|

আহমেদ শেহজাদ

২৩ নভেম্বর, ১৯৯১ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

প্রতিভা সর্বদাই সফলতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে আরও ঝালাই করে নিতে তৎপরতা দেখিয়েছেন। এক দশকের অধিক সময় পর পাকিস্তান দলে তাঁর ন্যায় প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের সন্ধান মিলে। প্রায়শঃই তাঁকে ‘পাকিস্তানের বিরাট কোহলি’ হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়ে থাকে। রিকি পন্টিংয়ের ন্যায় আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হতে চেয়েছিলেন। উইকেটের সর্বত্র শট খেলার দক্ষতা অর্জন করেছেন। পাকিস্তান দলের অন্যতম বিশ্বস্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দারুণ খেলেছিলেন।

২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও লাহোর রবির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস, বরিশাল বার্নার্স, জ্যামাইকা তল্লাজ, লাহোর ঈগলস, লাহোর লায়ন্স, লাহোর শালিমার, মুলতান সুলতান্স ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে খেলেছেন।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ পঞ্চদশ জন্মদিনের ঠিক দুই মাস পর লাহোর শালিমারের সদস্যরূপে করাচী হারবারের বিপক্ষে ২৪ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়। এরপর থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। একই বছর ডার্বিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম যুব টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ৩৪২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ১৬৭ রান তুলে দলের বিজয়ে দূর্দান্ত ভূমিকা রাখেন।

এরপর নিজ দেশেও এ সাফল্যের পুণরাবৃত্তি ঘটান। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ৩১৫ রান তুলেন। সর্বোচ্চ করেন ১০৫ রান। ঐ সিরিজের ৫-০ ব্যবধানে স্বাগতিক দল জয় পায়। পরবর্তীতে, বাংলাদেশের বিপক্ষে যুব টেস্টে আরও একটি শতক হাঁকান। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায়ও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হন ও দলকে শিরোপা এনে দেন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দলে খেলার জন্যে তাঁকে দলে রাখা হয়। সম্ভাব্য তালিকায় না থাকলেও পরের বছর নিজ দেশে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সফরকারী দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে দলে রাখা হয়েছিল। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ১৩ টেস্ট, ৮১টি ওডিআই ও ৫৯টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৭ বছর বয়সে ২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই ও টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে। ২৪ মে, ২০০৯ তারিখে দুবাইয়ের ডিএসসিতে দূর্ভাগ্যজনকভাবে নিজস্ব প্রথম ওডিআইয়ে মাত্র ৪ রান তুলে রান-আউটের শিকারে পরিণত হন। ৭ মে, ২০০৯ তারিখে টি২০আইয়ে অংশ নিয়েও একইসংখ্যক রানের সন্ধান পান। তাসত্ত্বেও, স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তাঁকে রাখা হয়েছিল।

এরপর, ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন শিরোপা বিজয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় একটিমাত্র খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটেছিল। তবে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি ও খুব শীঘ্রই দল থেকে বাদ পড়েন। ২০১১ সালের শুরুতে সেডন পার্কে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতক হাঁকান।

ফলশ্রুতিতে, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তাঁকে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ এনে দেয়। তবে, নক-আউট পর্বের খেলাগুলোয় অংশ নেয়ার সুযোগ হয়নি। ২০১১ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরের পর আবারও বাদ পড়েন। তবে, অংশগ্রহণকৃত ওডিআইগুলোর একটিতে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। প্রথম তিনটি ওডিআই শতকগুলো নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হলেও অনিয়মিতভাবে পেয়েছেন।

দুই বছর পর পুণরায় দলে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। ২০১৪ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ওডিআই অভিষেকের চার বছর পর ২০১৩-১৪ মৌসুমে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বে পাকিস্তানী দলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। সেখানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। বিলাওয়াল ভাট্টি’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অভিষেকে দূর্দান্ত ব্যাটিংশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। ঐ খেলায় খুররম মঞ্জুরের সাথে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ৩৮ রান তুলেছিলেন তিনি। পরের ইনিংসে ১০৯ বলে ৫৫ রানের প্রথম অর্ধ-শতক হাঁকান।

নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে প্রথম শতরানের সন্ধান পান। ১৪১ রান করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় দলনেতার অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর সুবাদে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। একই সফরের ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১৪৭ ও ২১ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, আজহার আলী’র অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাকিস্তান দল ৫ উইকেটে জয় পেলে ১-১ ব্যবধানে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

এরপর, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন। একই বছর বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও রানের ফুলঝুড়ি অব্যাহত রাখেন। ১০৩ ও ১১৩ রান তুলে দলের সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ২০১৪ সালের বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে টি২০আইয়ে প্রথম শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন। পাশাপাশি, একমাত্র পাকিস্তানী খেলোয়াড় হিসেবে তিন ধরনের ক্রিকেটেই শতরানের সন্ধান পেয়েছেন। এছাড়াও, একমাত্র পাকিস্তানী হিসেবে টি২০ খেলায় সর্বাধিক ছক্কা ও সর্বাধিক রান পেয়েছেন। কিন্তু, শ্রীলঙ্কার উপযোগী পরিবেশে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করলে দল নির্বাচকমণ্ডলীর নজরের বাইরে চলে যান। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি ওডিআই দল থেকেও বাদ পড়েন।

শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও মাঠে অসদাচরণের বিষয়টি দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে জড়িয়ে পড়েছিল। ২০১১ সালে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে বাজে আচরণে এক খেলা থেকে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। এর একমাস পূর্বে প্রথম বাজে আচরণ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড় তিলকরত্নে দিলশানের সাথে অসদাচরণের কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে কারণ দর্শাও নোটিশ পান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পাকিস্তান সুপার লীগের গ্রুপ পর্বে পেশাওয়ার জালমি’র বিপক্ষে খেলাকালীন ফাস্ট বোলার ওয়াহাব রিয়াজের সাথে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। এরফলে, পিসিবি উভয়কেই জরিমানা করে। ১ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে বলে আঁচড়ের ঘটনায় সেন্ট্রাল পাঞ্জাব দলকে অভিযুক্ত করা হয় ও তাঁকে জরিমানা গুণতে হয়।

২০১৬ ও ২০১৭ সালের পিএসএলে চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ফলশ্রুতিতে, দল নির্বাচকমণ্ডলী পুণরায় তাঁর দিকে মনোযোগী হয়। দলে স্থান ফিরে পান ও ২০১৭ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমনার্থে দলের সদস্য করা হয়। এছাড়াও, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেন। ২০১৭ সালে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। ৩০ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। তবে, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১০৬ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

Similar Posts

  • | |

    কার্ল রেকেম্যান

    ৩ জুন, ১৯৬০ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের ওন্ডাই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দলীয় সঙ্গীদের কাছে ‘মক্কা’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। নিজের সময়কালে অন্যতম কার্যকর ফাস্ট বোলার হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন। ব্যাটসম্যানদের…

  • |

    তালহা জুবায়ের

    ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০১-০২ মৌসুম থেকে ২০১৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রাখেন। শুরু থেকেই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের মর্যাদা পান। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে মধ্যাঞ্চল ও ঢাকা মেট্রোপলিসের…

  • | | |

    সাবা করিম

    ১৪ নভেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা ও বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিস্ময়করভাবে…

  • | |

    অ্যালান ডসন

    ২৭ নভেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে কেপ কোবরাস…

  • | |

    ঋষভ পন্ত

    ৪ অক্টোবর, ১৯৯৭ তারিখে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিশোর অবস্থাতেই তাঁর মাঝে প্রতিভা বিরাজমান। সর্বদাই উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার দিকে নজর রাখতেন। ২০১৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়…

  • | |

    টিম সাউদি

    ১১ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে নর্থল্যান্ডের হোয়াঙ্গারেই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ খাঁটি মানসম্পন্ন আক্রমণাত্মক ধাঁচের সুইং বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড দলের সহঃঅধিনায়কের মর্যাদাসহ অধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিদ্যালয় জীবনে সহজাত প্রকৃতির বোলার ও রাগবি খেলায় দক্ষ ছিলেন।…