২৩ জুলাই, ১৯৫৩ তারিখে এসেক্সের হুইপস ক্রস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি, স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘জ্যাপ’ কিংবা ‘গুচি’ ডাকনামে ভূষিত গ্রাহাম গুচ ৬ ফুট উচ্চতার অধিকারী। লিটনস্টোনভিত্তিক নরলিংটন জুনিয়র হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, এসেক্স দলের নেতৃত্বে ছিলেন।
পেস ও স্পিন – উভয় ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষে যথেষ্ট সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট বলকে ঠেলে দিয়ে বিরাট সফলতা পেয়েছেন। সকল স্তরের খেলায় রানের ফুলঝুড়ি ছুটিয়েছেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে বিতর্কের সাথে জড়িয়ে রেখেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বাদে প্রথম-শ্রেণী ও লিস্ট-এ ক্রিকেটে রান তুলেছেন। তাসত্ত্বেও শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘজীবনের কারণে এক পর্যায়ে স্যার জ্যাক হবসের সংগৃহীত রান টপকাতে পেরেছেন। প্রায় ৩০ বছরের পেশাদারী ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে রান সংগ্রহ করে অনেকগুলো রেকর্ড নিজের করে নেন। দীর্ঘদেহী ও ঘন গোঁফ নিয়ে ব্যাটিং ক্রিজে নিজের সরব উপস্থিতি জানান দিতেন।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ১১৮ টেস্ট ও ১২৫টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। এক পর্যায়ে অ্যালান বর্ডার ও সুনীল গাভাস্কারের পর সর্বকালের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে নিজ দেশে ইয়ান চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১০ জুলাই, ১৯৭৫ তারিখে বার্মিংহামের এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে প্রতিপক্ষীয় অ্যালান টার্নারের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অভিষেক টেস্টে জোড়া শূন্য লাভের ন্যায় অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করে রেখেছেন। প্রথম ইনিংসের তৃতীয় বলে ‘কট রড মার্শ বোল্ড ম্যাক্স ওয়াকার ০’ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ‘কট রড মার্শ বোল্ড জেফ থমসন ০’ ব্যাটিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৮৫ রানে পরাভূত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। লর্ডসের পরবর্তী টেস্টে তাঁকে আরও একবার সুযোগ দেয়া হলে ৬ ও ৩১ রান তুলতে পেরেছিলেন।
এরফলে দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁকে বাদ দেয়। কিন্তু, ১৯৭৮ সালে পুণরায় তাঁকে ইংল্যান্ড দলে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে মার্ক বার্জেসের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৭ জুলাই, ১৯৭৮ তারিখে লন্ডনের ওভালে সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৫ রানে পৌঁছানোকালে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। ০ ও ৯১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ডেভিড গাওয়ারের অসাধারণ শতকের বদৌলতে সফরকারী ৭ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে যায়।
এরপর, ১৯৮০-এর দশকে বিদ্রোহী দলের সাথে তৎকালীন নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করায় তিন বছরের জন্যে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। অন্যান্যরা হয়তোবা নীতিগতভাবে অবসর গ্রহণের কথা চিন্তায় আনতেন, তবে, তিনি এ নিষেধাজ্ঞাদেশ পালন করেন ও আরও ১২ বছর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান।
এক পর্যায়ে ইংল্যান্ড দলের দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অধিনায়ক হিসেবেও বেশ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। স্বল্পসংখ্যক ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে অধিনায়কত্বকালে সফল হয়েছিলেন। লর্ডসে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একটি টেস্টে ত্রি-শতক ও শতক হাঁকান। এরফলে, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অসম্ভব কৃতিত্বের সাথে নিজেকে জড়ান।
১৯৮৬ সালে নিজ দেশে জেরেমি কোনি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৪ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৩৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১৮ ও ১৮৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯০ সালে নিজ দেশে জন রাইটের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৫ জুলাই, ১৯৯০ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১৫৪ ও ৩০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ডেভন ম্যালকমের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১১৪ রানে পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে ইংরেজ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৯১ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ৮৭ ও ১১৭ রান তুলে উভয় ক্ষেত্রেই ব্রুস রিডের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দীসহ ১/২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর সুন্দ ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯১ সালে নিজ দেশে অরবিন্দ ডি সিলভা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ২২ আগস্ট, ১৯৯১ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে দলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ৩৮ ও ১৭৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, রুমেশ রত্নায়েকের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন স্বত্ত্বেও তাঁর ব্যাটিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ১৩৭ রানে জয় পায়।
১৯৯১-৯২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে ইংরেজ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৮ জানুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে দলের একমাত্র ইনিংসে ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ফিল টাফনেলের অসাধারণ বোলিং সাফল্যে ঐ টেস্টে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৪ রানে পরাজয়বরণ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরে ৩০ জানুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি ৪ ও ১১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ১৬৮ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯২ সালে নিজ দেশে জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে পুরো সিরিজেই অপূর্ব ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে তৎপরতা দেখান। ৬ আগস্ট, ১৯৯২ তারিখে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ২০ ও ২৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ওয়াসিম আকরামের অসাধারণ বোলিংশৈলীতে সফরকারীরা খেলায় ১০ উইকেটে জয় পেলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। এ সিরিজে ৩৮৪ রান সংগ্রহসহ ৫ উইকেট দখল করে ওয়াকার ইউনুস ও ওয়াসিম আকরামের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।
১৯৯৪ সালে নিজ দেশে কেন রাদারফোর্ডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২ জুন, ১৯৯৪ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ২০৭ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৮৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২১০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৯০ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
একই সফরের ৩০ জুন, ১৯৯৪ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ডিওন ন্যাশের বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এরফলে, চতুর্থ ইংরেজ হিসেবে টেস্টে শত ক্যাচ তালুবন্দী করার গৌরব অর্জন করেন। তবে, ফিলিপ ডিফ্রিটাসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
এছাড়াও, তিনটি বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দলের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেন। তবে, সবকটিতেই তাঁর দল পরাজিত হয়েছিল। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে মাইক অ্যাথার্টনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের অন্যতম সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩৭ ও ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি রান-আউটের সাথে নিজেকে জড়ান। স্টিভ ওয়াহ’র অনবদ্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় সফরকারীরা ৩২৯ রানে পরাজয়বরণ করলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ৪২ বছর বয়সে এসে ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত টেস্টে ইংল্যান্ডের সর্বাধিক ৮৯০০ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
১৯৯৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ২০০১ সালে নিজ কাউন্টি এসেক্স দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। এরপূর্বে শুধুমাত্র ব্যাটিং কোচ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও, পরবর্তীতে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে শ্রোতাদের কাছে নিজেকে উপযোগী করে তুলেন। এক পর্যায়ে এসেক্সের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন ও নভেম্বর, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড দলের পরামর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অতঃপর, ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গকালীন ব্যাটিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন। দল নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
‘গুচ: মাই অটোবায়োগ্রাফি’ শীর্ষক আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এসেক্স ক্লাবের দূতের দায়িত্ব পালনসহ ক্রিকেট এডাইসরি গ্রুপের সাথে যুক্ত রয়েছেন। ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।