২৪ ডিসেম্বর, ১৮৮৫ তারিখে ইয়র্কশায়ারের উইলসডেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
সুপরিচিত উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পেয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, পাতিয়ালার মহারাজা একাদশের পক্ষে খেলেছেন। মূলতঃ পাতিয়ালা মহারাজা দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে আর্থার জিলিগানের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। পাতিয়ালার বিপক্ষে এমসিসি দল খেলতে নামলে তিনি পাতিয়ালার পক্ষে খেলেন। এটিই তাঁর সর্বশেষ খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। ১৯০৫ থেকে ১৯২৭ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ৬০৯টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করার পাশাপাশি ২৭৩টি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন।
১৯২১ সালে সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯২০-২১ মৌসুমে জনি ডগলাসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে সিলন ও পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন। ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় সিরিজের চতুর্থ টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। নয় নম্বর অবস্থানে থেকে প্রথম বল থেকে এক রান তোলার পর দ্বিতীয় বলে চার্লস কেলেওয়ে তাঁকে বোল্ড করেন। সিস পার্কিনের বল থেকে জ্যাক গ্রিগরি’র (৭৭) ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করে একমাত্র সফলতা পান। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ২ বল মোকাবেলা করে আর্থার মেইলি’র বলে জ্যাক গ্রিগরি ক্যাচ নিয়ে তাঁকে শূন্য রানে ফেরান। ঐ খেলায় স্বাগতিক দল ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের নোঙ্গরে পৌঁছে ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
আর কোন টেস্ট খেলার সুযোগ না পেলেও উইজডেনে ‘স্ট্রাডউইক ও ডলফিন ইংরেজ উইকেট-রক্ষণের উচ্চ ধারা অব্যাহত রেখেছেন’ বলে উল্লেখ করে। মন্টি নোবেল সিডনি মেইলে ‘ইংরেজরা ভাগ্যবান যে স্ট্রাডউইক ও ডলফিনের ন্যায় উইকেট-রক্ষক আছে। উভয়েই উচ্চ মানসম্পন্ন’ বলে মন্তব্য করেন।
২৩ বছর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শেষে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর, কার্যকর ও জনপ্রিয় আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনায় অগ্রসর হন। এ পর্যায়ে প্রচণ্ড গরমেও কোন টুপি মাথায় পরিধান করেননি। ৬টি টেস্ট ও ২৭টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন।
২৩ অক্টোবর, ১৯৪২ তারিখে ইয়র্কশায়ারের লিলিক্রফ্ট এলাকায় অবস্থিত নিজ গৃহে ৫৬ বছর ৩০৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
