| |

রশীদ খান

২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে নানাগড়হর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। লেগ-ব্রেক বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। আফগানিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। আফগানিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। স্বল্প কয়েকজন বোলারের অন্যতম হিসেবে পরপর চার বল থেকে চার উইকেট লাভের কৃতিত্ব অর্জন করেন।

নানাগড়ের কোন এক গ্রামের পশতু পরিবারে তাঁর জন্ম। দশ ভাই-বোন রয়েছে। ভাইদের সাথেই অধিকাংশ সময় ক্রিকেট খেলতেন। তবে, পরিবার থেকে সর্বদাই পড়াশুনোয় মনোযোগী হবার পরামর্শ পেতেন ও চিকিৎসক হবার স্বপ্নে বিভোঁর ছিলেন। কোন এক রবিবারে বন্ধুদের সাথে পরিবারকে না জানিয়েই খেলেন। শক্ত বলে ৬৫ রান তুলেন। এক পর্যায়ে আফগানিস্তানের ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে শুরু করেন। লাহোরে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান। এরফলে, পরিবারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায় ও তাঁরা সহযোগিতা করতে থাকেন। আফগান যুদ্ধে খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশাওয়ারের শরণার্থী শিবিরে শৈশবকাল অতিবাহিত করেছেন। ২০১৮ সালের বিগ ব্যাশ লীগ চলাকালে তাঁর পিতার দেহাবসান ঘটে। শহীদ আফ্রিদি’র খেলা দেখে ক্রিকেটে অনুরক্ত হন। খুব দ্রুত শহীদ আফ্রিদি’র অন্ধ ভক্ত বনে যান। দ্রুতগামী বোলিং অনুসরণে অগ্রসর হন ও ব্যাটিংয়ে প্রাধান্য ক্রীড়ায় বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনয়ণে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন। বলে নিখুঁতভাব আনয়ণসহ স্ট্যাম্প বরাবর বোলিং করেন। এছাড়াও, ডাইভে বল হাতে নেয়ার ন্যায় দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরে প্রথম-শ্রেণীর আফগান ক্রিকেটে বন্দ-ই-আমির ড্রাগন্স, মিস আইনাক রিজিওন, স্পিন গড় রিজিওন, বন্দ-ই-আমির রিজিওন ও কাবুল ঈগলস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আইসিসি বিশ্ব একাদশ, কাবুল, কাবুল ঈগলস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, নানাগড়হর লিওপার্ডস, কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স, বুস্ট ডিফেন্ডার্স, কাবুল জোয়ানান, লাহোর কালান্দার্স, মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স, এমআই কেপটাউন, এমআই এমিরেটস, ডারবান হিট, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, গুজরাত টাইটান্স, সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টস, ট্রেন্ট রকেটস, গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের পক্ষে খেলেছেন। গ্রেটার নয়ডায় আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আট উইকেট নিয়ে আফগানিস্তান দলকে ইনিংস ব্যবধানে জয় এনে দেন।

২০১৫ সাল থেকে আফগানিস্তানের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। নিজস্ব সপ্তদশ জন্মদিন উদযাপনের এক মাসেরও কম সময় পরই দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বর্ণাঢ্যময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। খেলায় তিনি এক উইকেটের সন্ধান পান। তবে, এ তরুণ আফগানের খেলা আকর্ষণে দর্শকদের খুব বেশী সময় নিতে হয়নি। খুব শীঘ্রই সহযোগী দেশগুলোর উপর বিশেষতঃ ক্ষুদে সংস্করণের খেলাগুলোয় একাধিপত্য বিস্তারে প্রয়াস চালান। পরের মাসেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে। দল ৬ উইকেটে জয়লাভ করে ও তিনি এক উইকেট পান।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০আই খেলায় ২-১-৩-৫ বোলিং পরিসংখ্যান অনেকেরই নজর কাড়ে। ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে দেড় বৎসর পর পুণরায় জিম্বাবুয়ে গমনের সুযোগ পান। এ সফরে থাকাকালীন মূল্যবান লেগ-স্পিনার হিসেবে আইপিএলের নিলামে সহযোগী দেশের খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে চড়া দামে বিক্রিত হন। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ৪ কোটি ভারতীয় রূপীর ($৫,৯৭,০০০) বিনিময়ে কিনে নেয়। ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত হায়দ্রাবাদ দলের বিরাট শক্তি হিসেবে যুক্ত হন। আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ২০১৮ সালে ২১ উইকেট দখল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট পান। ২০১৯ সালে ১৫ খেলা থেকে ১৬ উইকেট দখল করেন।

