৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
দক্ষ অফ-স্পিন অল-রাউন্ডার ছিলেন আজহার খান। তবে, দীর্ঘ ২২ বছরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে দূর্ভাগ্যজনকভাবে একটিমাত্র টেস্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, লাহোর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেছেন।
১৯৮০ সালে পাকিস্তানের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলার সুযোগ পান। ১৮ মার্চ, ১৯৮০ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অংশ নেন। আজমত রানা’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ রান তুলেন। এরপর উভয় ইনিংসে বল হাতে নিয়ে দলের পঞ্চম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বোলিং করেন। সব মিলিয়ে মাত্র দুই ওভার বোলিং করার সুযোগ পান। প্রথম ইনিংসে ২-১-১-০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১-০-১-১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছিলেন। একমাত্র উইকেটটি ছিল অ্যালান বর্ডারের। ১৫৩ রান তুলে জাভেদ মিয়াঁদাদের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর খেলা পরিচালনায় অগ্রসর হন। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি হিসেবে ৩টি ওডিআই ও ২টি টি২০আই পরিচালনা করেছেন।
