Skip to content

১ নভেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। লিটল ফ্লাওয়ার হাই স্কুল ও সেন্ট জোন্স স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দ্রাবাদ ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ডেকান চার্জার্স ও কোচি তুস্কার্স কেরালার পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৬ থেকে ২০১২ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ১৩৪ টেস্ট ও ৮৬টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নিজ দেশে হান্সি ক্রোনিয়ে’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২০ নভেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অভিষেক পর্বটি তাঁর দূর্দান্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানের পরিচ্ছন্ন ইনিংস উপহার দেন। ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্সের ৬৭* রানের পর তাঁর অর্ধ-শতকটি খেলার দুইটির একটি ছিল। তবে, নিম্নমূখী রানের খেলায় জবাগল শ্রীনাথের স্মরণীয় বোলিং সাফল্যে ৬৪ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১১ মার্চ, ২০০১ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত প্রসিদ্ধ টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলেন। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ২৮১ রানের ইনিংস খেলেন। রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে জুটি গড়ে ২৭৪ রানে ফলো-অনের কবলে পড়েও ভারত দল ১৭১ রানে জয় পায়। এছাড়াও, প্রথম ইনংসে ৫৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অবিস্মরণীয় ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় আসে। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

এ পর্যায়ে স্টিভ ওয়াহ ও রিকি পন্টিয়ের নেতৃত্বাধীন প্রবল প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া দল শচীন তেন্ডুলকরের তুলনায় তাঁকে নিয়েই অধিক সন্ত্রস্ত থাকতো। এ ইনিংসের কল্যাণে অনেকগুলো রেকর্ড ভঙ্গ হয়ে যায়। এরফলে, কয়েক দশক ধরে চলে আসা বিশ্বাসের ভঙ্গুরতা ও আস্থাহীনতায় ভোগা খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্যের আমূল পরিবর্তিত হয়, সমর্থকদের আশা-আকাঙ্খাকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। এ ইনিংস খেলার পূর্বের বছরে দলের ২৬১ রানের মধ্যে তিনি একাকী তুলেন ১৬৭ রান।

২০০১-০২ মৌসুমে সৌরভ গাঙ্গুলী’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ১৯ এপ্রিল, ২০০২ তারিখে পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসে ৬৯* ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসামান্য ব্যাটিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ৩৭ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। এরফলে, ২৬ বছর পর ঐ মাঠে ভারত দল জয়লাভে সক্ষম হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ১৬ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে মোহালিতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১০৪* ও ৬৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। ২৭৯ রান সংগ্রহ করে ড্যারিল টাফি’র সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

২০০৫-০৬ মৌসুমে নিজ দেশে মারভান আতাপাত্তু’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১০৪ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, হরভজন সিংয়ের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২৫৯ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

২০০৮-০৯ মৌসুমে নিজ দেশে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৯ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ২০০* ও ৫৯* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৭ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১৪৩* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, হাশিম আমলা’র জোড়া শতক সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫৭ রানে জয়লাভ করলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

২০০০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যকার সময়কাল অসম্ভব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেন। তবে, ২০১১-১২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রান খরায় ভুগলে তাঁকে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পতিত হতে হয়। নিজ দেশে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে তাঁকে রাখা হলেও তিনি খেলতে অস্বীকৃতি জানান। এরফলে নিজ শহর হায়দ্রাবাদে বিদায়বরণ লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন।

ইয়ান চ্যাপেল তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, তিনি অতি অসাধারণ খেলোয়াড় ছিলেন। একটিমাত্র স্মরণীয় ইনিংসের কল্যাণের কারণে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন মহিমান্বিত হয়ে পড়ে। তবে, বোলারদের উপযোগী অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিবেশেও যথেষ্ট সফলতা পেয়েছেন। রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন তেন্ডুলকরের সাথে তিনিও ভারতের টেস্ট দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছিলেন।