মাঝের সময়টুকুই নিজেকে দ্রুত গড়ে তুলেন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে আফগানিস্তান দলে প্রতিষ্ঠিত করেন। বলে তেমন বড় ধরনের বাঁক খাওয়ানোয় দক্ষ না হলেও ব্যাটসম্যানকে বলকে দ্রুত শূন্যে ভাসিয়ে ক্রমাগত চাপে ফেলানোয় তার জুড়ি মেলা ভার। স্ট্যাম্প বরাবর বোলিংয়ের ধারা বহমান রেখেছেন। অত্যন্ত নিখুঁত ভঙ্গীমায় গুগলি বোলিংকে বড় ধরনের শক্তিরূপে ব্যবহার করেন। উইকেটে এর প্রভাব পড়লে তাঁকে তারকা খেলোয়াড় হিসেবে চিত্রিত না করার কোন উপায় নেই। মাঠে বেশ দৌঁড়ুতে পাড়েন। একদিনের ক্রিকেটের অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা কভার অঞ্চলে প্রায়শঃই অবস্থান করেন। ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি হাঁকানোয় বেশ কার্যকারিতা দেখান। দলের অন্যতম জয়সূচক রান সংগ্রহকল্পে ছক্কা হাঁকাতে পটু।

ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে নিজের প্রথম মৌসুমে সানরাইজার্সের পক্ষে দূর্দান্ত খেলার পর সিপিএলে গায়ানা আমাজন ওয়ারির্সের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। এ পর্যায়ে ২০১৭ সালে সিপিএলের ইতিহাসের প্রথম হ্যাট্রিক লাভের ন্যায় অনন্য রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। ১৪ উইকেট নিয়ে চতুর্থ সর্বাধিক উইকেট শিকারী হন।

এছাড়াও, বিগ ব্যাশ লীগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের পক্ষে খেলেছেন ও দলের শিরোপা জয়ে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখেন। ১১ খেলা থেকে ১৮ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন। এছাড়াও, বিবিএলের অষ্টম আসরেও দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। এরফলে, উভয় মৌসুমেই ক্লাবের সর্বাধিক মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে দলীয় সঙ্গীদের ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১৯-২০ মৌসুমে সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে হ্যাট্রিকসহ ৪/২২ লাভ করেন। এমনকি উইকেট না পেলেও এ প্রতিযোগিতায় বল প্রতি রান কম খরচের প্রবণতা তাঁর মাঝে বিদ্যমান। এ ধরনের সফলতাগুলোর পাশাপাশি সহযোগী দেশের খেলাগুলোয় আফগানিস্তানের সফলতায় অংশীদার ছিলেন ও খুব শীঘ্রই আইসিসি দলটিকে পূর্ণাঙ্গ টেস্টভুক্ত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত করে। আফগানিস্তানের পক্ষেও বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিয়েছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের উত্তরণ ঘটানোসহ মোহাম্মদ নবীর সাথে আফগানিস্তানের দুই উদীয়মান তারকায় পরিণত হন ও অনেকগুলো রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে বিবিএলের দশম আসরকে ঘিরে চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

ভাইটালিটি ব্ল্যাস্টে সাসেক্স শার্কের বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার কারণে ২৭ মে, ২০২২ তারিখে পঞ্চম বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অবেড ম্যাককয়কে সাময়িকভাবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

টি২০আইয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫/৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে রেকর্ডসংখ্যক ১১ খেলায় জয়ের ধারাবাহিকতা সজীব রাখেন। এরপর, ২০১৭ সালের শেষদিকে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ওডিআই বিজয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। সংগৃহীত ৭/১৮ বোলিং পরিসংখ্যান ওডিআইয়ের ইতিহাসের সর্বকালের তালিকায় চতুর্থ সেরা মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়। এরফলে, প্রথম সহযোগী দেশের ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআইয়ে যে-কোন টেস্টখেলুড়ে দলের বিপক্ষে সাত-উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান। ফলশ্রুতিতে, ২০১৭ সালে আইসিসি কর্তৃক বর্ষসেরা সহযোগী ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন ও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন। ২০১৮ সালে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসি ওডিআই বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর অবস্থানে চলে আসেন।

