|

আর্থার অশি

১১ অক্টোবর, ১৮৯৯ তারিখে কেপ প্রভিন্সের গ্রাফ-রেইনেট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

‘ওশ’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯২১-২২ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২১-২২ মৌসুমে ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেললেও মাঝে-মধ্যে খেলতেন ও কখনোবা কার্যকরী ভূমিকা রাখতেন। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ৬০ রানে শেষ ৬ উইকেট লাভ করলে প্রথমবারের মতো সকলের কাছে পরিচিতি পান।

১৯২৭-২৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে টেস্টবিহীন প্রথম-শ্রেণীর খেলার আয়োজন করা হলে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের সদস্যরূপে খেলার সুযোগ পান। খেলা তিনি তিন উইকেট দখল করেন। তবে, এ ধরনের ফলাফলে তাঁকে টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয়নি। কিন্তু, জানুয়ারির শুরুতে পোর্ট এলিজাবেথে ইস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে এমসিসি’র বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলার প্রথম ইনিংসে ৫/৩১ নিয়ে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৪৯ রানে গুটিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে, সফরকারীরা নিজেদের সামলে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৭ রান তুলে ১০ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছিল।

১৯২৮ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই ১৯২৭-২৮ মৌসুমে নিজ দেশে রনি স্ট্যানিফোর্থের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে খেলেন। সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে পরাজয়ের পর স্বাগতিক দল তিনি টেস্টের জন্যে তাঁকে দলে যুক্ত করে। ২১ জানুয়ারি, ১৯২৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। জ্যাক সিডল ও জন নিকোলসনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৪ ও ৪* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ব্যাটসম্যানদের উপযোগী পিচে ব্যাপক রান খরচ করেন ও কোন উইকেট পাননি। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে বোলিং করানো হয়নি। ০/৪৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন।

১৯২৮-২৯ মৌসুমে ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে তুলনামূলকভাবে দূর্বলতর অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে খেলা থেকে ৪/৪০ ও ৬/৩৭ পান। পরবর্তীতে এটিই তাঁর ইনিংসে ও খেলায় সেরা বোলিং হিসেবে চিত্রিত হয়ে পড়ে। এরফলে, ১৯২৯ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে নামি ডিনের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ঐ বছর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ১৫ জুন, ১৯২৯ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ইটি কিলিককে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ০/৪৫। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৪/৭৯ ও ২/৮৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ২৯ জুন, ১৯২৯ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি ০/৫১ ও ৪/৯৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

৫ মে, ১৯৪৯ তারিখে কেপ প্রভিন্সের এলদোরাদো ফার্ম এলাকায় মাত্র ৪৯ বছর ২০৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    ডিওন ন্যাশ

    ২০ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাশাপাশি, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ক্রিকেটে যুক্ত হবার পূর্বে অনেকগুলো ক্রীড়ায় সিদ্ধহস্তের অধিকারী ছিলেন। বাস্কেটবল ও রাগবি খেলায় দক্ষ ছিলেন। অকল্যান্ডে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। অস্ট্রেলীয়…

  • | |

    শান মাসুদ

    ১৪ অক্টোবর, ১৯৮৯ তারিখে কুয়েতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘শানি’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। অভিজাত পরিবারে জন্ম। পিতা পিসিবি’র পরিচালনা পরিষদের সদস্য। খাঁটিমানসম্পন্ন ও কৌশলগতভাবে দক্ষ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। কিশোর পর্যায়ের ক্রিকেটে…

  • |

    লেল্যান্ড হোন

    ৩০ জানুয়ারি, ১৮৫৩ তারিখে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। রাগবি কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর, আয়ারল্যান্ড জেন্টলম্যান ও ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতেন। ১৮৭৪ সালে আই জিঙ্গারি আসলে তিনি নিখিল আয়ারল্যান্ডের পক্ষে খেলায় অংশ নিয়েছেন। ১২জন নিয়ে গড়া দলে…

  • | | |

    কিথ ফ্লেচার

    ২০ মে, ১৯৪৪ তারিখে ওরচেস্টারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ‘নোম’ ডাকনামে ভূষিত কিথ ফ্লেচার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ক্রিকেটীয় প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আকর্ষণীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম ছিল।…

  • | | |

    শন পোলক

    ১৬ জুলাই, ১৯৭৩ তারিখে কেপ প্রভিন্সের পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ক্রমাগত সফলতা…

  • | | | |

    জহির আব্বাস

    ২৪ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, রেফারি ও প্রশাসক। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ধ্রুপদীশৈলীর অধিকারী ও দর্শনীয় ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হন। শীর্ণকায় ও চশমা পরিহিত তরুণ…