১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে ঢাকার লালবাগে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
‘পিজু’ ডাকনামে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১১-১২ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোপলিসের পক্ষে খেলেছেন। ২০০০-০১ মৌসুমে ঢাকা বিভাগের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বপ্রথম অংশ নেন। ১৪ বছর বয়সে সংশ্লিষ্ট সকলের নজর কাড়েন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতীয় বোলারদের অনুশীলনীকালে উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। শচীন তেন্ডুলকর এই কিশোর উইকেট-রক্ষকের ক্রীড়াশৈলীতে অভিভূত হন ও মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
২০০২ সালে বাংলাদেশের পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও সমসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে রিডলি জ্যাকবসের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ২০০২ তারিখে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে। সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে দুই ঘণ্টারও অধিক সময় ক্রিজে অবস্থান করে মূল্যবান ৪২ রান তুলেন।
ফলশ্রুতিতে, ৮ ডিসেম্বর, ২০০২ তারিখে একই দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২ রান তোলেন। প্রথম ইনিংসে ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই ভ্যাসবার্ট ড্রেকসের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। জার্মেইন লসনের অনবদ্য বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩১০ রানে পরাভূত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। দলে খুব কমই প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন ও আর কখনো জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পাননি। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
অন্যান্য উইকেট-রক্ষকের ন্যায় বাংলাদেশের তৎকালীন শীর্ষ উইকেট-রক্ষক খালেদ মাসুদের ক্রীড়াশৈলীর কাছে ম্লান হয়ে যান।
