, ১৯৮৭ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কলম্বোভিত্তিক সেন্ট যোসেফস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কোল্টস ক্রিকেট…

  • |

    আর্নি জোন্স

    ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৬৯ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অবার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাথরখোঁদাইকারক যোসেফ জোন্স ও মেরি দম্পতির পুত্র ছিলেন। স্থানীয় বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন পিতার সাথে চিত্রকর ও রাজমিস্ত্রী হিসেবে কুর্ন ও ব্রোকেন হিল এলাকায় সরকারী কাজে…

  • |

    সোহরাওয়ার্দী শুভ

    ২১ নভেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে কার্যকর ব্যাটিং করে থাকেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। গতিসম্পন্ন বামহাতি অর্থোডক্স বোলিং করেন। ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে পছন্দের বোলারদের তালিকায় সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। স্বল্পকালীন সময় বাংলাদেশ দলে অবস্থান করে সীমিত পরিসরে…

  • |

    মৈয়াঙ্ক আগরওয়াল

    ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। প্রণব কুমার পাণ্ডে ও সুচিত্রা সিং দম্পতির সন্তান তিনি। একই এলাকা থেকে রাহুল দ্রাবিড়ের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়ের উত্থান ঘটলেও তাঁর…