২০১০ সালে এমএস ধোনি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৩ আগস্ট, ২০১০ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ৫৬ ও ১০৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিং সাফল্যে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে পরাজিত হলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১০-১১ মৌসুমে নিজ দেশে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৪ নভেম্বর, ২০১০ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ১০ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৭৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৪০ ও ৯১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, হরভজন সিংয়ের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণের খেলায় অধিক সফল ছিলেন। ১৭টি টেস্ট শতরানের ছয়টিই ঐ দলের বিপক্ষে পেয়েছেন। ছন্দ থাকা অবস্থায়ও ২০১১-১২ মৌসুমে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরপর দুই সিরিজে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। এরফলে, তাঁর দলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রশ্নবোধক পরিবেশের সৃষ্টি করে। ফলশ্রুতিতে, ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে রাখার পরপরই ১৮ আগস্ট, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।

২০১১-১২ মৌসুমে বীরেন্দ্র শেহবাগের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৪ জানুয়ারি, ২০১২ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। ১৮ ও ৩৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, পিটার সিডলের দূর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ২৯৮ রানে পরাজয়বরণ করে ও ৪-০ ব্যবধানে রাবার খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

টেস্টগুলো থেকে ৪৬ গড়ে আট সহস্রাধিক রানের সন্ধান পেয়েছেন। ২ জুলাই, ২০১১ তারিখে আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যক্তিগত সেরা ৬ষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন। ‘লাচু ভাই’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৭টি টেস্ট শতক হাঁকিয়ে শচীন তেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড়ের চেয়ে বেশ ক্ষাণিকটা পিছিয়ে থাকলেও অধিকাংশ শতরানই ছিল যথেষ্ট ফলপ্রসূ। ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি স্পিনারদের বিপক্ষে দণ্ডায়মান থেকে ভারতের অনেকগুলো টেস্ট জয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন। নিচেরসারির ব্যাটসম্যানদেরকে নিয়ে ব্যাট হাতে তাঁর ভূমিকার পার্শ্বে দণ্ডায়মান থাকতে দ্বিতীয় কাউকে দেখা যায়নি। ২০১০ সালে মোহালিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে রয়ে গেছে। পিঠের ব্যথায় কাবু হলে সুরেশ রায়নাকে রানার হিসেবে খেলান ও প্রজ্ঞান ওঝাকে নিয়ে নাটকীয় জয় এনে দেন।

৯ এপ্রিল, ১৯৯৮ তারিখে কটকে অনুষ্ঠিত সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। পমি এমবাঙ্গা’র বলে তিন বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে তাঁকে বিদেয় নিতে হয়েছিল। পরবর্তীতে দূর্দান্ত সূচনা করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দেন। রঙিন পোষাকে ছয়টি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। তন্মধ্যে, ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত ভিবি সিরিজের চারটি খেলা থেকে তিনটি করেছিলেন। ৫০-ওভারে খেলায় উত্তরোত্তর চাহিদা মেটাতে তাঁকে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এক পর্যায়ে উদীয়মানদের স্থান দিতে তাঁকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে তাঁকে একবারও ভারতের পক্ষে বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলানো হয়নি।

ইয়ান চ্যাপেল তাঁর সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে স্পিনের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানো সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ভিভিএস লক্ষ্মণ ও ডগ ওয়াল্টার্সের প্রভূত্ব করার বিষয়টি তুলে ধরেন। ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে নিজের ভাগ্য ফেরানোর প্রয়াস চালান। তবে, সফল হননি। উদ্বোধনী আসরে হায়দ্রাবাদের প্রতীকি খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন। ২০১১ সালে কোচি দলে খেলেন।

২০০১ সালে ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও, ২০১১ সালে ভারত সরকার তাঁকে চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০১৬ সাল থেকে টেলিভিশনে হিন্দি ভাষায় ধারাভাষ্য কর্মের সাথে যুক্ত রয়েছেন। বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। রঞ্জী ট্রফিতে বাংলা দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও, বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট পরামর্শক কমিটির সদস্যরূপে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রিকেটকান্ট্রি.কমের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।