Skip to content

৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে কেপ প্রভিন্সের এমডিঙ্গি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

‘জর্জ’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে তাঁর বোলিংয়ের সক্ষমতা ও অনবদ্য ভঙ্গীমায় নিজের পরিচিতি ঘটান। ১৫ বছর বয়সে কিং উইলিয়ামস টাউনে ছোটখাটো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বীয় যোগ্যতার পরিচয় তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। বিশ্ব মানসম্পন্ন ফাস্ট বোলারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। নতুন প্রজন্মের কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের কাছে আদর্শস্থানীয় ছিলেন। এছাড়াও, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০১০-১১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার ও ওয়ারিয়র্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, চেন্নাই সুপার কিংস ও আইসিসি বিশ্ব একাদশের পক্ষে খেলেছেন। আইপিএলের প্রথম তিন মৌসুম ২০০৮ থেকে ২০১০ সময়কালে চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে যুক্ত ছিলেন।

১৯৯৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বমোট ১০১ টেস্ট, ১৭৩টি ওডিআই ও ১০টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৬ জানুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে পার্থের ওয়াকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করেন।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১৯ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১/৫৭ ও ১/১৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৩* ও ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, শন পোলকের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৭০ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ২৭ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের প্রথম দিন শন পোলক তাঁর নিজস্ব অষ্টম ওভারে আঘাতের কবলে পড়লে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। ফলশ্রুতিতে, তাঁকে ঐ ওভারটি শেষ করতে হয়েছিল। এরপর, দলের ষাটতম ওভারের প্রথমটি নো-বল করেন ও বোলিং করতে অক্ষমতা ব্যক্ত করেন। ঐ ওভারের বাদ-বাকী ছয়টি বল পল অ্যাডামস সম্পন্ন করেন। খেলায় তিনি ২/৬১ ও ০/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২* রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তবে, অ্যালান ডোনাল্ডের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

দুই বছরের মধ্যেই দলে স্বীয় স্থান পাকাপোক্ত করেন। শন পোলকের সাথে দূর্দান্ত বোলিং জুটি দাঁড় করান। ২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ১৭ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে ব্লুমফন্তেইনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যাডাম প্যারোরে’র উইকেট লাভ করে টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৪/৭২। এছাড়াও, এ পর্যায়ে প্রথমবারের মতো টেস্টে পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। খেলায় তিনি ১/৪৮ ও ৬/৬৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। জ্যাক ক্যালিসের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর সাথে তাঁর দূর্দান্ত বোলিংয়ের অপূর্ব সমন্বয়ে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি জ্যাক ক্যালিসের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই সফরের ৮ ডিসেম্বর, ২০০০ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলার একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ না পেলেও ৩/২৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। এ সিরিজে ১৩ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

২০০১-০২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে শন পোলকের নেতৃত্বে স্প্রিংবকের অন্যতম সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০১ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অংশ নেন। খেলায় তিনি ০/৬০ ও ১/৪৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। কোন ইনিংসেই ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। তবে, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের বীরোচিত ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই মৌসুমে নিজ দেশে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে তাঁর বলে সেকেন্ড স্লিপ অঞ্চলে দণ্ডায়মান জ্যাক ক্যালিস অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭/০ থাকাকালে ম্যাথু হেইডনকে (১২২) শূন্য রানে বিদেয় করতে ব্যর্থ হন। খেলায় তিনি ১/১২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৯ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

২০০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়াকার ইউনুসের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ২ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৪/৬২ ও ৪/৩৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, হার্শেল গিবসের অসামান্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৪২ রানে জয় পেয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। ঐ সিরিজে ১৩ উইকেট দখল করে তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে বাংলাদেশ সফরে যান। ২৪ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/৪৫ ও ১/৩৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অভিষেকধারী জ্যাক রুডল্ফের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৬০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ১ মে, ২০০৩ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে আকরাম খানের প্রথম উইকেট লাভ করে ১০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৩/৩২ ও ১/৩৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ০* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ রফিকের অসাধারণ বোলিং শৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৮ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

একই বছর গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। লর্ডস টেস্টে অংশ নিয়ে খ্যাতির শিখরে পৌঁছেন। প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে ১০ উইকেট লাভের কৃতিত্বের অধিকারী হন। নিজেকে লর্ডস অনার্স বোর্ডে ঠাঁই করে নেন।

একই সফরের ২১ আগস্ট, ২০০৩ তারিখে লিডসের হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ২৩ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৩২* ও ৮ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৬২ ও ২/৪০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। গ্যারি কার্স্টেনের অনবদ্য ব্যাটিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ১৯১ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০০৩-০৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১০ মার্চ, ২০০৪ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রান সংগ্রহসহ ১/৭৪ ও ০/১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেছিলেন। জ্যাক ক্যালিসের অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

২০০৪-০৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ভারত সফরে যান। ২০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে কানপুরে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/১৩৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, তাঁকে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি। অ্যান্ড্রু হলের অসাধারণ অল-রাউন্ড কৃতিত্বে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

২০০৫-০৬ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৫/৬৪ ও ১/১১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ব্রাড হজের দূর্দান্ত প্রয়াস সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অগ্রসর হতে থাকে।

একই মৌসুমে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৫ এপ্রিল, ২০০৬ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনসহ ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে এইচজেএইচ মার্শালের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ২৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। বল হাতে নিয়ে ৫/৯৪ ও ৫/৫১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১* ও ১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অনবদ্য বোলিং নৈপুণ্যের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১২৮ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে ৬/২২ লাভ করেন। এটিই যে-কোন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারের সেরা বোলিং হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। অ্যালান ডোনাল্ড ও শন পোলকের পর তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার হিসেবে ৩০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২০০৮ সালে অ্যালাস্টেয়ার কুককে বিদেয় করে নিজস্ব ৩৫০তম টেস্ট উইকেট লাভ করেন।

২০০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যান্ড্রু স্ট্রসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি ৬* ও ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১১৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। গ্রায়েম সোয়ানের অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৯৮ রানের ব্যবধানে জয় পেয়ে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

৯ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগৎকে বিদেয় জানান। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে দলের সহকারী কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পরবর্তীতে, ডেভ হোয়াটমোরের বিদেয়ের ফলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। জানুয়ারি, ২০১৮ সালে প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। ১৪ জুলাই, ২০২০ তারিখে লুঙ্গি এনগিডি’র বিএলএম অবস্থানে ভার্নন ফিল্যান্ডার, জেপি ডুমিনি ও হার্শেল গিবসের সাথে একত্রে স্বাক্ষর করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। টি এনটিনি নামীয় সন্তানের জনক।