|

আরিফুল হক

১৮ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। মাঝারিসারিতে নিচেরদিকে ডানহাতে মারকুটে ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে যথেষ্ট দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে বরিশাল বিভাগ ও রংপুর বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ঢাকা প্লাটুন, জেমকন খুলনা, খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির পক্ষে খেলেছেন।

২০০৬-০৭ মৌসুমের জাতীয় ক্রিকেট লীগে বরিশাল বিভাগের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো খেলেন। ২৭ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত আয়োজক চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ঐ খেলায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম বছরেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শতরান করে নিজের প্রতিশ্রুতিশীলতা তুলে ধরতে সচেষ্ট হন। তবে, এরপর থেকে কয়েক বছর রান খরায় ভুগতে থাকেন। নয় বছর পর নিজস্ব দ্বিতীয় শতক হাঁকান। একই মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে ৪৭৮ রান সংগ্রহসহ এনসিএলে রংপুরের পক্ষে ৪৪৬ রান তুলেন।

পরের চার মৌসুমে ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট উত্তরণ ঘটান। ২০১৭ সালের বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময় অতিবাহিত করেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ১২ খেলায় মাত্র ২৩৭ রান তুললেও প্রতিযোগিতায় দলকে শেষ চারে নিয়ে যেতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট, একটিমাত্র ওডিআই ও নয়টিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের টি২০আই দলের খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি২০আই খেলেন।

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে অংশ নেন। এরপর, সাব্বির রহমানের নিষেধাজ্ঞা লাভের কারণে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ লাভ করেন। তবে, কোন খেলায় তাঁকে রাখা হয়নি।

২০১৮-১৯ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা’র নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ে দলের মুখোমুখি হন। ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেন। একই সফরের ৩ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। নাজমুল ইসলামের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে। ৪১* ও ৩৮ রান সংগ্রহ করে অভিষেক পর্বকে স্মরণীয় করে রাখেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, শন উইলিয়ামসের অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে সফরকারী দল ১৫১ রানে জয় তুলে নেয় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

এরপর, একই সফরের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১১ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে মিরপুরে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৪ ও ১ রান সংগ্রহ করেন। বল হাতে নিয়ে ১/১০ ও ০/৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ টেস্টে বাংলাদেশ দল মুশফিকুর রহিমের ২১৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ২১৮ রানে জয় পায় ও সিরিজটি ড্র করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

Similar Posts

  • |

    সুজীবা ডি সিলভা

    ৭ অক্টোবর, ১৯৭৯ তারিখে বেরুওয়ালায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ২০০০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বামহাতে সুইং বোলিং করে থাকেন। ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব-২৩ প্রিমিয়ার ট্রফি প্রতিযোগিতায় সকলের সমক্ষে তাঁর প্রতিভা উন্মোচিত হয়। এক মৌসুমে সর্বাধিক উইকেট লাভের নতুন লীগ…

  • | |

    বার্নার্ড জুলিয়ান

    ১৩ মার্চ, ১৯৫০ তারিখে ত্রিনিদাদের কেয়ারনাগে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে সবিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৭০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সকল গুণে গুণান্বিত ছিলেন। আগ্রাসী ব্যাটিং, প্রাণবন্তঃ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের সর্বক্ষেত্রে একাধিপত্য বজায়ে সচেষ্ট ছিলেন। এরফলে, দর্শকদের প্রিয় তারকায় পরিণত…

  • |

    কীর্তি আজাদ

    ২ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে বিহারের পুর্ণিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • | |

    সৈয়দ আবিদ আলী

    ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। পাশাপাশি অসাধারণ ফিল্ডিং করতেন ও নিচেরসারিতে ব্যস্ততার সাথে উইকেটের প্রান্ত বদলে অগ্রসর হতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পিঠ সোজা রেখে, খাড়া গোঁফ নিয়ে সুনিয়ন্ত্রিত…

  • |

    দিনেশ রামদিন

    ১৩ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে ত্রিনিদাদের কুভা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। শুরু থেকেই প্রকৃত মানসম্পন্ন উইকেট-রক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর দক্ষতা নিয়ে কোন সন্দেহের সৃষ্টি হয়নি। এমনকি, অভিষেকের পর থেকে…

  • |

    আলভিরো পিটারসন

    ২৫ নভেম্বর, ১৯৮০ তারিখে কেপ প্রভিন্সের পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ট্যাক্সি চালকের সন্তান ছিলেন। শুরুতে নর্দার্ন আফ্রিকান ক্রিকেট দলে খেলেন। এরপর, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান।…