|

ডেরিক প্যারি

২২ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ তারিখে নেভিসের কটন গ্রাউন্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

দৃশ্যতঃ অফ-স্পিনার হিসেবে খেললেও তাঁর ব্যাটিংয়ের মান উন্নততর থাকায় তাঁকে অল-রাউন্ডার হিসেবে চিত্রিত করা হয়ে থাকে। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস ও লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ২৬.৮৬ গড়ে রান তুললেও কোন শতরানের সন্ধান পাননি।

১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বমোট ১২ টেস্ট ও ছয়টিমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ক্যারি প্যাকারের প্রভাবে খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে নিজ দেশে বব সিম্পসনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৩ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ডেসমন্ড হেইন্স ও রিচার্ড অস্টিনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। শুরুটা মোটেই সুবিধের হয়নি। প্রথম বলেই বিদেয় নেন। এরপর, প্রথম বলটি ওয়াইড করেন। তবে, প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে ২/৪৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়ে এ ঘাটতি পূরণে অগ্রসর হন। ইনিংস ও ১০৬ রানে জয় পেয়ে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।  

একই সফরের ১২ এপ্রিল, ১৯৭৮ তারিখে কাস্ট্রিজে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো খেলেন।

টেস্টে তেমন সুবিধে করতে না পারলেও ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বর্ণালী মুহূর্ত উদযাপন করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৬৫ রান তুলেন। এরপর ৫/১৫ লাভ করেন। তন্মধ্যে, শেষ চার উইকেট বোল্ডের মাধ্যমে পান। এরফলে, অস্ট্রেলিয়া দল ৯৪ রানে গুটিয়ে যায়। তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র পাঁচ-উইকেট লাভের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফি লাভ করে।

এরপর, ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভারত গমনার্থে তাঁকে দলে রাখা হয়। কিন্তু এ সফরে তেমন সুবিধে করতে পারেনি। ছয় টেস্ট থেকে মাত্র ১৭০ রান ও নয় উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। তাসত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান গমনের সুযোগ পান। বিশ্ব সিরিজ থেকে খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনে তাঁর আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটে।

১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৭ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২/৬৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ১ উইকেটে নাটকীয়ভাবে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে তৎকালীন নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। এরফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড থেকে আজীবনের জন্যে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। তাসত্ত্বেও, কয়েক মৌসুম কেমব্রিজশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন।

Similar Posts

  • |

    গ্লেন ম্যাকগ্রা

    ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ডাব্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কেভিন ম্যাকগ্রা ও বেভার্লি ম্যাকগ্রা দম্পতির সন্তান। ডাব্বোয় জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পরিবার ন্যারোমাইনে চলে যায়। সেখানে তিনি তাঁর ক্রিকেট খেলোয়াড়ী…

  • |

    বিজয় মাঞ্জরেকর

    ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘ট্যাট’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ভীতিহীন অবস্থায় হুক এবং কাট মারতেন ও বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন। বোম্বে স্কুল থেকে আগত অন্যতম সেরা…

  • | |

    জাস্টিন অনটং

    ৪ জানুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে কেপ প্রভিন্সের পার্ল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পরবর্তীতে অফ-স্পিন বোলিং রপ্ত করেন। এরফলে, নিজেকে আরও কার্যকর ক্রিকেটারে পরিণত করেন। ‘রোডি’ ডাকনামে…

  • | |

    রস টেলর

    ৮ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে ওয়েলিংটনের লোয়ার হাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিন স্তরের ক্রিকেটের সবকটিতেই অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, সকল স্তরেই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। সামোয়ান বংশোদ্ভূত তিনি। এমসিসি’র পরিচালনায় কাউন্টি ক্রিকেটে কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার উদ্দেশ্যে এমসিসি ইয়ং…

  • | |

    অ্যান্ড্রু হাডসন

    ১৭ মার্চ, ১৯৬৫ তারিখে নাটালের এশোই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। কিয়ার্সনি কলেজে অধ্যয়ন করতেন। সেখানে অবস্থানকালে বিশ্বমানসম্পন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ সুযোগ থেকে মোটেই বঞ্চিত করেননি। প্রচণ্ড চাপ সামলে নেয়ার ক্ষমতা…

  • |

    প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা

    ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, বেলারি তুস্কার্স, ভারত ‘এ’, কলকাতা নাইট…