Skip to content

জেফ থমসন

1 min read

১৬ আগস্ট, ১৯৫০ নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রীনাক্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

‘থম্মো’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ৫১ টেস্ট ও ৫০টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে নিজ দেশে ইন্তিখাব আলমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭২ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ম্যাক্স ওয়াকারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১৯* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১০০ ও ০/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেছিলেন। খেলায় স্বাগতিকরা ৯২ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

কিংবদন্তীতূল্য ফাস্ট বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। দূরন্ত গতিপণাও এতে যুক্ত হয়েছে। নিজের সময়কালে অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারের মর্যাদা পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে পার্থ টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬০.৬ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করেছিলেন।

১৯৮১-৮২ মৌসুমে গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলার একমাত্র ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ২/৩৫ লাভ করেন। তবে, ব্রুস এডগারের অনবদ্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

ভারতের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট থেকে ২৩.৪৫ গড়ে ২২ উইকেট নিয়ে দলের সিরিজ বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৫ সালে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ১৫ আগস্ট, ১৯৮৫ তারিখ থেকে বার্মিংহামে শুরু হওয়া সিরিজের পঞ্চম টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন। খেলায় তিনি ২৮* ও ৪* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/১০১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। গ্রাহাম গুচকে বিদেয় করে ঠিক ২০০ টেস্ট উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। রিচার্ড এলিসনের দূর্দান্ত বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১১৮ রানে পরাজিত হলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। এরপর, ক্রিকেট জগৎকে বিদেয় জানান। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। টেস্টগুলো থেকে ২৮ গড়ে ২০০ উইকেট দখল করেন।

বারবার দল থেকে বাদ পড়তেন ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে পুণরায় অন্তর্ভুক্ত হতেন। এছাড়াও, অনেকবার শারীরিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হয়েছিলেন। টেস্টের তুলনায় ওডিআইয়ে কম সাফল্য পেয়েছেন। ৩৫ গড়ে মাত্র ৫৫ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ – এ দুইবার অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। নিচেরসারির কার্যকর ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পান ও সীমানা বরাবর ফিল্ডিং করে দলে ভূমিকা রাখতেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্য কর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের ছয় বছর পর কুইন্সল্যান্ড দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন। এ পর্যায়ে এসেও মাঝে-মধ্যে অনুশীলনীতে বোলিং করতেন। ২০১৬ সালের নৈশকালীন অ্যালান বর্ডার পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। মডেল চেরিল উইলসন নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন। বিবাহের ফুল তারকা ক্রিকেটার রে লিন্ডওয়াল সরবরাহ করেছিলেন। এ দম্পতির এমডব্লিউ থমসন নামীয় সন্তান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।