নীল হার্ভে
৮ অক্টোবর, ১৯২৮ তারিখে ভিক্টোরিয়ার ফিটজরয় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১.৭২ মিটার উচ্চতার অধিকারী। পরিবারের ছয় পুত্র সন্তানের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন। জ্যেষ্ঠ তিন ভ্রাতা ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে অংশ নিতেন। তন্মধ্যে, একজন মার্ভ হার্ভে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন। ছাত্র অবস্থাতেই তাঁর মাঝে সহজাত প্রতিভা লক্ষ্য করা যায়। নয় বছর বয়সে নর্থ ফিটজরয় সেন্ট্রাল স্কুলের সদস্যরূপে মন্ট আলবার্টের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় দলের ১৪০ রানের মধ্যে একাকী ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। পায়ের কারুকাজের নিখুঁততা ও সর্বত্র স্ট্রোকপ্লের ফুলঝুড়ি ছোটাতেন। আক্রমণাত্মক ধাঁচ অবলম্বনে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, প্রচণ্ড চাপ সামলে অগ্রসর হতেন।
ছোটখাটো গড়নের অধিকারী হলেও তড়িৎগতিতে স্ট্রোকপ্লের দ্যুতি ছড়িয়ে দর্শকদের মন জয় করতেন। ব্যাটিং কৌশলে প্রভূত্ব দেখানোর পাশাপাশি মাঠের চতুর্দিকে শট খেলায় অভ্যস্ত ছিলেন। কৈশোরকালীন খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম-শ্রেণীর ইনিংসগুলোর ন্যায় পরবর্তীকালে একই ধারা বহমান রেখেছিলেন। খুব কমসংখ্যক বোলারই তাঁর ব্যাটিং মনোযোগ থেকে বিচ্যুত করতে পেরেছিলেন। খাটো উচ্চতা নিয়েও অসম্ভব শক্তিমত্তায় অগ্রসর হতেন। ড্রাইভ, কাট, পুল, হুক প্রভৃতি সকল শটেই পারঙ্গমতা প্রদর্শন করতেন।
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ক্রিকেট বরপুত্রদের অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। সহজাত প্রবৃত্তির বামহাতি ব্যাটসম্যান, সীমানাঘেষা দূর্দান্ত ফিল্ডার ও মাঝে-মধ্যে অফ-স্পিন বোলিং করতেন। এক পর্যায়ে দৃশ্যতঃ মাঠের চতুর্দিকে স্ট্রোক-প্লে মারতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ও অদ্যাবধি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে থাকেন।
১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম পর্যন্ত ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলেন। তাসমানিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ১৮ রান তুলেছিলেন। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পরবর্তী খেলায় ১৫৪ রান তুলে স্বীয় আগমনী বার্তা তুলে ধরেন। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলেছিলেন।
সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে ৬৯ এবং সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরফলে, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা করে নেন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ৭৯ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে নিজ দেশে লালা অমরনাথের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ইনিংস ও ১৬ রানে জয় পেলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
ভারতের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে ১৫৩ রান তুলে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। একই সাথে সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলীয় হিসেবে ১৯ বছর বয়সে টেস্টে শতক হাঁকিয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯৪৮ সালে ডন ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন ‘অপরাজেয় দলের’ সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন। তন্মধ্যে, লিডসে ১১২ রান তুলেন।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে লিন্ডসে হ্যাসেটের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৩৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ৮৫ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
এরপর, ২০ জানুয়ারি, ১৯৫০ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি ২ ও ১৫১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরের ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০ তারিখে জোহানেসবার্গের এলিস পার্কে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৫৬* ও ১০০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে তিনি ০/৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৯৫২-৫৩ মৌসুমে নিজ দেশে জ্যাক চিদামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৯০ রান অতিক্রম করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৫ রান তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে এডি ফুলারের বলে বিদেয় নেন। তবে, স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে ২-২ ব্যবধানে সিরিজটি ড্র হয়।
এছাড়াও, নিজস্ব প্রথম তেরোটি টেস্ট ইনিংসের মধ্যে ছয়টিতেই শতক হাঁকানোর কীর্তিগাঁথা রচনা করেছিলেন। ১৩, ১৫৩, ১১২, ৪*, ১৭, ৩৪, ১৭৮, ২৩*, ২, ১৫১*, ৫৬*, ১০০ ও ১১৬। এ পর্যায়ে ১০৬.৫৫ গড়ে ৯৫৯ রান তুলেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে এসসিজিতে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণে স্বাগতিক দল মাত্র ১৮৪ রানে গুটিয়ে গেলেও তিনি ৯২ রান তুলেছিলেন। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া ৩৮ রানে পরাজিত হলেও তাঁর খেলা অনেকেরই মন জয় করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার নীল অ্যাডকক, পিটার হেইন ও হিউ টেফিল্ড; ইংল্যান্ডের অ্যালেক বেডসার, ফ্রাঙ্ক টাইসন, ব্রায়ান স্ট্যাদাম, টনি লক ও জিম লেকার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যারি সোবার্স, ওয়েস হল, আল্ফ ভ্যালেন্টাইন ও সনি রামাদিনের ন্যায় বিখ্যাত বোলারদের মোকাবেলা করে ব্যাট হাতে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের ন্যায় তাঁর রেকর্ড নজর না কাড়লেও ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। অ্যাশেজ অভিষেকে শতরানের ইনিংসটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্যতা পায়। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮.৩৪ গড়ে ২৪১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
