২২ নভেম্বর, ১৯৬৪ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার। দলে মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৮১-৮২ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে ফয়সালাবাদ, হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, লাহোর, সারগোদা এবং ওয়াটার ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে নয়টিমাত্র টেস্ট ও ৪৯টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২৩ অক্টোবর, ১৯৮৯ তারিখে বোম্বের বিএসে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন। এরপর, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে নিজ দেশে কৃষ শ্রীকান্তের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ০/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে সেলিম মালিকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ৩১ জানুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ০/১১২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১৯ ও ২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ফ্লাওয়ার ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় সফরকারীরা ইনিংস ও ৬৪ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ার জগতের দিকে ধাবিত হন। ১৫ মে, ২০১১ তারিখে লাহোরে অপর ছয়জন অবৈধ জুয়াড়ীর সাথে তিনি গ্রেফতার হন। এরপর, ১৭ মে, ২০১১ তারিখে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন। পরবর্তীতে, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে পুণরায় তাঁকে খেলা পরিচালনার জন্যে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
