|

অজিত পাই

২৮ এপ্রিল, ১৯৪৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

কেবলমাত্র সিমার হবার সুবাদেই তিনি তাঁর সময়কালে ভারত দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৫ গড়ে ৮৫ উইকেট ও ১১ গড়ে ৩৯২ রান পেয়েছিলেন। তবে, সিম বোলিংয়ের পাশাপাশি অল-রাউন্ডার হিসেবে আবিদ আলী কিংবা একনাথ সোলকারের অনবদ্য ভূমিকার কারণে তেমন খেলার সুযোগ পাননি।

প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। টেনিস বলের ক্রিকেটের মাধ্যমে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ২০ বছর বয়সে এসেও তিনি কোন খেলায় বোলিং করেননি। বলে বাউন্স আনয়ণে সক্ষমতা দেখান। ইন-সুইঙ্গার ও অফ-কাটারের সাহায্যে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে বোম্বে দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পেলেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ৩৫-এর অধিক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতে পারেননি।

ভারত স্পোর্টিং ক্লাবের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। ঐ বিভাগে প্রায় একাকী দলের উত্থানে ভূমিকা রাখেন। ২৩ বছর বয়সে বোম্বের পক্ষে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। ২/৪৮ ও ২/৩৯ লাভ করেছিলেন তিনি। দিলীপ ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় ৬/৯৩ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন। পরের মৌসুমে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ৭/৪২ নিয়ে দূর্দান্ত শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে ভারত দলে রাখা হয়।

১৯৬৯ সালে ভারতের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে বোম্বেতে বিএসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। চেতন চৌহান ও অশোক মানকড়ের সাথে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে ১ ও ৯ রান তুলেন। বোলিং উদ্বোধনে নেমে ব্রুস মারে ও মার্ক বার্জেসের উইকেট পান। প্রথম ইনিংসে তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ১৭-৪-২৯-২। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি মাত্র ২ ওভার বোলিং করার সুযোগ পান এবং বিষেন বেদীইএএস প্রসন্ন ১০ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলে ভারত দল ৬০ রানে জয়লাভ করে ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরপর আর তাঁকে কোন টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেট চলমান রাখেন। পরের মৌসুমে সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৯১ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস উপহার দেন ও খেলায় ৫/২২ ও ৬/৩০ নিয়ে একমাত্র দশ উইকেটের সন্ধান পান। আব্দুল ইসমাইলের আবির্ভাব ও একনাথ সোলকারের দাপটে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। অতঃপর ৩০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। মফতলালে চাকুরীতে যোগ দেন। সেখান থেকে মঈন-উদ-দৌলা কাপে অংশ নেন। সিদ্ধার্থ কলেজ থেকে স্থাপত্যকলায় সরকারী ডিপ্লোমাধারী হন। এরপর, ব্যাংক অব বরোদায় স্থাপত্যবিদ হিসেবে যুক্ত হন।

Similar Posts

  • |

    জো কক্স

    ২৮ জুন, ১৮৮৬ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্ষীপ্র গতিসম্পন্ন মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ফিল্ডিংয়ে বেশ দূর্বলতার পরিচয় দেন ও সাধারণমানের নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    রাসেল এনডিন

    ৩১ মে, ১৯২৪ তারিখে ট্রান্সভালের পার্কভিউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৫০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সাউথ আফ্রিকা সিক্সথ আর্মার্ড ডিভিশনে থেকে মিশর ও ইতালিতে দায়িত্ব পালন করেন। পঞ্চাশের দশকে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছিলেন। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে…

  • | | | |

    ইফতিখার আলী খান পতৌদি

    ১৬ মার্চ, ১৯১০ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের পতৌদি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ইংল্যান্ড ও ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পতৌদির অষ্টম নবাব ছিলেন। ধৈর্য্যশীল, দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চিত্তে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ৬ ফুট উচ্চতার অধিকারী ইফতিখার আলী খান…

  • | |

    স্কচ টেলর

    ২৫ জুলাই, ১৯২৫ তারিখে ট্রান্সভালের জোহানেসবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর, উইওয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে খনিবিষয়ক ডিগ্রীধারী হন। ইনিংস উদ্বোধনে নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিতেন। ১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম…

  • |

    কার্টলি অ্যামব্রোস

    ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার সুইটস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি বাস্কেটবল খেলায় দক্ষ ছিলেন। যুবক অবস্থায় বাস্কেটবল খেলতেন ও এ ক্রীড়ায় খেলোয়াড়ী জীবনে প্রবেশ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সমুদ্র সৈকতে…

  • | |

    ট্রেভর গডার্ড

    ১ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম বোলিং পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘকায় ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। চমৎকার কৌশল অবলম্বনে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। বল হাতে নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুইংয়ের উপর জোর দিতেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আউট-সুইঙ্গার মারতেন।…