২০ আগস্ট, ১৮৪৭ তারিখে ইয়র্কশায়ারের কাউমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
লড়াকু মানসিকতার অধিকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম ছিল। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৬৯ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। সঙ্কুচিত অবস্থায় সাহসী ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে কাকা লুক গ্রীনউডের অধিনায়কত্বে খেলায় অংশ নিতেন। ১১ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৩০৭ রান তুলেছেন।
১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে জেমস লিলিহোয়াইট জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এ সফরেই টেস্টগুলো খেলেন। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে খেলার গৌরব অর্জন করেন। তবে, ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রথম টেস্টে খুব কমই সফল হয়েছিলেন। খেলায় তিনি ১ ও ৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ৪৫ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
কিন্তু, একই সফরের ৩১ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নিয়ে উভয় ইনিংসেই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন। খেলায় তিনি ৪৯ ও ২২ রান তুলেছিলেন। ঐ খেলায় সফরকারীরা ৪ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এ সফরের কয়েক মাস পূর্বে ইউনাইটেড নর্থের সদস্যরূপে ডব্লিউজি গ্রেস, জেমস লিলিহোয়াইট, ফ্রেড গ্রেসসমৃদ্ধ বোলারদের বিপক্ষে ১১১ রান তুলেছিলেন। এরপূর্বে ১৮৭১ সালে গোলাপের খেলায় অপরাজিত ২১ ও ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সন্দেহাতীতভাবে ১৮৭৪ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলায় নিজের স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। ইয়র্কশায়ার ৮৭ ও ১৫১ রান তুললেও তিনি ৩৪ ও ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
১৮৭৫ সালে নর্থের সদস্যরূপে সাউথের বিপক্ষে দল ১৫৫ ও ২৮৮ রান সংগ্রহ করলে তিনি ৩৯ ও ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন। এক মাস পর আবারও ইয়র্কশায়ারের ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দলের ১৮৫ ও ৭৫/৬ রান সংগ্রহের খেলায় তিনি ৬১ ও অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। ঐ খেলায় সারের বিপক্ষে ইয়র্কশায়ার ৪ উইকেটে জয় পায়।
১৮৮০ ও ১৮৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসলে প্রস্তুতিমূলক খেলাগুলোয়া আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৯ তারিখে ইয়র্কশায়ারের হাডার্সফিল্ড এলাকায় মাত্র ৪১ বছর ১৭৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
