২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৬ তারিখে ইংল্যান্ডের বোল্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৩০-৩১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯২৩ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ২২.১৫ গড়ে ৪০ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯২২-২৩ মৌসুমে নিজ দেশে এফ. টি. মানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১ জানুয়ারি, ১৯২৩ তারিখে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। রুদ্ধশ্বাসপূর্ণ খেলায় তিনি অবিশ্বাস্য ভূমিকা রাখেন। ১৭৩ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে মান ও ভি. ডব্লিউ. সি. জাপের দৃঢ়তাপূর্ণ ৬৮ রানের জুটি গড়া সত্ত্বেও তাঁর ৭/৬৩ লাভের কল্যাণে পরাজয়বরণ করতে বাধ্য হয়। খেলায় তিনি ১১২ রান খরচায় ১১ উইকেট দখল করেন। খেলা শেষে তাঁকে কাঁধে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
১৯২৭-২৮ মৌসুমে জোহানেসবার্গে দলের চার উইকেটের বিজয়ে বিশাল অবদান রাখেন। ঐ খেলায় ১৬৭ রান খরচায় নয় উইকেট পেয়েছিলেন।
১৯৩০-৩১ মৌসুমে নিজ দেশে পার্সি চ্যাপম্যানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি ৪/১০৫ ও ০/৪৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ইয়ান পিবলসের বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
কারি কাপে ট্রান্সভালের পক্ষে সাত মৌসুম খেলে ১২৮ উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯২৬-২৭ মৌসুমে নিজের স্বর্ণালী সময় কাটান। নাটালের বিপক্ষে ১১৫ রান খরচায় ১৪ উইকেট পান। এছাড়াও, ছয় খেলা থেকে ৫২ উইকেট দখল করেছিলেন। এক পর্যায়ে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে এসেছিলেন। ১৯২৩ ও ১৯২৪ সালে পেশাদারী পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে নয় খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
১ জানুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে ট্রান্সভালের দ্য হিল এলাকায় ৬৭ বছর ৩৪৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
