৪ নভেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে ওয়েলসের ভেলিন্দ্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটে গ্ল্যামারগন, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও নর্দার্ন ট্রান্সভাল এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান রাখেন। গ্ল্যামারগন দলের তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন ও দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে দুই মৌসুমে কাউন্টি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৭ সালে জিলেট কাপের চূড়ান্ত খেলায় দলকে পরিচালনা করেন।
আনুষ্ঠানিক কোন টেস্টে অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বাধিকসংখ্যক রান সংগ্রহের ন্যায় রেকর্ড ধারণ করেছিলেন। ৩৬০৪৯ রান তুলে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ৩৫তম অবস্থানে রয়েছেন। ১৯৬৯ সালের চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী গ্ল্যামারগনের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত উপর্যুপরী মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ সময়ে তিনি ৫২টি প্রথম-শ্রেণীর শতক হাঁকিয়ে ক্লাব রেকর্ড গড়েন। খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই কনিষ্ঠ ভ্রাতা ও গ্ল্যামারগনের উইকেট-রক্ষক এইফিয়নের সাথে একত্রে খেলেন। ১৯৬৮ সালে হোভে সাসেক্সের বিপক্ষে তাঁরা ২৩০ রানের জুটি গড়েন।
১৯৭০ সালে বাদ-বাকী বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে খেলার সুবাদে ১৭ জুন, ২০২০ তারিখে ইংল্যান্ডের ৬৯৬তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঠিক পঞ্চাশ বছর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবর্তে বাদ-বাকী বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে সিরিজের প্রথম খেলার পর আইসিসি কর্তৃক এ সিরিজ স্বীকৃতি পায়নি। এটিই তাঁর ইংল্যান্ডের পক্ষে একমাত্র খেলায় অংশগ্রহণ ছিল।
নভেম্বর, ২০১৯ সালে জ্যাক ক্রলি’র অভিষেকের পর পরবর্তী নম্বর ৬৯৬ তাঁকে দেয়া হয়। সকালে ইসিবি চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট, গ্ল্যামারগনের সিইও হিউ মরিসের সাথে সাবেক ইংরেজ অধিনায়ক ও তাঁর কাউন্টি দলীয়সঙ্গী টনি লুইসের সাথে ভিডিও বার্তায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
১৯৭৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ১৯৯৩ সালে এএক্সএ ইক্যুইটি এন্ড ল লীগে শিরোপা বিজয়ী গ্ল্যামারগন দলকে পরিচালনা করেন। ১৯৯৭ সালে ওয়েলসীয় দলের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়কালীন তিনি ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপরও, গ্ল্যামারগনের সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে রাখেন। ২০১৬ সালে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হন ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এজে জোন্স নামীয় সন্তানের জনক।
