|

আলফ্রেড স্কট

২৯ জুলাই, ১৯৩৪ তারিখে জ্যামাইকার স্প্যানিশ টাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

পিতা অস্কার টমি স্কট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪০-এর দশকে সেন্ট জর্জেস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে সানলাইট কাপ ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর, কিংস্টন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে সিনিয়র কাপ ক্লাব ক্রিকেট খেলেন। বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর বিভিন্ন ধরনের চাকুরী করেন। এছাড়াও, ছোটখাটো ব্যবসা করলেও সফল হননি। স্থানীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খুবই ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতেন। এক পর্যায়ে ‘সিক্স এ ম্যাচ’ নামে পরিচিতি পান। এ পর্যায়ে প্রত্যেক খেলা থেকে নিয়মিতভাবে কমপক্ষে ছয় উইকেট তুলে নিতেন।

প্রতিভাবান ডানহাতি লেগ-স্পিনার ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৫৩-৫৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৯৫৩ সালে জ্যামাইকার সদস্যরূপে সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে খেলায় ৩৮ ওভার বোলিং করে ৯৬ রান খরচায় সাত উইকেট পেয়েছিলেন। এ ফলাফলে বিতর্কিতভাবে তাঁকে টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয় ও সনি রামাদিন বাদ পড়েন।

১৯৫৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে নিজ দেশে বিজয় হাজারে’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৮ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে কিংস্টনের সাবিনা পার্কে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, ১৮ বছর ২৪২ দিন বয়সে ৮০তম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। তবে, ঐ টেস্টে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ৪৪ ওভার বোলিং করে ১৪০ রান খরচ করলেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। দুইবার তাঁর বল থেকে পলি উমরিগড়কে দায়িত্বপ্রাপ্ত উইকেট-রক্ষক স্ট্যাম্পিংয়ে বিদেয় করতে পারেননি। খেলায় তিনি ০/৮৮ ও ০/৫২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

দূর্ভাগ্যবশতঃ এরপর আর একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২০ বছর বয়সের পূর্বেই ক্রিকেট খেলাকে বিদেয় জানান। তবে, স্থানীয় ক্রিকেটে মাঝে-মধ্যে খেলা চালিয়ে যেতেন। স্বল্পকালীন প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন মাত্র পাঁচটি খেলা নিয়ে গড়ে উঠেছিল। ১২.৬৭ গড়ে ৩৮ রান তুলেন। তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। ১৫৫.১ ওভার বোলিং করে ৩৩ গড়ে ১৮ উইকেট পেয়েছিলেন।

এরপর, ১৯৬০-এর দশকে জ্যামাইকায় বেতার ঘোষক হিসেবে কাজ করতেন। এ দশকের শেষদিকে ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হন। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন ও অনেকগুলো বছর ক্যাব চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৮৩ বছর ২৭৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    এডগার মেইন

    ২ জুলাই, ১৮৮২ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার জেমসটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে বোলিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। জন্ম সনদে তিনি ‘রিচার্ড এডগার মেইন’ নামে পরিচিতি পান। দীর্ঘদেহী ও সুদর্শন প্রকৃতির ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কাট ও ড্রাইভের দিকেই অধিক মনোনিবেশ ঘটাতেন। তবে,…

  • | |

    জুলফিকার আহমেদ

    ২২ নভেম্বর, ১৯২৬ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। লখনউ দলের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…

  • |

    কলিন ম্যাককুল

    ৯ ডিসেম্বর, ১৯১৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও লেখক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৬০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ…

  • | |

    ক্রিস প্রিঙ্গল

    ২৬ জানুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৯০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী ও খোলা বক্ষে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন। ডিসেম্বর, ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় সকলের দৃষ্টি কাড়েন। অকল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২০ দলের…

  • | |

    সাকলাইন মুশতাক

    ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বিশ্বের সেরা স্পিনারদের অন্যতম ছিলেন। স্পিনের উপর তাঁর অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ ছিল। দুসরার জন্যে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ব্যাটসম্যানের কাছে…

  • | |

    রামনাথ কেনি

    ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা ও বোম্বে…