জানুয়ারি, ২০১৮ সালে বৈশ্বিক ক্রিকেট তারকার আসনে পাকাপোক্ত স্থান করে নেন। সানরাইজার্স নিলামে তাঁকে ৯ কোটি ভারতীয় রূপীর ($১.৪ মিলিয়ন) বিনিময়ে নিজেদের অনুকূলে আনলে আফগানিস্তানের প্রথম আইপিএল মিলিওনিয়ারের মর্যাদা পান। যে দলেই খেলেছেন, সেখানেই নিজের দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে দর্শকদের প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়েছেন। বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দলসহ সহযোগী সদস্যদের প্রতিযোগিতায় একাধিপত্যবাদ বজায় রাখেন। আফগানিস্তানের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হবার পর সকল স্তরের ক্রিকেটে নিজের খেলা ধারা অব্যাহত রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

আফগানিস্তানের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে এগারোজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে অংশ নেন। ১৪ জুন, ২০১৮ তারিখে বেঙ্গালুরুতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ২৬২ রানে পরাজিত হয়। বল হাতে নিয়ে ২/১৫৪ এবং ব্যাট হাতে ৭ ও ১২ রান তুলেন। তন্মধ্যে, উদ্বোধনী টেস্টে সর্বাধিক ১৫২ রান খরচের অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়ান।

২০১৮ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সফলতার সাথে আফগান দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল আসরে দলকে নিয়ে যান। ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বেশ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হলেও তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি ও আফগানিস্তানের খেলা সাধারণমানের হয়ে পড়ে। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী বেশ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ২০ বছর বয়সী লেগ-স্পিনারকে সকল স্তরের ক্রিকেটে আফগানিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করে। পরবর্তীতে আসগর আফগানকে অধিনায়ক হিসেবে পুণর্বহাল করা হলে বোলিংয়ে মনোনিবেশ করার সুযোগ পান।

আগস্ট, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ গমনার্থে আফগান দলকে নেতৃত্ব দেন। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে আফগানিস্তানের নেতৃত্বে থেকে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হন। খেলায় ১১ উইকেট দখল করেন ও ৭৫ রান সংগ্রহ করে দলকে ২২৪ রানের জয় এনে দেন। এ টেস্টে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১০ উইকেট দখলের কৃতিত্বের অধিকারী হন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই টেস্টে অর্ধ-শতকসহ ১০ উইকেট দখল করেন। এছাড়াও, প্রথম আফগান বোলার হিসেবে টেস্টে ৫-উইকেট ও খেলায় দশ উইকেট লাভ করেন। দারুণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

১ মার্চ, ২০২১ তারিখে আঙ্গুলের আঘাতের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন।

২০২৪-২৫ মৌসুমে হাশমতউল্লাহ শাহীদি’র নেতৃত্বাধীন আফগান দলের অন্যতম সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে সফরে যান। ২ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ২৫ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৪/৯৪ ও ৭/৬৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ৭২ রানে জয় তুলে নেয় ও ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

Similar Posts

  • |

    সাঈদ আজমল

    ১৪ অক্টোবর, ১৯৭৭ তারিখে পাঞ্জাবের ফয়সালাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নেমেও কার্যকর ভূমিকার স্বাক্ষর রাখতেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন।…

  • | |

    মার্ক ওয়াহ

    ২ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যান্টারবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পিতা ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাতা নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা বিভাগের অধীন শিক্ষক ছিলেন। স্টিভ ওয়াহ ছাড়াও ডিন ও…

  • | | |

    অতুল বাসন

    ২৩ মার্চ, ১৯৬৮ তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৯০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে বেশ সাড়া জাগান। কঠোর পরিশ্রমী মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। রজার বিনি ও মদন লালের…

  • |

    কার্টলি অ্যামব্রোস

    ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার সুইটস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি বাস্কেটবল খেলায় দক্ষ ছিলেন। যুবক অবস্থায় বাস্কেটবল খেলতেন ও এ ক্রীড়ায় খেলোয়াড়ী জীবনে প্রবেশ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সমুদ্র সৈকতে…

  • | | |

    ডেভিড গাওয়ার

    ১ এপ্রিল, ১৯৫৭ তারিখে কেন্টের টানব্রিজ ওয়েলসে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘স্টোট’, ‘লুবো’ কিংবা ‘লু’ ডাকনামে পরিচিত ডেভিড গাওয়ার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ক্যান্টারবারির কিংস স্কুলে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর, লন্ডনভিত্তিক ইউনিভার্সিটি…

  • |

    জ্যাক হবস

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ তারিখে কেমব্রিজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। ইংরেজ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ১৯৫৩ সালে নাইট উপাধীতে ভূষিত হয়েছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর পেশাদারী পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। হার্বার্ট সাটক্লিফ ও লেন হাটনের সাথে তাঁকেও বৈশ্বিকভাবে সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা দেয়া হয়। ‘দ্য মাস্টার’ নামে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে…