Skip to content

৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ডাব্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

কেভিন ম্যাকগ্রা ও বেভার্লি ম্যাকগ্রা দম্পতির সন্তান। ডাব্বোয় জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পরিবার ন্যারোমাইনে চলে যায়। সেখানে তিনি তাঁর ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। লিকলিকে গড়নের অধিকারী। ডগ ওয়াল্টার্সের নজর কাড়েন। সিডনিতে চলে যান। সাদারল্যান্ডের পক্ষে গ্রেড ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। কখনো গতিসম্পন্ন বোলার ছিলেন না। তবে, নিখুঁততা ও একাগ্রতায় ক্রমাগত উইকেট পেয়েছেন।

‘পিজিওন’ কিংবা ‘মিলার্ড’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১.৯৫ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন। ন্যারোমাইন প্রাইমারিতে অধ্যয়নের পর ন্যারোমাইন হাই স্কুলে পড়াশুনো করেছেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স ও ওরচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও আইসিসি বিশ্ব একাদশের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯২ সালে এনএসডব্লিউ রাজ্য দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। মাত্র আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পর নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।

১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সব মিলিয়ে ১২৪ টেস্ট, ২৫০টি ওডিআই ও দুইটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিজ দেশে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১২ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। খেলায় তিনি ২/৯২ ও ১/৫০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে মার্ফি সু’য়ার বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। তবে, অ্যান্ড্রু জোন্সের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ২৬ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে হোবার্টে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। মার্ক ওয়াহ’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২২২ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

এরপর, ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষীয় দলনেতা কেন রাদারফোর্ডকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা সাফল্য ছিল ২/৯২। খেলায় তিনি ০/৪৫ ও ৩/৬৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, শেন ওয়ার্নের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ও ৯৬ রানের ব্যবধানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সফরকারীরা সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিজ দেশে কেপলার ওয়েসেলসের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত খেলায় সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ৫/৪০ ও ২/৯২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৭ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৯৬ ও ৫/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, দলীয় অধিনায়ক মার্ক টেলরের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৮৬ রানে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। প্রসঙ্গতঃ, এটিই উভয় দলের মধ্যকার উদ্বোধনী টেস্ট ছিল। ১৪ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র-টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৪৪ ও ৩/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ১০ উইকেটে জয়লাভ করে।

একই মৌসুমে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২৪ মার্চ, ২০০০ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে দলের ৬৭তম ও ব্যক্তিগত ১৭শ ওভারে পাঁচ-বলে এক ওভার সম্পন্ন করেছিলেন। খেলায় তিনি ০/৬০ ও ১/৩৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মাইকেল স্ল্যাটারের অনবদ্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

২০০৪ সালে নিজ দেশে মারভান আতাপাত্তু’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১ জুলাই, ২০০৪ তারিখে ডারউইনে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ৫/৩৭ ও ২/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৪৯ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৪-০৫ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৬ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে অ্যাডিলেড অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় কোন ইনিংসেই তাঁকে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি। বল হাতে নিয়ে ৪/৬৬ ও ২/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। জাস্টিন ল্যাঙ্গারের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা খেলায় ২১৩ রানে পরাজয়বরণসহ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। এ সিরিজে ৬১ রান সংগ্রহসহ ৯ উইকেট লাভ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

একই মৌসুমে ফিরতি সফরে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১০ মার্চ, ২০০৫ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ৬/১১৫ ও ১/১৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। তবে, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারী ৯ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০৬-০৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ করায়ত্ত্বে ভূমিকা রাখেন। ২ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩/৬৭ ও ৩/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে, স্টুয়ার্ট ক্লার্কের অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীতে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। টেস্টগুলো থেকে ২১.৬৪ গড়ে ৫৬৩ উইকেট দখল করেছেন তিনি। এছাড়াও, ২৫০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩৮১ উইকেট লাভ করেছেন।

জানুয়ারি, ২০০৭ সালে ড্যামিয়েন মার্টিন, জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও শেন ওয়ার্নের সাথে একযোগে অবসর গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সফলতম ফাস্ট বোলারের পরিচিতি পান। ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত শেন ওয়ার্নকে সাথে নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়ার উত্থানে অন্যতম তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। টেস্টে সর্বমোট ২৯২৪৮ বল থেকে ২১.৬৪ গড়ে ৫৬৩ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, ২৯বার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট ও তিনবার খেলায় দশ উইকেট লাভ করেছেন। তবে, ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। মাত্র ৭.৩৬ গড়ে ৬৪১ রান পেয়েছেন। এছাড়াও, ওডিআইয়ে ২২.০২ গড়ে ৩৮১ উইকেট পেয়েছেন। সাতবার পাঁচ-উইকেট লাভ করেছেন।

১৯৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৯৯ সালে উইজডেন অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার অসাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বর্ডার পদক লাভ করেন ও বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন। ২০০১ সালে বর্ষসেরা ওডিআই খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে উইজডেন অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে এসেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ভোটের মাধ্যমে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ লাভ করেন। এটিই তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল। জানুয়ারি, ২০০৮ সালে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া পদবী লাভ করেন। ১৩ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। সারা লিওনার্ডি নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির জেমস ম্যাকগ্রা নামীয় পুত্র এবং হলি ম্যাকগ্রা ও ম্যাডিসন মেরি হারপার ম্যাকগ্রা নাম্নী কন্যাদ্বয় রয়েছে। অবসর পরবর্তীকালে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের অর্থ সংগ্রহে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন।