২৮ মার্চ, ১৯৭৫ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের পেস বোলিং আক্রমণে আতা-উর-রেহমানের উদ্ভব ঘটে। ওয়াসিম-ওয়াকার জুটিকে আরো শক্তিশালী ও সহায়তাকরণে তাঁকে দলে যুক্ত করা হয়। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, লাহোর ও পাকিস্তান অটোমোবাইলস কর্পোরেশনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
দীর্ঘদেহী ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী আতা-উর-রেহমান যথার্থ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। চমৎকারভাবে নিখুঁত নিশানা বরাবর বোলিং করতেন ও পুরনো বলেও বেশ বাঁক খাওয়াতে পারতেন। সীমিত-ওভারের খেলায় মাঝারিসারিতে মারকূটে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ১৩ টেস্ট ও ৩০টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৭ বছর বয়সে ১৯৯২ সালে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর মাঝেও প্রথম খেলাতেই নিজেকে তুলে ধরতে সমর্থ হন।
১৯৯২ সালে জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৪ জুন, ১৯৯২ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। আমির সোহেল ও ইনজামাম-উল-হকের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। একমাত্র ইনিংসে ৩/৬৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডে পরবর্তী সফরেও তাঁকে দলে রাখা হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ৮ আগস্ট, ১৯৯৬ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। একবার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১/৯০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
পাতানো খেলায় বিতর্কিত অংশগ্রহণের কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ার খেসারত গুণতে হয় ও খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে। ২০০০ সালে আজীবন নিষিদ্ধতার কবলে পড়েন। তাসত্ত্বেও, ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে আইসিসি’র অনুমতির অপেক্ষা করতে থাকেন। তবে, ৪ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে আইসিসি থেকে নিষিদ্ধতা তুলে নেয়া হয়। অতঃপর, মে, ২০০৭ সালে আইসিসি থেকে ছাড়পত্র পান।
