Skip to content

২৭ জুলাই, ১৯৫৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিমোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, সেকেন্ড স্লিপ কিংবা শর্ট-মিড উইকেট অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

আদর করে তাঁকে ‘ক্যাপ্টেন গ্রাম্পি’ নামে পরিচিতি ঘটানো হলেও তিনি ‘এবি’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। নর্থ সিডনি বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

বামহাতি ক্রিকেটার হিসেবে তিনি বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। হার না মানার অধিকারী হিসেবে মাঠে অবস্থান করতেন ও রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান। টেস্ট ক্রিকেটে এগারো হাজারের অধিক রান তুলে সুনীল গাভাস্কারের গড়া দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙ্গে নিজের করে নেন।

১৯৭৯ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ১৫৬ টেস্ট ও ২৭৩টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে নিজ দেশে মাইক ব্রিয়ারলি’র নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ২৯ ও ০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, গ্রায়েম উডের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০৩ রানে জয় পেলেও ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৮১-৮২ মৌসুমে গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলাটিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম দিন খেলাটি মাঠে গড়ায়। তন্মধ্যে, কেবলমাত্র পঞ্চম দিন পুরোটা সময় খেলা সম্ভব হয়। তিনি ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ১৯ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে এমসি স্নেডেনকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ২/৩৫। বল হাতে নিয়ে ৩/২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে নিজ দেশে বব উইলিসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৬ নভেম্বর, ১৯৮২ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০০ রান তুলেন। খেলায় তিনি ০ ও ১৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। কেপলার ওয়েসেলসের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের সুবাদে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ব্রিসবেনে অশ্রুসিক্ত নয়নে কিম হিউজ পদত্যাগ করলে তাঁকে দলের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনগুলোয় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ভাগ্যের দোলাচলে এগিয়ে আসেন। বিখ্যাত কোচ বব সিম্পসনের সাথে চমৎকার বোঝাপড়ায় তুখোড় দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৯৮০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের স্বর্ণযুগে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য্য। বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলীয় দলকে নেতৃত্ব দেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জয় এনে দেয়াসহ ১৯৮৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজ বিজয়ে অংশ নেন।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিজ দেশে জেরেমি কোনি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৮ নভেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যাট হাতে ১ ও ১৫২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। রিচার্ড হ্যাডলি’র অনবদ্য অল-রাউন্ড সাফল্যে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৪১ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ২২ নভেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২০ ও ১১ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে জন ব্রেসওয়েলের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। জন ব্রেসওয়েলের প্রাণান্তঃকর অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই মৌসুমে ফিরতি সফরে অজি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিউজিল্যান্ডে যান। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৬০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১৪০ ও ১১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর জোড়া শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিজ দেশে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ১১ ও ১৬৩ রান তুলেন। তাঁর মনোরম শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিজ দেশে কেন রাদারফোর্ডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে ব্রিসবেনে সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, শেন ওয়ার্নের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ও ৯৬ রানের ব্যবধানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সফরকারীরা সিরিজ খোঁয়ায়।

একই মৌসুমে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৫ মার্চ, ১৯৯৪ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৭ ও ৪২* রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, ০/৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, মার্ক ওয়াহ’র অনবদ্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

১৯৮৭ সালে ৯৪ টেস্ট থেকে ৭৩৪৩ রান তুলে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হবার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের সংগৃহীত ১০১২২ রান অতিক্রম করে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১০০০ রান সংগ্রহের মাইলফলক স্পর্শ করেন। টেস্টগুলো থেকে ৫০.৫৬ গড়ে ১১১৭৪ রান ও ৩৯.১০ গড়ে ৩৯ উইকেট পেয়েছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫১.৩৮ গড়ে ২৭১৩১ রান সংগ্রহসহ ৩৯.২৫ গড়ে ১০৬ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ওডিআইয়ে ৩০.৬২ গড়ে ৬৫২৪ রান ও ২৮.৩৬ গড়ে ৭৩ উইকেট দখল করেন। ১৯৯৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সময়কালে সর্বাধিক টেস্ট রান সংগ্রহের কৃতিত্বের অধিকারী হন। পরবর্তীতে, ব্রায়ান লারা তাঁর এ সাফল্যকে ছাঁপিয়ে যান।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর নীল হার্ভে, গ্রেগ চ্যাপেল, স্টিভ ওয়াহরিকি পন্টিংয়ের পর পঞ্চম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছেন। সাধারণমানের দলকে পরবর্তীতে সেরা দলে রূপান্তর করেছেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে দেড় শতাধিক রান তুলেছেন। অবসর গ্রহণকালীন টেস্টের ইতিহাসের সর্বাধিক ১৫৬ টেস্টে অংশ নেন। পরবর্তীতে, স্টিভ ওয়াহ তাঁর এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। উপর্যুপরী ১৫৩ টেস্টে অংশ নেয়ার অনবদ্য রেকর্ড গড়েন।

বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের সাথে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের নামকরণ বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ার সাংবার্ষিক পুরস্কার হিসেবে অ্যালান বর্ডার পদক প্রদান করা হয়। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় টাই টেস্টের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। টিএনসিএ কর্তৃক ঐ টেস্টের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডিন জোন্স, রবি শাস্ত্রী ও ক্রিস শ্রীকান্তের সাথে অংশ নেন। শেন ওয়ার্ন, আর্থার মরিস, ইয়ান হিলি ও নীল হার্ভের সাথে অস্ট্রেলিয়ার শতাব্দীর সেরা টেস্ট দলে ঠাঁই পেয়েছেন। গিডিওন হেই তাঁকে ‘অস্ট্রেলিয়ার উত্থানকারী’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন।

১৯৮২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯০ তারিখে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার শতাব্দীর সেরা দলে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। এরপর, প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। জেন হিসকক্স নাম্নী রমণীর সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।