সর্বদাই দলের পরিচালনাকারী সদস্যদের একজন থাকলেও কেবলমাত্র একবারই অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের শুরুতে সময়োপযোগী ১১৪ রানের ইনিংস খেলে সফরকারীদের বিপক্ষে ড্র করাতে সক্ষম হন। এরপর, কাঁধের আঘাতের কবলে পড়ে নিয়মিত অধিনায়ক রিচি বেনো দলের বাইরে অবস্থান করলে তাঁকে দলের নেতৃত্ব ভার প্রদান করা হয়। লর্ডসের ঐ টেস্টটি তাঁর মনঃপুত হয়নি। তাসত্ত্বেও প্রথম ইনিংসে অ্যালেন ডেভিডসনের ৫/৪২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জির ৫/৩৭ বোলিং পরিসংখ্যানের কারণে এবং দলীয় ব্যাটসম্যানদের সহায়তায় জয়লাভে সক্ষম হয়েছিলেন।
অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই তাঁকে দলের দীর্ঘদিনের অধিনায়কত্ব করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তবে, কেবলমাত্র একবারই এ সুযোগ পেয়েছিলেন। খেলোয়াড়দের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার মনোভাব পরবর্তীকালে স্টিভ ওয়াহ ও রিকি পন্টিংয়ের মাঝে লক্ষ্য করা যায়। সব মিলিয়ে তিনজন ভিন্ন অধিনায়কের সহকারী থেকে দলকে পরিচালনা করেছিলেন।
খেলোয়াড় হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভালোবাসতেন। খেলা শুরুর পর থেকেই রান সংগ্রহে তৎপর ছিলেন। সর্বমোট একুশটি শতক হাঁকিয়েছেন। ফিল্ডিংয়েও স্বীয় দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। মুঠোয় পুড়া ৬৪টি ক্যাচের ২৫টিই ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিখুঁততার সাথে এক খেলাতে চারটি রান আউট করেছিলেন।
খেলোয়াড়ী জীবনের শেষের দিনগুলোয় নিজস্ব সেরা ছন্দে অবস্থান করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৪ রান তুলেন। শেফিল্ড শীল্ডে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ২৩১ রানের ইনিংস খেলেন। অবসর গ্রহণকালীন সর্বাধিকসংখ্যক টেস্ট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। আধুনিককালের খেলার চেয়ে তাঁর সময়ের খেলাগুলোর মান অনেক ভালো ছিল বলে সর্বদাই অভিমত প্রকাশ করে থাকেন।
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে নিজ দেশে টেড ডেক্সটারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২২ ও ২৮ রান তুলেছিলেন। তবে, ঐ টেস্টে ৬ ক্যাচ তালুবন্দী করে তৎকালীন বিশ্বরেকর্ডের সাথে যৌথভাবে নিজেকে যুক্ত রাখেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটিও ১-১ ব্যবধানে অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
টেস্টগুলো থেকে ৪৮.৪১ গড়ে ২১ শতক সহযোগে ৬১৪৯ রান তুলেছেন। এছাড়াও, ৪০.০০ গড়ে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। শতক ও রান সংখ্যার দিক দিয়ে ডন ব্র্যাডম্যানের পরের স্থানে ছিলেন। তন্মধ্যে, আটটি শতকই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় ৫০.৯৩ গড়ে ২১৬৯৯ রান তুলেছেন এবং ৩৬.৮৬ গড়ে ৩০ উইকেট দখল করেছেন।
খেলোয়াড়ী জীবনে অগণিত ক্রিকেট বিশ্লেষকের সাথে সময় অতিবাহিত করেছেন। ১৯৫৪ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৬৪ সালে নববর্ষের সম্মাননায় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এমবিই উপাধীতে ভূষিত হন। অবসর গ্রহণের পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে যুক্ত ছিলেন। বারো বছর জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। এ দায়িত্বে থাকাকালীন ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্যতম সফলতম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া পরিগণিত হয়। এ সময়ে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেকে জড়ান। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে বিল লরিকে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেন। এরপর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বব সিম্পসনের অবসর গ্রহণের পর ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে পুণরায় তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করেন।
ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০০ সালের শুরুতে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেম ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রণীত শতাব্দীর সেরা অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের সদস্যরূপে শেন ওয়ার্ন, আর্থার মরিস, ইয়ান হিলি ও অ্যালান বর্ডারের সাথে অন্তর্ভুক্ত হন।
অ্যাশলে মলেট তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ‘পরবর্তী ব্র্যাডম্যান’ হিসেবে ব্যারি রিচার্ডস, গ্যারি সোবার্স, ভিভ রিচার্ডস ও শচীন তেন্ডুলকরকে পাশ কাটিয়ে তিনি কেবল নীল হার্ভেকেই চিত্রিত করবেন। ৮ জুন, ২০০৫ তারিখে ‘অপরাজেয় দলের’ বাদ-বাকী জীবিত খেলোয়াড় বিল ব্রাউন, বিল জনস্টন ও স্যাম লক্সটনের সিডনিতে সাথে মিলিত হন। ক্রিকেটের বাইরে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে বেসবল খেলতেন।